নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
এক কাজ করুন। এদেশে বিজ্ঞানের চর্চা বন্ধ করে দিন। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া থামিয়ে দিন। কারণ, বিজ্ঞান নিয়ে পড়লেই যে কারো মনে অনেক অনেক প্রশ্ন জাগবে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সে তখন আরো বই পড়বে, যুক্তি-তর্কের অবতারণা করবে। তারপর একসময়, সে বুঝতে শিখবে, এতদিন ছোট থেকে সে যা যা শিখেছে, যেসব ভ্রান্ত ধারণা বিশ্বাস করে এসেছে, মায়ের কোলে শুয়ে শোনা "জুজু" কিংবা ভূতের গল্পের মতো সেগুলোর অনেক কিছুরই বাস্তব ভিত্তি নেই। তখনই তার মাঝে নিজস্ব একটা মত তৈরি হবে। আপনাদের দৃষ্টিতে সে তখন "বেশি" বুঝবে। আপনি বলবেন, "এজন্যই কয়, বেশিদূর লেখাপড়া করা ভালো না। পড়লেই ছেলেমেয়ে বেয়াদপি শেখে, মুরুব্বিগো কথায় কথায় তর্ক করে!"
আপনি বরং সেটাই করুন। পড়ালেখা না করিয়ে সন্তানকে মাঠে নামিয়ে দিন, হালচাষ করান। আমাদের বিদ্বান প্রজন্মের দরকার নেই, আমাদের দরকার ভূতের ভয় পেয়ে ঘুমিয়ে পড়া প্রজন্ম। যে প্রজন্ম নতুন কিছু ভাবতে পারবে না, নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারবে না। দরকার নেই বিশ্বের দরবারে আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর। আমাদের প্রজন্ম না হয় ওসব দেশে গিয়ে তাঁদের গোলামিই করবে! কি দরকার এত এত লেখাপড়া করে ওদের সমানে সমান হওয়ার, একই সোফায় পায়ের ওপর পা তুলে বসার?
আপনি বরং সকল শিল্পীকে মেরে ফেলুন, সকল মেধাকে গলাটিপে মারুন। সংস্কৃতির চর্চা করা কি দরকার? নববর্ষ পালনের দরকারটা কি? শহীদ মিনারে ফুল দেবেন কেন? এগুলো করলেই আপনি হিন্দু হয়ে গেলেন। কাজেই, করা যাবে না এসব।
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২০
...নিপুণ কথন... বলেছেন: কোন ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের তুলনা করে এই কথাগুলি আমি বলিনি। শুধু শুধু ইসলামের প্রসঙ্গ টানছেন আপনি। আপনার ধর্মীয় বিস্বাসে আঘাত করার কোন ইচ্ছা বা চেষ্টা আমার নেই। কোন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীর কথাই বা কখন বললাম? নিজেনিজেই সব বুঝে নিলেন? ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১২
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে ময় হয়, ঐ বলির পাঁঠাটা দেশের একমাত্র বিজ্ঞানী ছিল, যার বিজ্ঞান নিয়ে বিস্তর পড়াশুনা আছে। আরে বলদ, বাংলাদেশে কি বিজ্ঞানীর অভাব আছে? কুদরত এ খোদা, এফ আর খান, ডক্টর ইবরাহীম এদের কেউ কি বিজ্ঞানী ছিলনা? এদেরকে কি কুকুরের মত কোপানো হয়েছে, নাকি তাদের যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়েছে?
বিজ্ঞানকে ইসলামের মুখোমুখি দাঁড় করানো একটা ব্যর্থ চেষ্টা, এ চেষ্টায় কোন সফলতা তো আসবেই না, বরং সে চেষ্টা করতে গিয়ে কিছু সার্কাসের জোকার জন্ম নেবে এবং রাস্তাঘাটে কুত্তার মত মারা পড়বে - এটাই বাস্তবতা।