নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

তৃপ্তির ঢেকুর তোলা মানেই যেখানে বিলাসিতা

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৮



এসএ গেমসে দেশের জন্য সোনা জিতে আনা মেয়েটি, একমাত্র এই দুর্ভাগা দেশেই, সোনার মেডেলটিকে গর্বের প্রতীক হিসেবে শো-কেসে সাজিয়ে রাখতে পারে না। তাঁকে ভাবতে হয় মেডেলটি বিক্রি করে বাবার চিকিৎসা করানোর কথা। প্রয়োজনের কাছে অর্জন এখানে পরাজিত, তৃপ্তির ঢেকুর তোলা মানেই বিলাসিতা।

আমাদের মতো দেশে বিয়ের বয়স হবার পরেও বিয়ের পিঁড়িতে না বসে, চাকুরির চেষ্টা না করে, শুধু ভালোলাগা নিয়ে স্বপ্নের পেছনে পড়ে থাকতে পারে- এমন মেয়ের সংখ্যা হাতে গোনা। এখানে সর্বোচ্চ স্বজনপ্রীতি এবং দুর্নীতি পেরিয়ে একজন প্রকৃত মেধাবীকে ওপরে উঠে আসতে হয়। এ কাজে খুব কমই সফল হয়। বাকিরা ঝরে পড়ে।

মাবিয়া ঝরে পড়েন নি। এসএ গেমস থেকে বাংলাদেশের জন্য তিনি সোনা জয় করে ফিরেছেন। জাতীয় সঙ্গীতের মূর্ছনায় তাঁর চোখের জল আমাদেরকে আবেগের জলে ভাসিয়েছে। অথচ আমরা বিমানবন্দরে তাঁকে ন্যুনতম সংবর্ধনাটুকুও দেইনি। একটা ফুলের মালা কি তাঁর প্রাপ্য ছিলো না? শুধু ক্রিকেট অথবা ফুটবলকেই কেন গুরুত্ব দেয়া হবে? বাকিগুলো কেন নয়?

দেশের একদম তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রকৃত মেধাগুলোকে ছেঁকে আনতে হবে। তাঁদেরকে লালন-পালন করতে হবে, বড় করতে হবে। পড়ালেখা, প্রয়োজনে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে। নির্ভার হয়ে যাতে তাঁরা দেশের জন্য নিজের সেরাটা দিতে পারেন।

খুব ভালো লাগলো, দেরী না করেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মিডিয়ায় আসা বিষয়টি নজরে নিয়ে মাবিয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেনে। এমন উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পেলে বাংলাদেশকে আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

-দেব দুলাল গুহ ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: খুব ভালো লাগলো, দেরী না করেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মিডিয়ায় আসা বিষয়টি নজরে নিয়ে মাবিয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেনে। এমন উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পেলে বাংলাদেশকে আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

যাক মাবিয়া তার প্রাপ্য সম্মান পাবে জেনে আনন্দিত।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

চিন্তাবাজ বলেছেন: সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০০

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: সোনার বাংলাদেশে আসলে সোনার অভাব নাই তোহ, তাই তারা প্রকৃত সোনার দাম দে নাহ, তারা ভাবছে বিমান বন্দরে যেহেতু প্রতিদিন হাজার পিছ সোনা পাওয়া যায়, সেখানে এ একটা পিছ চাইডা দিলে কি হয়...?

