নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
বছরের সবচেয়ে দীর্ঘ রাতটা নাকি আজ। এক বন্ধুকে দেখলাম, একাকিত্বের হতাশা প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছে। আরেকজন দেখলাম, আজ যাদের বাসর রাত, তাদেরকে ঈর্ষা করে লিখেছে। হুম, ব্যাচেলরদের জন্য আজকের রাতটা একা কাটানো কষ্টের বৈকি।
আজকের রাতটা আমি একটা গেইম খেলে কাটিয়ে দেবো বলে ভাবছি। একটু দেরীতে হলেও আজ বিকেলে প্রায় ১০ বারের চেষ্টায় গেইমটা আমার সেটে ইন্সটল দিতে সক্ষম হয়েছি। গেইমটার নাম "হিরোজ অব ৭১" । আপনারা অনেকেই গেইমটি খেলেছেন। যারা খেলেননি, তাঁরা মিস করেছেন। একাত্তরের চেতনাকে যারা হৃদয়ে ধারণ করেন, তাঁদের অবশ্যই গেইমটি খেলা উচিৎ।
দারুণ একটা কাহিনী আছে গেইমটির প্রেক্ষাপটে। একেবারে একাত্তরের আবহেই মনে হবে আপনি যুদ্ধ করছেন পাকিদের সাথে। গ্রাফিক্স, সাউন্ড, মেকিং, থিম -সবটাই দারুণ লেগেছে আমার। বিজ্ঞানমনষ্ক দেশপ্রেমী তরুণেরা আমাদের চমকে দিয়েছে এটা বানিয়ে। এই বিজয়ের মাসে এর চেয়ে সুন্দর উপহার আর কিছু হতে পারে না।
অনেকবার খেললাম গেইমটা। বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারছি না। আমি আবার ঘাপটি মেরে পড়ে থেকে জীবন বাঁচানোর যোদ্ধাদের দলে নই, বরং জীবন বাজি রেখে সামনাসামনি লড়াইয়ের পক্ষে। তাই বেশিক্ষণ টিকে থাকা যাচ্ছে না। এই পর্যন্ত একটা গেইমে সর্বোচ্চ ১০০ টার মতো পাক হানাদার মেরেছি। তিনজন যোদ্ধার ভূমিকায় খেলা যায়, ব্যবহার করা যায় তখনকার ব্যবহৃত প্রায় সব অস্ত্রই। তবে গেইমটা খেলা বেশ কঠিন। এ প্রসঙ্গে নির্মাতাদের বক্তব্য- "দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া নয়"। একটু কঠিন তো হবেই! কতগুলো গুলি আছে, জানতে পারছি, আরও কত সহায়তা পাচ্ছি গেইমে, বাস্তবে কি এমনটা পেয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা? নিশ্চয়ই না। তাই বেশি সহজ করে ফেললে গেইমটার মর্যাদা থাকতো না।
আজকের রাত হানাদার নিধনের উল্লাসে মেতে ওঠার রাত। আজকের দীর্ঘ রজনী একা থাকার প্রশ্নই তাই ওঠেনা।
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০২
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমি শুধু ম্যাচিং গেমস খেলি
মারামারি ভাল লাগেনা। আমার ছেলেকে বলছি এই গেমস এক্ষুনি ডাউনলোড করে খেলার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৪
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: চমৎকার কাজ!!! আমার অবশ্য এই বড় রাতে ঠান্ডায় ঠক ঠক করা ছাড়া কোন কাজ নাই। গেস্ট থাকায় আরামে ঘুমানোরও সুযোগ নাই।