নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাতিটি মরে গিয়ে যে শিক্ষা দিয়ে গেলো

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

একটা হাতি বিনা আমন্ত্রণেই ঢুকে পড়েছিলো আমাদের দেশে। সে যেহেতু মানুষ না, তাই তার দেশের বিভেদ জানা নেই, দুই দেশের সীমানার বিষয়টিও সে বোঝে না। বুনো হাতিটির কাছে গোটা পৃথিবীটাই বিনা বাধায় নিজের বিচরণক্ষেত্র। তাই সে বন্যার পানিতে ভেসে বিনা পাসপোর্ট-ভিসাতেই একদেশ থেকে অন্য দেশে চলে এসেছিলো। এসে যে কাউকে পা দিয়ে চাপা দিয়ে বা শুঁড় দিয়ে আছাড় মেরে মেরে ফেলেছে তা নয়। শুধু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হেঁটে বেড়িয়েছে, আর শরীরের চাহিদা বলেই খাবার খেয়েছে। এতে তার কোন দোষ দেখিনা। সে 'অন্যের বাড়ি'তে গিয়ে খেতে না দিলে নিজ থেকে খেতে নেই-- এই বোধসম্পন্ন নয়।

পশুদের পোষ মানানো হয় এ কারণেই। মানুষ একটা পশুকে পোষ মানিয়ে তাকে খাইয়ে যত্ন করে তাকে দিয়ে বিভিন্ন কাজ করায় অথবা নিতান্ত শখের বশেই পুষে রাখে। সেই হাতিটিকে নানাভাবে অজ্ঞান করার চেষ্টা হলো। প্রথমে কাজ নাহলেও পরে হলো। অজ্ঞান হয়ে হাতিটি পুকুরে পড়ে গেলে এলাকাবাসীও দেশ-কালের ভেদ না করে শুধুই মানবতার খাতিরে এগিয়ে গিয়ে হাতিটাকে বাঁচাল। কিন্তু আমাদের দুই দেশের যারা 'অভিজ্ঞ' বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবিদগণ কী ইঞ্জেকশন হাতিটিকে দিলেন বা তাকে খাবার-দাবার ঠিকমতো দেয়া হলো কিনা জানা নেই, অবশেষে শুনলাম, বেচারা হাতিটি মরেই গেলো।

এই সামান্য এক বুনো হাতির জন্য যখন এলাকাবাসী কাঁদছে, তখন কিছু মানুষ এটাকে ভারত-বাংলাদেশ ইস্যু বানিয়ে ফেলছেন! কেউ কেউ হাতিটির সঙ্গে ফেলানির তুলনাও করে ফেলছেন! একজন বোধ-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সঙ্গে একটা বোধশক্তিহীন নিরীহ জন্তুর তুলনা! সেই তর্কে যাবো না, আমি বরং হাতিকে জীব হিসেবেই দেখি। কথায় আছে, 'জীবে প্রেম করে যেই জন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর'। এই সামান্য নীতিবাক্যটা ঐ গ্রামের সাধারণ জনগণ বুঝলেও অনেক বিশিষ্ট নাগরিক বুঝেন বলে মনে হয়না। হাতিটির মৃত্যুতে শোক না জানিয়ে, কর্মকর্তাদের দিকে আঙুল না তুলে, তারা তর্কে ব্যস্ত আছেন হাতিটিকে 'বঙ্গবাহাদুর' নাম দেয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে!

সত্যি বলতে কী, হাতিটি মরে গিয়ে আমাদের ব্যার্থতাগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেলো।

-দেব দুলাল গুহ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




হাতীটিকে রক্ষা করার মত দক্ষ লোকজন আমাদের প্রশাসনে নেই, এসব অদক্ষরা আমাদের দেশের প্রশাসন চালাচ্ছে।

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

ওলিউস তিরআশি বলেছেন: অবশেষে ভারত ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের যৌথ প্রযোজিত উদ্ধার অভিযানে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার প্রমাণ দিয়া বঙ্গ বাহাদূর মৃত্যুবরণ করিলেন।
একটি বুনো হাতী সামলানোর ক্ষমতা যেখানে প্রশ্নবিদ্ধ, সুন্দরবনকে তাহারা কী করিয়া বাঁচাইয়া রাখিবে!!!!!?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.