নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
সবার সুন্দর মন নেই। যাদের আছে, তারা সেটা নিজেরাই গড়েছে। ছোট থেকেই প্রথমে পরিবার, স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি, বন্ধুবান্ধব সবাই সুন্দর মন গড়ায় ভূমিকা রাখে। মনের অনেকগুলো জানালার মাঝে, একটা জানালা আছে 'ভাবনার জানালা'। এই জানালা বন্ধ থাকলে মনটা সংকীর্ণতায় ভরে যায়। সীমিত গণ্ডির বাইরে সে মন তখন ভাবতে পারেনা। সীমার বাইরে ভাবতে হলে মনের জানালা খুলে দিতে হয়, মনের জগতের পরিধি বাড়াতে হয়। ভাবনার জানালার পাল্লা খুলে দিলে মন ভাবনার অসীম জগতের সন্ধান পায়। সে জগত নিংড়ে বের করে আনে নতুন নতুন ভাবনা। সৃষ্টির উল্লাসে মেতে ওঠে মন।
ভাবনার এই জানালা খুলে দিয়ে যে অবারিত জগতের সন্ধান মেলে, সৃষ্টিশীল মন সেই জগত থেকেই নিয়ে আসে লেখা। একেকটি লেখা লেখকের হাতের দুই আঙ্গুলের মাঝে রাখা কলমের খোঁচায় কিংবা দশ আঙ্গুলে ল্যাপটপের কীবোর্ডে সৃষ্টির আনন্দে মেতে ওঠে। এভাবেই রচিত হয় নতুন জগত, নতুন লেখনীর ভেতর দিয়ে। এই জানালা সবসময় খোলা রাখা কষ্টসাধ্য। অন্য জানালা দিয়ে প্রবেশকৃত বাতাসে এই জানালার পাল্লা প্রায়ই বুজে আসে। দুশ্চিন্তার জানালাটা আবার বুজে রাখা মুশকিল। নানা রকম সমস্যার বাস্তবতা ভাবনার জগত উন্মোচিত হতে বাধা দেয়। সবসময় তাই মাথায় লেখাও আসেনা।
মাঝে মাঝে নিজের লেখা পড়ে নিজেই অবাক হই। মাঝে মাঝে আবার বিরক্ত হয়ে অসহায় হয়ে দুশ্চিন্তার জানালাটা বন্ধ করে লেখনীর রঙের ডালা নিয়ে শৈল্পিক কিছু আঁকতে চেষ্টা করি। লিখতে শুরু করলে পেটের ক্ষিদে ভুলে যাই, ঘুম উবে যায়। লেখা মাথায় এলে সেটা ল্যাপটপে নামানোর আগ পর্যন্ত আর কিছু মাথায় আসেনা। তীব্র প্রসববেদনায় ছটফট করি যেন তখন!
তবে, সত্যি বলতে কী, লেখালেখির জগতটাই সংগ্রামের। শুধু লেখালেখি করে এই সমাজে টিকে থাকা কঠিন। চাটুকারিতা আর দলবাজির সমাজে সেগুলো না করে লেখক-স্বীকৃতিটাও জোটে বড় কষ্টে! কত লেখকই তো যোগ্যতার মূল্যায়ন পেলেন মৃত্যুর পর! মরে যাওয়াটাও খুব একটা সহজ কাজ নয়। তাই বেঁচে থাকতে হয়। জীবিকার প্রয়োজনে শুধু লেখা নিয়ে থাকলে চলে না। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই চলে লেখালেখি। চলুক, ক্ষতি কী
-দেব দুলাল গুহ
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬
জাহিদ হাসান মিঠু বলেছেন: কোন ক্ষতি নাই, লিখে যান দুর্বার গতিতে।
ধন্যবাদ।