নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
এতদিন আইএস এর ওপর একযোগে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। খুব একটা সাফল্য যে এসেছে তা নয়। যুক্তরাষ্ট্র আসলে "ধীরে চলো" নীতিতে এগুচ্ছিলো। একবারেই সব দিয়ে না দিয়ে কিস্তিতে কিস্তিতে দিয়ে বাড়তি সুবিধা আদায় আর কি! যুক্তরাষ্ট্র চাইছিলো সিস্টেমে সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারকে চাপে ফেলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে নতুন কাউকে বসিয়ে (যে তার কথা শুনবে) তারপর আইএসকে মরণ কামড় দেবে। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। এক, সোশ্যালিজম উৎখাত করে সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠা। দুই, ক্রমশ যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের হুমকি হয়ে ওঠা আইএসকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সেই সাধ পূরণ হচ্ছে না এত সহজে, অন্তত যতদিন বাশারের বন্ধু কমিউনিস্ট-সোস্যালিস্টদের ভরসা সাম্রাজ্যবাদের শত্রু পুতিন আছেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের আগের সেই জৌলুষ নেই ঠিক, কিন্তু বাঘ তো বাঘই হয়। এতদিন হামলাকারী জোটের বাইরে থেকে কথা বলে এসেছেন পুতিন। তাঁকে বাইরে রাখাটাই হয়তো ভালো ছিলো যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুট করে বলে বসলেন, পুতিন নাকি খরচ করতে রাজি নয়, শুধু বাইরে থেকেই ফাঁকা বুলি আওড়ান! ব্যাস, এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলো রাশিয়া। ওদিকে আসাদও বুঝে গেছেন, আইএস উৎখাতের নামে যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য কী! ক্ষমতা রক্ষায় শেষে রাশিয়াকে হামলায় অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
মস্কোও যেন এই অপেক্ষাতেই ছিলো। সাথে সাথেই রাশিয়ার পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাশ হয়ে গেলো। ১৯৭৯ সালের আফগান অভিযানের পর এই প্রথম দেশের বাইরে দূরবর্তী কোন স্থানে আবারও সামরিক হামলায় অংশ নিচ্ছে রাশিয়া। পুতিন স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন, "জঙ্গিরা রাশিয়ায় আঘাত হানার আগেই মস্কো তাদের ওপর হামলা করবে"। তিনি আরও বলেন, "আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ঠেকানোর একমাত্র যথার্থ উপায় হচ্ছে আগে থেকে সক্রিয় হওয়া, কাছে আসার জন্য অপেক্ষা না করে সন্ত্রাসীদের ইতিমধ্যে দখল করা ভূখণ্ডেই লড়াই করে তাদের ধ্বংস করা"।
সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ওবামা-পুতিন বৈঠকের পরই রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলায় যোগদানের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিলো। এবার সত্যি সত্যিই সামরিক বিমান পাঠানোয় নড়েচড়ে বসেছে ওয়াশিংটন। এবার শুরু হলো আরেক স্নায়ুযুদ্ধ। শুরু হলো আইএস এর বিরুদ্ধে ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা। যে বেশি সফল হবে, সে-ই ঠিক করবে সিরিয়ায় আসাদ ক্ষমতায় থাকবে কি না -ব্যাপারটা যেন এমনই। তবে খোদ আসাদ ক্ষমতায় পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলে খবরে প্রকাশ। তাহলে রাশিয়া কী চায়? যেকোন মূল্যে দেশটিতে সোশ্যালিজম টিকিয়ে রাখা, পাশ্চাত্যের আধিপত্য থেকে মুক্ত রাখা? রাশিয়া থেকে যে হাজার হাজার রুশ নাগরিক আইএস এ যোগ দিয়েছে, পুতিন চান না তারা দেশে ফিরে এসে আবার কোন ঝামেলা বাধাক। তাই সিরিয়ার মাটিতেই তাদের সলিল সমাধি রচনার পণ করেছেন তিনি?
এদিকে মার্শাল বাশার-আল-আসাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তে নেমেছে ফ্রান্স। বাশার পড়েছেন নানা জটিলতায়। এই অবস্থায় টিকে থাকাটাই তাঁর জন্য অনেক। আইএস ওদিকে দিনকে দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। কী হবে শেষে? কারা জয়ী হবে? ক্ষমতার প্রদর্শনের লড়াইয়ে কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন?
-দেব দুলাল গুহ
সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭
মুখ ও মুখোস বলেছেন: এই দাদা, তুমি তো খুব ভালো লিখো। কোন পত্রিকায় লিখো দাদা??
