নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
পাঁচ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কিছু শহরে ফাইবার অপটিক কেব্লের মাধ্যমে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিচ্ছে গুগল। এবার ঘরে ঘরে দ্রুতগতির তারহীন ইন্টারনেট সংযোগ দিতে চাইছে এই বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ফাইবার অপটিক কেব্লের মাধ্যমে দূর-দূরান্তে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিষ্ঠান গুগল অ্যাক্সেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রেইগ ব্যারেট ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা এমন এক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন, যা তারহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের ঘরে ঘরে।
গবেষণার কাজটি কীভাবে এগোচ্ছে সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ব্যারেট জানিয়েছেন, বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে এমন ফাইবার অপটিক কেব্লের সংযোগগুলোকে তারহীন প্রযুক্তির টাওয়ারের সঙ্গে যুক্ত করে একটা বড়সড় তারহীন নেটওয়ার্ক তৈরির কাজ চলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে আমাদের আগের কাজকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছি। যেটা বাণিজ্যিক আকারে আসবে।’
প্রযুক্তিভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল আর্সটেকনিকার প্রতিবেদনে জন ব্রডকিন লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রামাঞ্চলের অনেক স্থানেই অপটিক্যাল ফাইবারের সংযোগ-সুবিধা নেই। সেসব জায়গায় তারহীন ইন্টারনেট সুবিধা চালু আছে। তবে গতি ধীর। গুগল যদি এই গতিকে বাড়িয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারে, তবে দারুণ হবে।
প্রজেক্ট ডেসিবল নামের এক প্রতিষ্ঠান তারহীন নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছে। এই নেটওয়ার্ক উচ্চকম্পাঙ্কের বর্ণালি (স্পেকট্রাম) ব্যবহার করে গিগাবাইট গতি দিতে পারবে বলে প্রতিষ্ঠানটি ব্রডকিনকে জানিয়েছে। এই বর্ণালিতে থাকবে মিলিমিটার তরঙ্গ, যার কম্পাঙ্ক ৩০ গিগাহার্টজ থেকে শুরু। ব্যবহারকারী তার জানালায় একটি রিসিভার (গ্রাহক যন্ত্র) বসিয়ে এই তারহীন ইন্টারনেটের সংকেত গ্রহণ করতে পারবে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইভ-জি ইনোভেশন সেন্টারের (৫ জিআইসি) একদল গবেষক তাদের গবেষণাগারে ১০০ মিটার দূরত্বে ১ টেরাবাইট ফাইভ-জি গতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে বলে এ বছরের শুরুতে ঘোষণা দিয়েছে। এটাই এখন পর্যন্ত অর্জিত সর্বোচ্চ গতি বলে জানা গেছে। সেন্টারের পরিচালক রহিম তাফাজল্লি জানিয়েছেন, ‘এই গতি অপটিক্যাল ফাইবারের সমান।’
গুগল যদি এই গবেষণায় সফল হয়, তবে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দিতে যখন-তখন রাস্তা খুঁড়ে ফাইবার কেব্ল বসানোর ঝামেলায় আর পড়তে হবে না। আবার কমকাস্ট, এটিঅ্যান্ডটি এবং ভেরাইজনের মতো বড় যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছেও জিম্মি হয়ে থাকতে হবে না গ্রাহকদের। মোদ্দাকথা, এই গবেষণা সফল হলে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে একটা বড় পরিবর্তন ঘটে যাবে।
দেব দুলাল গুহ,
সূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: দারুণ খবর