নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

তবুও এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

প্রতিদিন আমি একটু একটু করে মানুষ চিনি, আর অল্প অল্প করে বড় হই। আজব এ শহরে মানুষের যে কত রূপ! কত রঙ্গ যে জানে সেই মানুষগুলো!

অনেকদিনের চেনা মানুষটিকেও হঠাত কেমন অচেনা লাগে। আবার অল্প কদিনের পরিচিত মানুষটিও কেমন মুহূর্তেই আপন করে নেয়! বিপদে যার এগিয়ে আসার কথা সবার আগে, তাঁকে তখন খুঁজে পাওয়া যায় না আশেপাশে। যাকে কখনই আশা করেন নি, তাঁকেই হয়তো পেয়ে যেতে পারেন কষ্টের দিনে। আর যদি কাউকে না পান, দেখবেন নিজের মাঝেই অন্য এক আমির অস্তিত্ব টের পাবেন। এই আমিত্বটা স্রষ্টার দান। যার কেউ নেই, তাঁর জন্যও মনে হয় কেউ একজন থাকেন।

কেউ কেউ মানুষকে কষ্ট দিয়ে পৈশাচিক আনন্দ পায়। অনেক ক্ষতি করার পরেও যখন সে দেখে, ক্ষতিগ্রস্থ মানুষটি তারপরেও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগিয়ে চলেছে, তখন সে ঈর্ষান্বিত হয়। নিজের ভেতরের পশুত্ব দিয়ে অর্জন করা ক্ষমতা তখন সে আবার ব্যবহার করে নিরীহ মানুষটির ওপর। তারপর আবার খারাপদেরকে দলে নিয়ে ঐ মানুষটিকেই দোষী সাব্যস্ত করতে চায়। নিরীহ মানুষটির সাময়িক কষ্ট হয়, কিন্তু একদিন সে-ই কিন্তু জয়ী হয়। চলার পথে প্রত্যক্ষভাবে নাহলেও পরোক্ষভাবে ঐ পিশাচদের দলে নাম লেখাতে না পারা কেউ কেউ ছায়া হয়ে পাশে এসে দাঁড়ায়। সর্বোপরি, সত্যের জয় একসময় ঠিকই হয়।

গতকালের ঘটনার পর আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ যারা ব্যাক্তিগতভাবে ফোন দিয়ে মেসেজ দিয়ে কিংবা ডেকে নিয়ে ভালোবাসা ও স্নেহ জানিয়েছেন, দুঃখপ্রকাশ করেছেন, আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের মতো মানুষরা আছে বলেই এই পৃথিবীতে সমাজ এখনও টিকে আছে, আমরা স্বপ্ন দেখার সাহস পাই। কিন্তু আফসোস, ক্ষমতা তো সেই অপশক্তির হাতেই কুক্ষিগত, যারা সদলবলে ঘোরে, নেকড়ে বা হায়নার মতো দলবেঁধেই নিরীহ হরিণের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। এখানেও তাই হয়েছে, এ আর নতুন কি!

গতকাল খুব ভেঙ্গে পড়েছিলাম, আজ সেই তুলনায় অনেক ভালো আছি। পর কষ্ট দিলে এতটা খারাপ লাগে না, যতটা লাগে আপন ভাবি যাদেরকে তাঁদের কেউ দিলে। সবচেয়ে বড় কথা, আমি নিজে তো জানি আমি সঠিক, মনের কাছে ঠিক থাকাটাই বড় কথা। শ্রদ্ধেয় সিনিয়র শিক্ষকগণ, এমনকি বিভাগীয় প্রধান, বন্ধুবান্ধব, ছোটবড় প্রায় সবাইকেই পাশে পেয়েছি দেশ-বিদেশ থেকে, তবে অবশ্যই প্রকাশ্যে নয়। ক্ষমতাবানের রোষানলে পড়তে কে চায়? পাশে পেয়েছি সেই বড় আপুটিকে যিনি তাঁর হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও আমাকে সময় দিয়েছেন, মন ভালো করার চেষ্টা করেছেন। বিষয়টা আমার কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। আমি আপনাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা রাখি, আমার অন্যান্য মন খারাপের কারণগুলোও অচিরেই দূর হয়ে যাবে। সবাই ভালো থাকবেন।

২৬/১/২০১৭

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.