নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
১।
মাধ্যমিকের প্রশ্ন নাকি ২০ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় ফাঁস হয়েছে। ২০ টাকায় প্রশ্ন পাওয়া যায় শুনে অবাক হইনি। কারণ, ২০০৬ সালের কলংকজনক মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় ফটোকপির দামে অর্থাৎ ১ টাকাতেও প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিলো। বরাবরই প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত তাঁরা, যাদেরকে প্রশ্নের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য রাখা হয়েছে! রক্ষকই যেখানে ভক্ষক! এ আর এদেশে নতুন কী?
২।
মহাসড়কে তিন চাকার সিএনজি/অটোরিক্সা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। আমাদের দেশে গণতন্ত্র রয়েছে। গণতন্ত্রের এই এক দোষ- সবাই বলতে চায়, কারো স্বার্থের বিপক্ষে গেলেই সে হাউকাউ শুরু করে। এটা আমাদের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। সিএনজি/অটোর মালিক চালকেরা স্বাভাবিকভাবেই বিক্ষোভ করছে। অপরদিকে খুশি হয়ে সমর্থন জানিয়েছে বাস-মালিক সমিতি। কারণটা ঐ স্বার্থ। ওদিকে, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন, দরকার হলে মন্ত্রীত্ব যাবে, তবুও তিনি মহাসড়কে সিএনজি/অটোরিক্সা চলতে দেবেন না।
আমি এই সিদ্ধান্তের পক্ষে। মহাসড়কে অটোরিক্সা/সিএনজি না চলাই ভালো। আমাদের মহাসড়কগুলো এমনিতেই খুব বেশি প্রশস্ত নয়। পাশাপাশি দুটি বাস চলার চেয়ে বেশি জায়গা বেশিরভাগ রাস্তাতেই নেই। এই রাস্তায় অটো/সিএনজি চললে বেশি গতিতে চলা বড় গাড়িগুলোর বারবার গতিরোধ হয়। এতে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে দেরী হয়। আর যারা জোর করে পৌঁছতে যায়, তারা ঘটায় দূর্ঘটনা। এসব তিন চাকার গাড়ি বিশেষ করে অটোরিক্সা যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলে। অনেক সময় কোন সিগন্যাল না দিয়েই হুট করে রাস্তার মাঝখানে থেমে যায়। এভাবে কয়েকবছর আগে ফরিদপুর আলীপুর বড় ব্রিজের ঢালেই একটা দূর্ঘটনা ঘটে। ব্রিজ থেকে নামতে গিয়ে হঠাৎ ব্রেক চাপার ফলে পিছের ট্রাকের নিচে ঢুকে যায় অটোরিক্সার হালকা শরীর। ফলাফল- ৯ যাত্রীর ৮ জন জায়গায় মৃত, বাকিজন ফরিদপুর মেডিক্যালের ০৬ ব্যাচের জন ভাই অনেকদিন BSMMU এ মৃত্যুর সাথে লড়ে বেঁচে ফিরেছেন। শহরের সাধারণ রাস্তাতেই যদি এই অবস্থা হয়, তবে এই ব্যাপারটা মহাসড়কে ভাবতে পারেন?
এই সিদ্ধান্তে আমি তাই মনে করি দুপক্ষেরই লাভ। আর দূর্ঘটনা কমলে আমাদের সবারই তো লাভ। যারা ভাতের চিন্তা করছেন, তারা যে মিটারে চলেন না(সিএনজি), "যাব না"-বলে বসে থেকে ভাড়া বাড়ান, অটোচালক যে ব্যাটারির খরচের তুলনামূলক ভাড়া বেশি নেন -এসব কথা কে বলবে? তবে মন্ত্রী যে আশ্বাস দিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে চার লেনের রাস্তায় সাইডে ছোট লেন করা হবে তিন চাকার আলাদা চলার জন্য, এই প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন হোক। তাহলে উভয় স্বার্থই রক্ষা পাবে
- দেব দুলাল গুহ (দেবু ফরিদী)
সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। সহমত।
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫১
গাই ফকস বলেছেন: রাস্তা সরু, কথা সত্য। তবে 'রাস্তা সরু' বলে আলোচনা সামনে এগোনোর মানে ব্যাপারটাকে 'স্বাভাবিক' করে তোলা। অনেক মহাসড়কের দু'ধারে গাছের সারি দেখে প্রকল্পিত রাস্তা কতটুকু ছিল তা সহজেই অনুমেয়। মজাদার ব্যাপার হচ্ছে শহরতলীর তলা শেষে রাস্তা হঠাৎ করে চিকন হয়ে যাওয়া দেখে মনে হয় রাস্তা তৈরী হয় 'অডিয়েন্স' বুঝে। উত্তরবঙ্গ রুটে চন্দ্রা পার হলে; নবীনগর-মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া রুটে নবীনগগর পার হলে; আবার দক্ষিণবঙ্গের দিকে যাত্রাবাড়ী পার হলে রাস্তা হঠাৎ করেই যেন চিকন হয়ে যায়। সাদা চোখেই অডিয়েন্স বুঝে রাস্তা তৈরীর ব্যাপারটা ধরা পরে। তবুও আশাবাদী কেননা 'প্রকল্প' চলছে। তবে এবারে রাস্তার দু'পাশের সারি সারি গাছগুলো আরেকটু কাছে এনে লাগালে ভালো। জোচ্চুরি ধরা পড়বে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৩৮
শাহরিয়ার সনেট বলেছেন: সব ই স্বার্থ!