নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
যখন ছোট ছিলাম, তখন ছোটখাটো কারণেই কেঁদে বুক ভাসাতাম। প্রথম যেদিন বাবা-মায়ের সাথে স্কুলে গেলাম, ক্লাসে প্রবেশের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত ঠিক ছিলাম। ক্লাস শুরু হবার পর আশেপাশে সব নতুন অপরিচিত মুখ দেখে আর বাবা-মাকে না দেখে বুক ফেটে কান্না এলো। এরপর শুরু হলো স্কুল ভ্যানে চড়ে স্কুলে যাওয়া। জীবনে প্রথম কিছু বন্ধুও হলো। কিন্তু ক্লাসে বসে তবুও কান্না পেতো। আয়া ছায়া পিসির আচলে একদিন চোখ মুছলাম। শুনে পরেরদিন থেকেই আমাকে একটা রুমাল দিয়ে দেয়া হলো, চোখ মুছার জন্য! এই দেখে হ্যাংলা-পাতলা বন্ধু প্রসেনজিৎ বুদ্ধি দিলো, "কান্না পেলে তুমি জানালা দিয়ে ঐ সবুজ গাছাপালার দিকে তাকাবে। দেখবে কান্না আর আসবে না। আমার কান্না পেলে আমিও এমন করি।"
এই বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই সুফল এলো। টিচার এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বন্ধুত্ব হতে লাগলো। ফরিদপুরের ব্যাপ্টিস্ট চার্চ স্কুলে যাওয়া এবং পড়ালেখা করা, টিফিনের বিরতিতে মায়ের দেয়া খাবার খেয়ে আবার ক্লাসে ফেরা। খেলাধুলার জন্যও একটা ক্লাস ছিল সপ্তাহে একদিন, মনে পড়ে। কিন্তু সেই ছোট্টবেলার মিষ্টি বন্ধু প্রসেনজিৎকে সেই স্কুলের পর আর দেখিনি। শুনেছি সপরিবারে ওরা ভারতে চলে গেছে।
ছোট থেকেই আমরা কাঁদতে শিখি। জন্মের পর তো নবজাতক কান্না না করলে তার সুস্থতা নিয়েই সংশয় দেখা দেয়। বাবা গল্প করতো, আমি জন্ম নিয়ে প্রথমে নাকি এমনি এমনি কান্না করিনি। সেই মাঘ মাসের শীতের রাত ৩ টায় দাদুর খদ্দরের চাদরে মুড়ে আমাকে কয়েক দফা ঝাঁকানোর পর, তবেই আমি কেঁদেছিলাম! স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে নটরডেম কলেজে পড়তে যখন ঢাকায় এলাম, তখন বাবা-মাকে ছেড়ে প্রথম অনেকদিন এত দূরে অচেনা মানুষের সাথে থাকা- লুকিয়ে কেঁদেছি প্রথম প্রথম। আস্তে আস্তে এই জীবনও একটা সময় সয়ে গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি কেঁদেছিলাম বাবা চলে যাবার রাতে। যা ভোলার নয়।
আসলে, যতই বড় হচ্ছি, ততই বুঝতে শিখছি। ততই নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে আনতে শিখছি। আর বুঝতে শিখছি, চোখের জলের মূল্য। যতই বড় হচ্ছি, বোধ করি, চোখের জলের মূল্য ততই বেড়ে যাচ্ছ। এর এক ফোঁটাও যেন বৃথা না যায়, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৮
সুমন কর বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ...নিপুণ কথন... ,
নিপুণ একটি সত্যই বলেছেন------ যতই বড় হচ্ছি, বোধ করি, চোখের জলের মূল্য ততই বেড়ে যাচ্ছ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
এবার হয়তো বিয়ে করার জন্য কাঁদবেন!