|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 ...নিপুণ কথন...
...নিপুণ কথন...
	সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
বেঙ্গলের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শুনে, আর্মি স্টেডিয়াম থেকে ফেরার পথে পুলিশের হয়রানির শিকার হলাম। ঘটনা ঘটে রাত আনুমানিক ২:৩০-২:৪৫ এর মধ্যে। একাই ছিলাম সিএনজিতে। শাহবাগের দিকে ফিরছিলাম। বনানীতে নিয়মিত চেকপোস্টে থামালেও টর্চ মেরে মুখ দেখেই ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু খুব সম্ভবত মহাখালী ফ্লাইওভার পেরিয়ে এসে একটা এলাকায় (আজরাতপাড়ার কাছে মূল রাস্তার বাম পাশে) আরেকটা পুলিশের ভ্যান গাড়ি থামায়। সিএনজি চালক থামাতে বাধ্য হয়। একজন পুলিশ এগিয়ে এসে টর্চ ফেলে পরিচয়, নাম, কোথা থেকে এসেছি, কোথায় যাচ্ছি জানতে চায়। আমি সুন্দরভাবে সঠিক সঠিক জবাব দেই, আইডি দেখতে চাইলে সাথে থাকা আইডিও দেখাই। সাথে কেউ নেই, পকেটে সিগারেটের প্যাকেট পর্যন্ত নেই। তবুও সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে, তল্লাশির নামে ভোগান্তি শেষে মানিব্যাগ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
আমি প্রতিবাদ করলে প্রচন্ড বাজে ব্যবহার করে। তখন আরেক পুলিশ এগিয়ে এসে আইডিটা আবার দেখে টাকা ফিরিয়ে দেয় এবং চলে যেতে বলে। নাম আর পদবি জিজ্ঞেস করলে প্রথম পুলিশ উল্টো আমার নাম জানতে চায়। বলার পর সে খুব তাচ্ছিল্যভরে নিজের নাম বলে বদিউল আলম বা রহমান, কন্সটেবল, তেজগাও থানা। আমার ধারণা সে ভুল তথ্য দিয়েছে। নিয়মিত পোষাকের ওপর জ্যাকেট পড়া ছিল বিধায় নাম বা পদবি দেখা সম্ভব হয়নি।
নিরাপত্তার নামে এমন হয়রানির খবর শুনেছি আগেও, আজ প্রথম নিজে শিকার হলাম। সিএনজি ড্রাইভার জানালো, এই এলাকায় এটা তাদের নিয়মিত ধান্দা। আগে ১০-২০ দিলে চলতো, এখন ৫০-১০০ এর কমে কথা নাই। সাধারণ মানুষের সাথে যা হয়, তার কাছে নাকি আমারটা কিছু না। আমি বললাম, তুমি যদি জানোই, তাহলে থামালে কেন? সে বললো, না থামালে পিছন থেকে চাকায় গুলি করে! সেই অর্ডারও নাকি তাদেরকে দেয়া আছে।
সব পুলিশ যে এরকম, আমি তা বিশ্বাস করি না। বরং আমি মনে করি এমন কিছু ধান্দাবাজের জন্যই পুলিশের বদনাম হয়। দেশটা নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতাম। সেই স্বপ্ন এমন অভিজ্ঞতায় ধূসর থেকে ধূসরতর হয়ে যায়।
(সবাইকে সতর্ক করতেই এই পোস্ট। কেউ অন্যভাবে নিয়েন না।)
 ৮ টি
    	৮ টি    	 +৪/-০
    	+৪/-০২|  ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬  দুপুর ১:০৬
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬  দুপুর ১:০৬
মাথা নষ্ট একজন বলেছেন: ভাই খুবই আফসোস লাগে এই মাতৃভূমিটার জন্য। এই দেশের মানুষগুলো বড়ই বিচিত্র ধরনের। আর পুলিশের কথা কি বলব ওদের নাম শুনলে এখন গা-জ্বালা করে আর ওদের প্রতি ঘৃণাটা আরো বেড়ে যায়। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সর্বদাই ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
৩|  ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬  দুপুর ১:৩৫
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬  দুপুর ১:৩৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: এই সকল পুলিশের বিপক্ষে অভিযোগ করার মত কোন জায়গা আছে কিনা জানিনা। তবে কিছু কিছু মানুষ অত্র থানাতে অভিযোগ করে কোন সহযোগীতা পায়নি এমনকি অনেককে অভিযোগ করার পর হুমকি পেতেও শুনেছি। কর্তব্য পালনকারীরা যদি ভক্ষক হন সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে।
কালকে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে আসার সময় কালশি ফ্লাইওভার এর উপর আমাদের সিএনজিও চেক করতে দাড়া করিয়েছিলো। কিন্তু আমাদের সাথে খারাপ কিছু হয়নি।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সকল অশুভ শক্তির হাত থেকে সবাই মুক্ত থাকুক সেই কামনা রইলো।
৪|  ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬  বিকাল ৩:০২
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬  বিকাল ৩:০২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সব পুলিশ খারাপ নয়। কিছু পুলিশ খারাপ।
৫|  ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬  বিকাল ৩:১৫
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬  বিকাল ৩:১৫
সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
৬|  ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬  বিকাল ৪:১৭
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬  বিকাল ৪:১৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কিছু কিছু পুলিশের কারণেই এখন পুলিশদের প্রতি আমাদের নেতিবাচক ধারণাটা প্রবল।
৭|  ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬  দুপুর ২:১৫
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬  দুপুর ২:১৫
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ঢাকার রাস্তায় যত ভয় আমার পুলিশ নিয়ে ।
চোর,ডাকাত এত ভয় পাইনা যতটা পাই পুলিশকে নিয়ে।
অদ্ভুত দেশে আছি মাইরি।
৮|  ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬  রাত ১১:৩৯
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬  রাত ১১:৩৯
...নিপুণ কথন... বলেছেন: পরের ঘটনা এখানেঃ Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬  দুপুর ১২:৩৩
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬  দুপুর ১২:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সব পুলিশ যে এরকম, আমি তা বিশ্বাস করি না। বরং আমি মনে করি এমন কিছু ধান্দাবাজের জন্যই পুলিশের বদনাম হয়। দেশটা নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতাম। সেই স্বপ্ন এমন অভিজ্ঞতায় ধূসর থেকে ধূসরতর হয়ে যায়।
সতর্কতা পোষ্টে +
তাদের আচরণ খুবই অভদ্রজোনচিত! বলাই বাহুল্য। আমারও বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছিল একদিন! শুধু সতর্ক ছিলমা ওরা যেন পকেটে কিছু রেখে না দেয়!!!!
১০ মিনিট হয়রানীর পর মুক্তি পেয়েছিলাম!