নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ: জরুরি ফোন নম্বর প্রচলন (বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে এর গুরুত্ব)

১০ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৪৭



(বাংলাদেশেও একটি কার্যকর জরুরি ফোন নম্বর চালু করা এখন সময়ের দাবি)

উন্নত দেশগুলোতে বিপদের সময় জরুরি পুলিশী সাহায্য চাওয়ার জন্য একটি সাধারণ টেলিফোন নম্বর থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি ৯১১, আর ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১১২। এর অর্থ হলো, দেশটির বা দেশগুলোর কোনো নাগরিক হঠাৎ কোনো বিপদে পড়লে হাতের মোবাইল বা ল্যান্ডফোন থেকে এই নম্বরটিতে ডায়াল করলে মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কলটি সরাসরি জননিরাপত্তা উত্তরপ্রদানকারী কেন্দ্রে (PSAP) ট্রান্সফার করা হয়। এরপর সেখান থেকে কেউ একজন বিপদগ্রস্থ মানুষটির ফোন রিসিভ করেন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলেন, বিপদ সম্পর্কে জানেন। কোথা থেকে ফোনটি করা হচ্ছে, তা বলে দিতে হয়না। মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান তার অবস্থান সনাক্ত করে নিজে থেকেই পাঠিয়ে দেয়। এরপর জরুরি অবস্থার গুরুত্ব বিবেচনায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। শুধুমাত্র জরুরি অবস্থাতেই কেবল এই নাম্বারে ডায়াল করে হেল্প চাওয়া যায়, অন্য কোনো কারণে এখানে ফোন করলে আইনের মুখোমুখি হতে হয়।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে, এমন একটি সাধারণ জরুরি নাম্বার চালু করা এখন সময়ের দাবি। শুধুমাত্র বিপদের সময়েই এই নাম্বারে কল করা যাবে। নিজে বিপদে পড়লে অথবা আশপাশে কোথাও কাউকে বিপদে পড়তে দেখলে এই নাম্বারে কল দিয়ে সাহায্য চাওয়া যাবে। এই কলগুলো রিসিভ করবেন একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, যিনি ঘটনার গুরুত্ব অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবেন এবং স্বল্পতম সময়ের মাঝে জরুরি সাহায্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন। যেমন জরুরি পুলিশী সাহায্য লাগলে নিকটস্থ থানায় জানাবেন, আবার কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টে জানাবেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তখন যত দ্রুত সম্ভব ঘটনাস্থলে পৌঁছে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। তবে কেউ যাতে এই সুবিধার অপব্যবহার করে অযথা ফোন দিয়ে বিরক্ত না করে, সেজন্য আইনী ব্যবস্থা নেয়ার সম্মতি থাকা চাই। এখন তো সিমগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা গেছে, তাই বিপদে কে পড়েছেন তা যেমন তার ফোনের নাম্বারটি থেকে জানা যাবে, তেমনি জরুরি বিপদে কেউ ফোন না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা যাবে।

এই মুহুর্তে বাংলাদেশে এমন কোনো সার্ভিস চালু না থাকায়, অনেক অপরাধীই অপরাধ করে সটকে পড়তে পারছে। এটি চালু হলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা দেখলে আগেভাগেই পুলিশী সাহায্য চাওয়া সম্ভব হবে এবং যথেষ্ট তৎপর হয়ে সঠিক সময়ে পৌঁছানো গেলে অপরাধীকে অপরাধ সংগঠন করা থেকে হয়তো বিরতও রাখা যেতে পারে অথবা অপরাধ করে পালিয়ে যাওয়ার আগে ধরে ফেলা যেতে পারে। অথচ এখন কাউকে খুন করে নির্জন জায়গায় রেখে গেলে অন্য কেউ দেখার আগ পর্যন্ত জানাও যাচ্ছে না যে কেউ একজন খুন হয়েছে, ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা। এমনটা করা গেলে অপরাধ প্রবণতা স্বাভাবিকভাবেই কমে আসবে। তাছাড়া এই সার্ভিস সেন্টারে বিপুল সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।

কী হতে পারে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জরুরি ফোন নাম্বারটি? আমাদের সবচেয়ে বড় গর্বের দিনটি এসেছিলো ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, যেদিন আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। এখন, ১৬/১২/৭১ তারিখটার সংখ্যাগুলোকে আলাদাভাবে যোগ করলে পাই, ৭৩৮ (১+৬=৭, ১+২=৩ এবং ৭+১=৮)। আবার প্রতিটি সংখ্যার প্রথম অংকগুলো নিলে আমরা পাই ১১৭। তাই আমার পরামর্শ মতে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জরুরি ফোন নাম্বারটি হতে পারে ৭৩৮ অথবা ১১৭।

অনেকেই হয়তো বাংলাদেশের জন্য এই পরিকল্পনাকে উচ্চাভিলাষী বলে মনে করতে পারেন, কিন্তু এটা মোটেই উচ্চাভিলাষী নয়।উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়াতে হলে আমাদের চিন্তাভাবনার জায়গাটাও উন্নত এবং প্রযুক্তিবান্ধব হতে হবে। আমরা এখন নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরেই, অর্থাৎ দ্বিতীয়। অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের উন্নতি অগ্রগতি বিশ্বের অনেক দেশের কাছেই এক উদাহরণ।এমন এক অবস্থায়, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে যেকোনো মূল্যে বৈশ্বিক এই জঙ্গীবাদকে রুখে দিতে হবে। বীর বাঙ্গালি একত্রিত হয়ে এই কাজটা বহুবার করেছে, আবারও করবে। সবাই মিলে আমরা আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখবো।আর, একটি 'ইমার্জেন্সি টেলিফোন নম্বর' চালু করা গেলে অপরাধ দমনে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সর্বসাধারণের নিরাপত্তা রক্ষার কাজটি আরও সহজ হবে।

দেব দুলাল গুহ
*লেখকঃ সাংবাদিক ও প্রবন্ধকার।


(১০ আগস্ট ২০১৬, প্রকাশিত: দৈনিক ইত্তেফাক উপসম্পাদকীয়)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

দুর্দান্ত কাফেলা বলেছেন: ইউ কে - ৯৯৯ - পুলিশ ও এম্বুলেন্স/হসপিটাল সেবার জন্য --

এমনই সহজ কোন নম্বর হওয়া উচিত - বর্তমানে সকল থানার ওসির নাম্বার দেয়া আছে - যা অযৌক্তিক

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

তারেক৭০৭ বলেছেন: আমার মনে হয় বাংলাদেশের ১/১১ এর বিপর্যয় এর কথা স্মরন করেই -১১১-হলে ভালই হবে । ভেবে দেখার অনুরোধ রইল ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৫

...নিপুণ কথন... বলেছেন: বিতর্ক এড়াতে ৭৩৮ অথবা ১১৭-ই ভালো।

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৪৫

নাইক্যডিয়া বলেছেন: বাপ্রে বাপ,মন্তব্য কর্তে কত প্যারা?
মিনিমাম ১ঘন্টা লাগে। X( X((

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:০৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কুয়েতেও আছে।। তবে দেশে না থাকাই ভাল।। সেটা সময় বা দুঃসময় যাই হোক না কেন।।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২৫

...নিপুণ কথন... বলেছেন: না থাকা কেনো ভালো? কারণটা তো বলবেন!

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

জুন বলেছেন: যেমন জরুরি পুলিশী সাহায্য লাগলে নিকটস্থ থানায় জানাবেন :-& :-&

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তেমন করে এগিয়ে কে আসবে?? আপনি কি কিছুই বুঝেন না!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.