নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
নিজের ডিপার্টমেন্ট, যেখানে টানা ৫-৬টি বছর কাটিয়েছি অনেক হাসি-কান্নার স্মৃতি জমিয়ে, সেখানেই আজ চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখা পেলাম না, কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে তাঁর নাম্বার চাইলে পাশে বসে থাকা একজন সিনিয়র শিক্ষক, যিনি বর্তমানে সরকার দলীয় প্রভাবশালী শিক্ষকনেতা, বিনা দোষে আমাকে অকথ্য ভাষায় অপমানিত করে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলেন! চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে পারলে আমাকে মারেন, এমন অবস্থা! অথচ আমিতো তাঁকে দেখা মাত্রই চেয়ার ছেড়ে উঠে সালাম দিয়ে জানতে চেয়েছিলাম, 'স্যার কেমন আছেন?'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বিভাগীয় প্রধানের ফোন নাম্বার চাওয়াটা কি অন্যায়? নাকি এক্স-স্টুডেন্ট হয়ে গেলে আবার কোনো কাজে অথবা নিতান্তই দেখা করে সালাম জানিয়ে আসতে যাওয়াটা অন্যায়ের ভেতর পড়ে?
এই 'শ্রদ্ধেয়' শিক্ষকই ছাত্রাবস্থায় থার্ড ইয়ারে আমাকে একটি টিউশন দিয়েছিলেন, আমি ভুলে যাইনি। ভুলে যাইনি ৬ মাস পড়ানোর পর বেতন বাড়ানোর অনুরোধ করেছি শুনে তাঁর সেই ফোন, সেই বকাঝকা। (অথচ সেই ছাত্র ও তার বাবার সঙ্গে আমার এখনো সুসম্পর্ক আছে।) তারপর সেই বছরই ল্যাব পরীক্ষায় ইচ্ছা করে খারাপ মার্ক দেয়া, ৬৯.৫ মার্ক পেয়েও সেই ৮ ক্রেডিটের কোর্সে মাত্র ০.৫ মার্ক না পাওয়া। সাধারণত কেউ ফ্র্যাকশন মার্ক পেলে তা পূরণ করে পূর্ণ নম্বর করে দেয়া হয়। কিন্তু সেটা আমার ক্ষেত্রে হয়নি। কারণ তিনিই ছিলেন কোর্স কো-অর্ডিনেটর! শুধু কি তাই? হলের পলিটিক্যাল গ্রুপ আমাকে সিটের থেকেই নামিয়ে দিল, আমাকে আশ্রয় নিতে হলো অন্য হলে বন্ধুদের সাথে, সেই বছরই! তাঁর সিইডি কোর্সেও কোনোমতে পাশ করেছিলাম! আরও কতকিছু যে মাথায় ঘুড়ে!
সেই ল্যাবের মাত্র ০.৫ মার্কের জন্য মাস্টার্সে আমি থিসিস করতে পারিনি, আমাকে করতে দেয়া হয়নি! পরবর্তীতে তাঁর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা লিখতে বলেছিলেন, আমি লিখিনি। হয়তো এসবই আমার দোষ! এজন্যই আজ আমাকে সবার সামনে এভাবে হেয় করা হলো? হায়রে ক্ষমতা, হায়রে ছোটলোকি!
(তাঁর নামের অদ্যাক্ষর 'ই'। ইশতিয়াক এম সাঈদ। )
#DU_Physics
#Shame
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মানুষ গড়ার কারিগর !!
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫২
মিঃ আতিক বলেছেন: ইউনিভারসিটি টিচাররা সাদা দল,নিল দলে ভাগ হয়ে নিজের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ কে বিসর্জন দিয়ে বাটপার আর মিথ্যাবাদীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনিতি করে।
এদের শিক্ষার কি মূল্য বাক্তি জীবনে তারা উপলব্দি করে এটা আজ জাতির প্রশ্ন।
অথচ তারা পর্দার আড়ালে থেকে সমাজ পরিবর্তনের অংশীদার হতে পারতেন।
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের দেশের ইউনিভার্সিটিতে যারা শিক্ষকতা করছেন, এরা ৯০% অযোগ্য, ইডিয়ট।
৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৫১
আদর্শ সৈনিক বলেছেন: আওয়ামি সরকার দলীয় শিক্ষক, হাতে পাওয়ার।
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০০
আহমাদ ওয়াদুদ বলেছেন: হায়রে! শিক্ষক হো তো অ্যায়সা!
কাজী কাদের নেওয়াজ শিক্ষাগুরুর যে মর্যাদার কথা বলে গিয়েছেন, আমার মনে হয় না, আজকালকার শিক্ষকেরা তার সিঁকিভাগেরও অধিকার রাখে।
অবশ্য আমি ব্যক্তিগতভাবে এরকম কোন আচরণের শিকার হইনি।
৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:০৫
দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার।
৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯
আহা রুবন বলেছেন: মাঝে মাঝে যে শিক্ষকেরা ছাত্রদের হাতে অপদস্থ হয়, এই কুসংস্কৃতি গড়ে ওঠার পেছনে এমন শিক্ষকেরাই দায়ী
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০২
ঢাকাবাসী বলেছেন: বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষকই শিক্ষক হওয়ার অযোগ্য
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: শিক্ষকদের কাজ এখন স্লাইড খুলে রিডিং পড়া। না হচ্ছে একাডেমিক শিক্ষা না হচ্ছে নৈতিক শিক্ষা। পাব্লিক ভার্সিটিতে বাছাই করে মেধাবিদের ভর্তি করা হয়। না হলে যে নিম্ন মানের পড়ালেখা হচ্ছে তাতে পাব্লিকের অবস্থাও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো হত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৫
অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষকরাই সব। এ কারনেই এমন অনেক স্বৈরাচার দাপিয়ে বেড়ানোর সুযোগ পায়