আসলে ভাই, কস্টের সাথে এটাই বলতে হচ্ছে যে,
আমরা প্রকৃত খাটি মানুষদের দাম দিতে জানি নাহ। :'(

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৪

প্রামানিক বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে ভাল লাগল। ধন্যবাদ

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৬

সায়েল বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো। এই মেধাবীদের উঠে না আসার জন্য দায়ী আমাদের সমাজব্যবস্থা। :(

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩০

রাফা বলেছেন: মাবিয়া অনেক বেশি সন্মান ও উৎসাহ পাওয়ার অধিকার রাখে।তার ফেডারেশনও কেনো তাকে যথাযোগ্য সন্মানটুকু দেখালোনা খুব অবাক লাগে.। সব কিছুই একজন প্রধানমন্ত্রীকে কেনো দেখতে হবে সেটাই বুঝিনা।বাংলাদেশে প্রকৃত মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমতেছে।দায়িত্ব জ্ঞানহীন মানুষের আধিক্য চারিদিকে।তাই প্রতিভার এত অবমূল্যায়ন।নিজেরা 'তো কিছুই পারিনা দেশের জন্য ।যারা কিছু অর্জন নিয়ে আসছে দেশের জন্য তাদেরকেও যথাযোগ্য মর্যাদা দেই না।যা খুবই দুঃখ জনক আমাদের জন্য.

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এরকম প্রতিভাদের সঠিক মূল্যায়ন হোক, এটাই চাইব।

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৪৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: দেশের সুর্যসন্তানদের যথার্থ সন্মান না দিয়ে আমরা কি নিজেদের ছোট করিনি? আফসোস!!

এই লজ্জা মেনে নেবার মত নয়!

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: সঠিক মূল্যায়ন প্রয়োজন।

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

বিজন রয় বলেছেন: আফসোস।

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

রিকি বলেছেন: মাবিয়া ঝরে পড়েন নি। এসএ গেমস থেকে বাংলাদেশের জন্য তিনি সোনা জয় করে ফিরেছেন। জাতীয় সঙ্গীতের মূর্ছনায় তাঁর চোখের জল আমাদেরকে আবেগের জলে ভাসিয়েছে। অথচ আমরা বিমানবন্দরে তাঁকে ন্যুনতম সংবর্ধনাটুকুও দেইনি। একটা ফুলের মালা কি তাঁর প্রাপ্য ছিলো না? শুধু ক্রিকেট অথবা ফুটবলকেই কেন গুরুত্ব দেয়া হবে? বাকিগুলো কেন নয়?

এভাবেই প্রতিভাগুলো দিনের পর দিন হারিয়ে যায়। বিগত বছরগুলোতে দেখবেন, ফুটবল বা ক্রিকেট বাদেও অন্যান্য খেলাতে অ্যাথলেটরা যথেষ্ট ভালো করেছে---দেশের ভাবমূর্তি একটু হলেও বাড়িয়েছে। কিন্তু এদেরই ট্রেইনিং থেকে শুরু করে যাবতীয় ব্যাপারে গাফিলতি সর্বোচ্চ....অবহেলিত শিশুর মত। আশা করি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করবে এই সেক্টরের মানুষগুলো অদূর ভবিষ্যতে। প্রতিভাগুলো যেন পেটের তাগিদে, পরিবারের চিন্তাতেই হারিয়ে না যায়। আশা করি, তারা নিজেদেরকে মেলে ধরার সুযোগ পাবে আর দশটা দেশের মতই। গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। অনেক অনেক ভালো লাগা জানবেন :) :)

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মাবিয়া প্রমাণ করেছেন মেধা আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে কোন বাধাই বাধা নয়।

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: প্রতিভাকে কিভাবে গলা টিপে হত্যা করা হয়, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ বাংলাদেশ.। মাবিয়াও অচিরে হারিয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

১৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ----- বাংলাদেশের জন্য তিনি সোনা জয় করে ফিরেছেন।
জাতীয় সঙ্গীতের মূর্ছনায় তাঁর চোখের জল আমাদেরকে আবেগের জলে ভাসিয়েছে।

অথচ আমরা বিমানবন্দরে তাঁকে ন্যুনতম সংবর্ধনাটুকুও দেইনি।
একটা ফুলের মালা কি তাঁর প্রাপ্য ছিলো না?
শুধু ক্রিকেট অথবা ফুটবলকেই কেন গুরুত্ব দেয়া হবে?

জ্বলন্ত প্রশ্ন। পজিটিভ উত্তরটা খুবই জরুরী..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.