নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
কাউকে কষ্ট দিয়ে কেউ কখনও কোনো অবস্থায় সত্যিকারের সুখী হতে পারে না। আপনার কাছে ঐ মাটির মূর্তির কোনো মূল্য না থাকতে পারে, আমার কাছেও না থাকতে পারে, কিন্তু ঐ যে বিশ্বাসী মানুষগুলো, ওদের দেব-দেবীর মূর্তি ভেঙ্গে আপনি ওদের মনে ব্যাথা দিলেন। এমন ব্যাথা ওদেরকে আপনি গায়ে-গতরে মেরেও দিতে পারবেন না, এটা মনের ব্যাথা। ওগুলো মাটির খেলার পুতুল নয়, মূর্তিগুলো তাদের হৃদয়-নিংরানো ভালোবাসায় এবং ভক্তিতে তৈরি প্রতিকৃতি। জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাতারাতি আপনি ওদেরকে আপনার বিশ্বাসে বিশ্বাসী করতেও পারবেন না। ভয় পেয়ে কিছু করা আর মন থেকে গ্রহণ করা সম্পূর্ণ আলাদা কথা।
আপনার যেমন অনুভূতি আছে, তেমনি ওরাও মানুষ, ওদেরও আল্লাহ বা ঈশ্বর অনুভূতি দিয়েছেন। আপনি যেমন অভিশাপ দিতে পারেন, তেমনি ওরাও আর কিছু না পারুক, বিচার চাইতে না পারুক অভিশাপ দিতে পারে। এই অভিশাপ আসে একদম ভেতর থেকে, খাঁটি নির্ভেজাল অভিশাপ।
এতোগুলো নিরীহ মানুষকে শুধু ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে কষ্ট দিয়ে আপনি সুখী হতে পারবেন না। জোর করে অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়ে জমিছাড়া ভিটেমাটি ছাড়া করতে পারলেও আপনি ঐ ভিটায় সুখের ঘর বাধতে পারবেন না।
আপনি বরং নিজের বিশ্বাস ঠিক রেখে ওদের বিশ্বাসের প্রতি সম্মান জানিয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে ওদের পাশে দাঁড়ান। দেখবেন, আপনাকে ওরা মাথায় তুলে রাখবে, প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করবে।
আমার জানামতে পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে, অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর কথা বলে। আপনি যদি নিজেকে প্রকৃত ধার্মিক বলে দাবি করতে চান, তবে আপনি আপনার ধর্মমতেই অন্যের উপকার করুন। কারো ক্ষতি করে আল্লাহ বা ঈশ্বরের ইবাদত বন্দনা করলে তিনি তা গ্রহণ করেন না।
স্রষ্টা আমাদের সবাইকে সুমতি দিন, আমরা যেন পরমতসহিষ্ণু হই।
[দেব দুলাল গুহ (দেবু ফরিদী)
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: যে সকল পিচাশ এই ধরণের নিকৃষ্ট কার্য করে থাকে তাদের কাছ থেকে সুমতি বা পরমতসহিঞ্চুতা কামনা করা একেবারেই অলীক কল্পনা | এই সকল পিচাশের অন্তর আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা একদম সিলগালা করে দিয়েছেনা, তাই এরা মানুষকে চরম নির্যাতন বা কষ্ট দিলেও এদের মনে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা হয় না বা এদের নিজেদের সূখ স্বাচ্ছন্দ্যের কোনো ঘাটতি হয় না | বাংলাদেশের সর্বত্র হিংস্রতা, সীমাহীন লোভ, দূর্নীতির মতো সামাজিক অবক্ষয় কতটা চরমে পৌঁছেছে তা নিচের কয়েকটি উদাহরণ দিলেই পরিষ্কার হয়ে যায়:
- ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের উস্কানি দিয়ে সংখ্যালঘুদের সহায় সম্পত্তি লুটপাট, ধর্ষণ ও অন্যান্য জঘন্য কার্য কলাপ | যারা এতে জড়িত তারা কুকর্ম শেষে চরম আনন্দ লাভ করে |
- বাসার কাজের লোকদের সামান্য অপরাধে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাক দেয়া সহ বিভিন্ন রকম অত্যাচার | গৃহকর্তী/কর্তা টর্চারপর্ব শেষ হওয়ার পর মনে চরম পরিতৃপ্তির ঢেক তোলেন |
- গ্যারেজ বা অন্যত্র হতোদরিদ্র স্বল্পবয়সী কর্মচারীটির পায়ুপথে কম্প্রেসরের বাতাস প্রবেশ করিয়ে দিয়ে তার মালিক এবং অন্যান্য সহকর্মীরা এক নিদারুন আনন্দ বা রিক্রিয়েশনের মজা পান |
- সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীরা সহজ সরল পাবলিককে তাদের প্রাপ্য সেবা না দিয়ে মক্কা/মদিনা দেখিয়ে ঘুরাতে থাকেন | চরম অসহনীয় এই চক্কর থেকে নিস্তার পেতে গিয়ে পাবলিক নূন্যতম সেবাটুকু পাওয়ার জন্য তার সকল সঞ্চয় ওই দুষ্টচক্রের হাতে তুলে দিলে ওই বদমাশগুলো দাঁত কেলিয়ে হাসে, এদের মনে বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ কখনোই জাগ্রত হয় না |
-পত্রিকায় পড়লাম এক শ্রেণীর পিশাচচক্র মানুষকে নিস্রংশভাবে পঙ্গু বানিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করছে | মানুষের সবচাইতে মূল্যবান সম্পদ তার দেহটিকে চিরতরে ধ্বংস করে এই চক্রটির নিয়ন্ত্রকদের মনে কখনই বিন্দুমাত্র অনুশোচনা হয় না |
- শাহ আলম-তপন-আজাদ-দরবেশ-সিনহাদের মতো হতোদরিদ্র শিল্প (!)পতিরা জনগণের প্রাপ্য নূন্যতম আয়করটুকুও ঠিকমতো প্রদান না করে দামি দামি গাড়ি বাড়ি নারী নিয়ে ফুর্তি করতে একটুকো সংকোচ বোধ করেন না | বরং মাঝে মাঝে শেয়ার বাজার বা ডেসটিনির মতো ক্যারিকেচার করে পাবলিককে পথে বসিয়ে দাঁত বের করে হাসেন |
মানুষের হিংস্রতা, সীমাহীন লোভ, দূর্নীতির মতো মানুষের চরম অধঃপতন বা স্খলনের উপরের উদাহরণ বা তালিকা কোনোদিনই শেষ হবে না | দুঃখ লাগে এই ভেবে যে যারা এই সকল চরম পাপকার্যে জড়িত তাদের কারো মনে কখনোই বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ বা অনুশোচনা কখনোই আসে না | সেই হিসাবে এরা বেশ সূখীই বলতে হবে | এই সকল পিশাচের সূখের ঘাটতি তো আমি কখনোই দেখি না |
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
মারিয়া ফেরদৌসী বলেছেন: মানবতা সকল ধর্মের উর্দ্ধে । এটাই আমরা ভুলতে বসেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভিন্ন ধর্মের লোকদের উপর আক্রমণ করে সুখী হোন, খুশী হোন; যা ইচ্ছে তাই হোন; দেশ আপনাকে বিচারের সন্মুখীন করবে; হয়তো আপনি সন্ত্রাসী হিসেবে ক্রস-ফায়ারেও যেতে পারেন; এটা ঘটতে পারে।