নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
রাজ্য জয় করার দুটি উপায় আছে। এক- শান্তিময় সঠিক উপায়ে নিজেকে যোগ্যতম প্রমাণ করে মানুষের ভালোবাসা পেয়ে রাজ্য জয় করা, আর দুই- ক্ষমতায় যাবার জন্য যা যা করা দরকার (হোক সেটা বেঠিক, হোক অনুচিত) সেসব কিছু করে, সোজা কথায় যেকোন মূল্যে ক্ষমতায় যাওয়া। নাৎসি বাহিনীর প্রধান অ্যাডলফ হিটলার বেছে নিয়েছিলেন দ্বিতীয় পথটিই । ছিল না চলার মতো অর্থ, চিনতো না কেউ। এমনকি ছিল না জার্মান নাগরিকত্বটাও। সেখান থেকে কুবুদ্ধির জোড়ে হলেন সেই জার্মানিরই একনায়ক! খারাপ হলেও বুদ্ধিটা তাঁর তুখোড় ছিল। স্যার আইন্সটাইনের ব্রেইনটা তো সংরক্ষিত আছে, হিটলার শেষে আত্মহত্যা না করলে হয়তো তাঁর ঐ এক্সট্রা-অর্ডিনারি ব্রেইনটাও সংরক্ষিত রাখা যেত!
হিটলারের জন্ম হয় যে দম্পতির কোলে, তাঁরা আসলে সম্পর্কে ছিলেন Uncle-Niece! ছোট থেকেই কুবুদ্ধি গিজগিজ করতো হিটলারের মাথায়। প্রচন্ড জেদি আর একরোখা ছিলেন। তিনি যা চাইতেন, যেকোন মূল্যে সেটা তাঁকে পেতেই হতো। বাবা মেরেছিল বলে বাবাকেও বিষপ্রয়োগে মারেন বলে চাউর আছে! এরপর আর্টিস্ট হতে চেয়েও ব্যার্থ হন। এর মধ্যে শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। তাতে যোগ দিয়ে বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করেন এবং পদোন্নতি পান। কিন্তু এক পর্যায়ে নিজেদের আত্মসমর্পন মেনে নিতে পারেন না। এরপর জার্মানি গিয়ে আবার কাজ শুরু করেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল ইহুদিমুক্ত আরও বিশাল জার্মানি প্রতিষ্ঠা করা। সে লক্ষ্যে রাজনীতিতে যোগদান, বক্তৃতাদানের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন আদায় এবং ধীরে ধীরে নিজের নাৎসি বাহিনী গঠন করেন। এই পথচলায় যেসব বন্ধুর সহায়তা পান তিনি, যারা তাঁকে সামনে রেখে নিজেরা উপকৃত হতে চেয়েছিল, তাদেরকেই তিনি ব্যবহার করে ছেড়ে দেন অনেকটা টিস্যু পেপারের মতো। কারোরই ভালো কোন পরিণতি ঘটেনি। ধীরে ধীরে নিজের কুবুদ্ধিতে ক্ষমতায় যাবার শর্টকাট এর নিলনকশা ফাদেন এবং একভাবে না একভাবে সফল হনই। এই উচ্চতায় খাটো মানুষটির ক্ষমতার দাপট ছিল দেখার মতো! সবাইকেই প্রথমে মুগ্ধ করে দলে টানার এবং পরবর্তীতে কোন না কোন ফাঁদে ফেলে তাঁকে দিয়ে যা খুশী তাই করিয়ে নেয়ার কুটকৌশল তিনি জানতেন। জার্মানি দখলে নিয়েও তাঁর মন ভরলো না যখন, তখন তিনি গোটা ইউরোপ দখল করতে উদ্যত হলেন। শুরু হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ! গোটা দুই ডজনেরও বেশি দেশ দখলে নেয়ার পর একসময় হিটলার পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছালেন। কিন্তু হিটলার কেন হারবেন? রাগে-ক্ষোভে নিজেই নিজেকে শেষ করে দিলেন।
ইতিহাস তো এমনটাই বলে হিটলার সম্পর্কে। অবশ্য এটাও ঠিক যে, জয়ীরাই ইতিহাস লেখে। তবে হিটলারের কিছু 'গুণ'-ও ছিল। কথা বলে মানুষকে মুগ্ধ করে রাখার মন্ত্র জানতেন তিনি। যুদ্ধজয়ের কৌশল জানতেন। কি করে চাওয়া এবং পাওয়াকে এক করা যায়, সেই উপায় জানতেন। সাফল্যের জন্য এগুলো দরকার। তবে তার মাঝে মানবতা থাকাটাও জরুরী। ভালো-মন্দের মাঝে পার্থক্যটাও বুঝতে পারা জরুরী। তা না হলে ক্ষমতা দখলে নেয়া যায়, কিন্তু টিকে থাকা যায় না। হিটলার যেমনটি পারেন নি, ৫০ মিলিয়ন মানুষের রক্তের বন্যা বইয়েও।
এই যুগেও দেখি অনেকেই হিটলার হতে চায়। যেকোন উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়া এবং টিকে থাকা, মানবতা আর উচিৎ-অনুচিত এর চিন্তা বাদ দিয়েই। আজকাল কিছু পেতে হলে ধান্দাবাজ হতে হয়- এটাই যেন রীতিতে দাঁড়িয়ে গেছে। কেউ শুনতে চায়না নীতিকথা। আর কিভাবে কিভাবে যেন প্রায় সব মানুষই দিনদিন এমন হয়ে যাচ্ছে! হিটলার তাই মরে গিয়েও অমর, বেঁচে আছেন যেন আমাদের মাঝেই!
২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভাল্লাগছে। কিন্তু হিটলারই যদি পুরা দুনিয়া শাসন করতে পারতো, তাইলে পুরা দুনিয়া অন্যরকম হইতো। চিন্তা করেন, অল্প কয় বছরে জার্মানী আস্তাকুড় থাইকা কই গিয়ে পৌছাইছিলো। অতি উচ্চাভিলাস উনারে ডুবাইছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৮
মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: ভাল লেগেছে।।