নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে যাচ্ছেন তার স্বজনেরা। টিভি চ্যানেলের নীচের দিকে এই স্ক্রল দেখে আমার মনে পড়ে গেলো কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমের কথা। এই জসিমকে টর্চার সেলে নির্মমভাবে অত্যাচার করেও তার মুখ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য বের করাতে পারেনি কাসেম। এমনকি তাঁর মাকে ধরে এনেও নানাভাবে চেষ্টা চালানো হয়, যাতে জসিম মুখ খোলে। মৃত্যুর আগে মায়ের হাতের ভাত খেতে চেয়েছিলো জসিম। কিন্তু, মা ভাত নিয়ে এসে দেখেন, তাঁর বুকের মানিককে ওরা তার আগেই মেরে ফেলেছে!
.
মুক্তিযোদ্ধা জসিম দেশের জন্য প্রাণ দিয়েও মায়ের হাতের ভাত খেয়ে যেতে পারেননি। তাঁর সেই সাধ পূরণ হতে দেয়নি কিছু বেজন্মা। তাদের আজ বিচার হলেও, সভ্য সমাজের নিয়ম অনুযায়ী বছরের পর বছর তাদেরকে রাষ্ট্রের টাকায় জনগণের ঘাম ঝরানো টাকায় খাওয়াতে পড়াতে হয়। যারা এই দেশটাই চায়নি, এইদেশে তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে হয়, তাদের গাড়িতে রক্তার্জিত জাতীয় পতাকাটাও উড়েছে নিতান্তই অনিচ্ছায়। আজ যুদ্ধাপরাধীকে সুযোগ দেয়া হয় কাছের মানুষের সাথে দেখা করার, দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাওয়ার, পছন্দের খাবার খাওয়ার!
.
ঠিকই তো আছে, আধুনিক সভ্য সমাজের এটাই রীতি। শুধু আমার কেনো তবে জসিমের কথা মনে পড়ছে? কেন মনে পড়ছে একাত্তরে আমার পরিবারের সবকিছু হারিয়ে নি:স্ব হওয়ার গল্প, যা বাবার মুখে শুনেছি-- যার কারণে বিনে চিকিৎসায় মরেছিল আমার ঠাকুরমা, যার ফল এখনও ভোগ করছি আমরা?
-দেব দুলাল গুহ
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩
আশাবাদী অধম বলেছেন: অপরাধীর উচিত বিচার হোক। আর আপনার মত রেসিস্ট রা নিপাত যাক। ঘৃণা ছড়ানো মূলত রাজনীতিকদের কাজ।