নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
নববর্ষের দিনে বাঙ্গালির প্রাণের উৎসবে আমার প্রাণের ক্যাম্পাসে যে বা যারা ছাত্রীকে উত্তক্তকরণ বা বিবস্ত্রকরণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদেরকে ধিক্কার জানাই। এই ক্যাম্পাসেরই একজন হিসেবে আমি লজ্জিত, অপরাধী। তবে এটাও স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ক্যাম্পাসের কেউ এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করিনা। অনেক ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরিহিতার আনাগোনা এখানে নতুন কিছু নয়। বিদেশীরাও তো অনেক সময় খোলামেলা পোষাকে এখানে আসে এবং বেড়ায়। কই, আজ পর্যন্ত তো আমার চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটলো না? এ কাজ অবশ্যই বহিরাগতের। ক্যাম্পাসটি সকলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায়, নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও পুলিশ-প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। এই ক্যাম্পাসের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে যেমনটি পারিনা আমরাও। এই ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম এত খারাপ হতে পারেনা, যারা এ কাজ করেছে, আমি বিশ্বাস করতে চাই তারা হাতে গোনা কয়েকজন। এমন সংস্কৃতিও আমার হতে পারে না।
আরেকটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই। মেয়েরা কি পড়বে না পড়বে, কিভাবে পড়বে, নাভির নিচে না ওপরে পড়বে, এটা তার একান্ত নিজস্ব অভিরুচির ব্যাপার। এতে আপনার-আমার নাক গলানোর বা কোন বাজে মন্তব্য করার কোন অধিকার নেই, শোভন নয়। শরীরের কিছু অংশ অনাবৃত থাকলেই নিজ দায়িত্ব তার বস্ত্রহরণ করে সমাজ রক্ষার কাজটি আপনাকে করতে হবে? কে দিয়েছে আপনাকে এই দায়? আপনি যখন খালি গায়ে ঘুরে বেড়ান কিংবা রাস্তার পাশেই যে সবার সামনে প্যান্টের হুক খুলে প্রকৃতির ডাকে সারা দেন, নারী কি তখন আপনাকে কিছু বলতে বা করতে আসে? নিজের দৃষ্টি সংযত করুন, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনুন। নারী আপনার মত অনুযায়ী কেন চলবে? তাকে স্বাধীনতা দিন। তার কোন ব্যবহারে খারাপ লাগলে আপনি বড়জোড় তাকে আপনার মতটি সাজেশন আকারে বলতে পারেন, চাপিয়ে দিতে পারেন না।
তবে কেন জানি মনে হচ্ছে, বাঙ্গালির প্রাণের এই অসাম্প্রদায়িক উৎসবের ভাবমূর্তি নষ্ট করাও এই কাজের একটা লক্ষ্য হতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। টিকিয়ে রাখতে হবে আমাদের সংস্কৃতিকে, আমাদের চেতনাকে।
©somewhere in net ltd.