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
...নিপুণ কথন... বলেছেন: ধন্যবাদ। প্রথম আলো এবং ইত্তেফাকে।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯
মামু১৩ বলেছেন: আইএসআই কে সৃষ্টি করল, কেন করল, কারা তাদের খরচ দিচ্ছে--এসব ব্যাপারে আপনি চুপচাপ।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫০
...নিপুণ কথন... বলেছেন: আপনিই বলুন!
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩
SohanX বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমি বিস্মিত । এত বিশ্লেষণ কেম্নে করেন।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
...নিপুণ কথন... বলেছেন: ধন্যবাদ। সাথে থাকুন।
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণমূলক পোস্ট। +।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
...নিপুণ কথন... বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
...নিপুণ কথন... বলেছেন: এখন পর্যন্ত ১৮৫ বার লেখাটি পড়া হয়েছে দেখে ভাবলাম নিশ্চয়ই লেখাটি নির্বাচিত লেখার তালিকায় স্থান পেয়েছে। অবাক হলাম, যখন দেখলাম নির্বাচিত হয়নি এই লেখাটি!
৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: লেখাটি নির্বাচিত পাতায় দেখলে খুশি হতাম।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১০
...নিপুণ কথন... বলেছেন: ধন্যবাদ। এডমিনদের কেউ মনে হয় একমত নন!
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
মোঃ ইয়াসির রহমান বলেছেন: স্নায়ুযুদ্ধ আসলে ভ্লদিমির প্লুতিন ক্ষমতায় আসার কিছু পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। ইউক্রেন ইস্যুতে জল কম ঘোলা হয়নি। তবে সিরিয়ায় রাশিয়ার হামলার ঘোষণা সেটাতে নতুন মাত্রা যোগ করল এবং পরিস্থিতির জটিলতা অনেক বাড়িয়ে দিল।দেখা যাক কি হয়।চমৎকার বিশ্লেষণ ভালো লাগলো।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩
...নিপুণ কথন... বলেছেন: স্নায়ুযুদ্ধ তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই শুরু হয়েছে। হ্যাঁ, পুতিন ক্ষমতায় আসা এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে তা নতুন মাত্রা পেয়েছে। পুতিন কাউকেই ছাড় দেবার পাত্র নন। বিশ্বে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় এমন মনোভাবের দরকার আছে।
ধন্যবাদ।
৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪
কিরমানী লিটন বলেছেন: এখন যুগ-সন্ধিক্ষণ!প্রতিটি প্রলয়ে তাই বিপুল বিনাশের আয়োজন,মাতামাতি।শুদ্ধ বিবেকের বৈধব্য আকাল!!!
আর যুগসন্ধি পেরুলেই প্রগতিরা পৌঁছে পরের ধাপে।পৃথিবী রঙ বদলায়,তাঁর সাথে।
এটা হয়তোবা তারি অশনি ইশারা ...
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে,সমকালীন ভয়াল বাস্তবতার যুগসন্ধির জটিল সমিকরনের চিত্রটাকে,প্রজ্ঞার মোড়কে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য।সতত শুভকামনা ...
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
...নিপুণ কথন... বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। সভ্য ও সুন্দরের টিকে থাকা জরুরি।
৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কী হবে শেষে?
কারা জয়ী হবে?
ক্ষমতার প্রদর্শনের লড়াইয়ে কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন?
আরেকটা প্রশ্ন- আমাদের অবস্থান কি হবে????
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
...নিপুণ কথন... বলেছেন: সময় আসুক, তখনই সে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।
১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঐ যে দেখূন আজই শুরু হয়ে গেছে..
রাশিয়ার সবাই সন্ত্রাসী বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
সেই সঙ্গে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মিত্র বলে পরিচিত রাশিয়া ও ইরানের জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি।
আঁতে ঘা লাগলে তাদের লুকানো নখ বের হতে সময় নেয় না। তখন এমনকি রাস্ট্রের সকলেই সন্ত্রাসী হয়ে যায়
সারা বিশ্বে একটা পরিবর্তনের যে গুমোট ইচ্ছে গুমরে মরছিল এখন মনে হয় তার প্রসব বেদনা উঠেছে!!!
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৬
...নিপুণ কথন... বলেছেন: শেষের বাক্যটা ভালো বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪
ময়না বঙ্গাল বলেছেন: জটিল সন্ধিক্ষণ । সময় মনে হয় এটা শিক্ষা দিতে আসছে বিশ্বকে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নিতে । সামনে মত চিন্তা বিনিময় করতে চাই ।