নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
মেয়েদের আছে তিনটি প্রজাতি। এক, যারা ফেসবুকে ছবি আপলোড করে না। দুই, যারা একটু পরপরই দামী কসমেটিকস এর সদ্ব্যবহার করে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ছবি তুলে, অতঃপর ঘন্টাব্যাপী সেই ছবি এডিট করে তিলকে তাল বানিয়ে ফেসবুকে আপলোড করতে অপরিসীম আনন্দ পায়! এই দুই প্রজাতিই খারাপ। বাকিরা ভালো। তারা পরিমিত পরিমাণে ছবি আপলোড করে, ছবি অতটা এডিটের ধার ধারে না।
প্রথম প্রজাতির মেয়েরা নানা কারণে ফেসবুকে ছবি আপলোড করে না। এর পিছে আছে নিজের ছবি অন্যের দ্বারা অপব্যবহৃত হয়ে ফেইক আইডি খোলার ভয়। আছে ধর্মীয় কারণও। কারও আবার পরিবার থেকেও নিষেধাজ্ঞা থাকে! আরও কেউ আছে যারা বলে "ছবি আপলোড করতে ভালো লাগে না" । এই ধরণের মেয়েরা হয় নিজেদের "অসুন্দর" বলে মনে করে, নয়তো ফেইক আইডি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই প্রাকৃতিক দৃশ্য, বারবি ডল কিংবা নায়িকাদের ছবি সম্বলিত আইডি দেখলে ফেইক বলে মনে হয়। ব্যাস, তুমি ফলো করতে থাকো আমায়, লিস্টে নো এন্ট্রি। এইতো সেদিন প্রাইমারীর এক বান্ধবি আমাকে অনেক খুঁজেটুজে অ্যাড পাঠালো। সেই ক্লাস ৫ এর পর আর দেখা নেই, চেহাড়াটাও মনে নেই। অথচ ফেসবুকেও ছবি নেই। জানালো, পরিবার থেকে মানা আছে!
দ্বিতীয় প্রজাতির ("প্রজাতি" শব্দটাকে অন্যভাবে না নিই, বরং "জাতির একটা প্রকার" হিসেবেই দেখি) মেয়েদের ফেসবুকের নিউজ ফিডে অবিরাম বিচরণ। অধুনা "সেলফি" নামের আরেক বিরক্তির আবির্ভাব ঘটেছে। এই মেয়েদের ছবিগুলো এডিটিং এর কল্যাণে সুন্দর হয়। তাই, "না পারি ফলোয়ার করিয়া রাখিতে, না পারি সহিতে..."
বাকি মেয়েরা বেশিরভাগই ফেসবুকে সময় কম কাটায়। হয়তো তারা ফোনে কথা বলেই বেশি সময় কাটায় এই ডিজিটাল যুগেও! আবার হয়তো এডিটিং বিদ্যেটা ভালোভাবে আয়ত্ত হয়ে ওঠেনি এখনও!
আশায় রইলাম, ছেলেদের নানা প্রজাতি নিয়েও কোন রমনী সাহস করে গবেষণাধর্মী কিছু লিখবেন। (হা হা হা)
-দেব দুলাল গুহ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