নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়েটি ঢাকাই ছবির গানের আইটেম গার্ল ছিল, ফেসবুকে বিতর্কিত সাহসী ছবি পোস্ট দিয়ে আলোচনায় থাকতো। কিন্তু মূল ধারার কোন পত্রিকায় শিরোনাম হতে না পারার দু:খ তার ছিল। এই স্বপ্ন পূরণের জন্যই নাকি সে আত্মহত্যা করেছে, এমনটাই বলছে একটি মিডিয়া।
মেয়েটির তথাকথিত রঙ্গীন ঝাকানাকা আধুনিক নামের পিছে লুকিয়ে থাকা আসল নামটি ও সংখ্যালঘুরও একেবারে নিচের শ্রেণির পরিচয়টা উঠে এলো তার মৃত্যুর পরেই। বলা হচ্ছে স্বামীর সঙ্গে নাকি ঝগড়া হতো। আসল কারণটি পরিবার জানিয়েছে কি? মিডিয়ায় তো আসেনি। মেয়েটি গত মাসের শেষের দিকে তার মানসিক দুরবস্থার কথা জানিয়েছিল ফেসবুকে, লিখেছিল আত্মহত্যা করতে চায় সে। কেউ কেউ তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করলেও, অনেকেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা করেছেন খোলা স্ট্যাটাসেই। সেদিন আত্মহত্যা না করায় পরেরদিন আবার একজন স্ট্যাটাসে কমেন্ট করে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আত্মহত্যা করতে চাওয়ার কথা, যেন একরকম তাড়াই দিয়েছেন! এই হলো আমাদের সমাজ।
কেউ যখন আত্মহত্যা করে, তখন সবাই তাকে গালি দেয়, কাপুরুষ বলে। আবার কেউ কেউ মজা নেয়। কেউ বলে 'ওর তো মরাই উচিৎ'। কেউ দেখতে চায় না ওর ভেতরের ব্যাথা, কেউ জানতে চায় না এমন সুন্দর জীবনটাকে শেষ করে দেবার কারণ। কতটা কষ্ট পেলে মানুষ এতোটা সাহসী হয়ে ওঠে যে নিজেকে শেষ করে দেয়ার সাহস সে পেয়ে যায়? কী ছিল তার কষ্ট? কোথায় সে হয়েছে অবহেলিত, কে দিয়েছে আত্মহত্যার প্ররোচনা? এসব আমরা কেউ খুঁজতে যাই না। আমরা সেই সমাজ বা সেই প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তিকে দোষ দেই না, যার কারণে সে আজ আত্মহত্যা করেছে। জানতে চাই না কেন একটি মেয়েকে তার পিতৃপ্রদত্ত নাম পাল্টে ফেলতে হয়, কেন একটি সুযোগ কিংবা প্রচার পাওয়ার জন্য তাকে অনিচ্ছাতেও বিছানায় যেতে হয়!
আমি আত্মহত্যাকে সমর্থন করছি না, করি না। তবুও তো মানুষ মাত্রই ভুল হয়, চূড়ান্ত বাস্তববাদী মানুষটিও মাঝে মাঝে আবেগ দ্বারা চালিত হয়। মাঝে মাঝে বেঁচে থাকাটা অর্থহীন মনে হয়। কিন্তু তাই বলে স্রষ্টার দেয়া এমন উপহার এভাবে নষ্ট করা কি ঠিক? মাত্র ২২ বছরেই কেন মেয়েটি এমন কঠিনতম সিদ্ধান্তটি নিলো? এটা কি আসলেই আত্মহত্যা নাকি হত্যা?
জ্যাকুলিনের বিষয়টি আসলে কি হয়েছে আমি জানি না। তবে এসব ক্ষেত্রে সরাসরি 'আত্মহত্যা'র খবর মেনে নেয়ার রীতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নিজের ক্ষেত্রেই বলি, যদি কোনোদিন জানতে পারেন আমি আত্মহত্যা করেছি, বিশ্বাস করবেন না। আমার প্রতি ভালোবাসা থাকলে ফেসবুক প্রোফাইল, মেসেঞ্জার, মোবাইল, কল হিস্টোরি ঘেঁটে দেখবেন কেউ হুমকি দিয়েছে কিনা বা চরম কষ্ট দিয়েছে কিনা। আপনজনদের কাছেও খোঁজ নিন। নিশ্চয়ই এমন কিছু বা কাউকে পাবেন, যে বা যারা চায় না আমি থাকি। আমার বা আপনার হতাশাময় দিনগুলোর ফায়দা নিয়ে হয়তো কেউ আমাকে/ আপনাকে মেরে আত্মহত্যার নাটক সাজাতেও পারে।
সর্বোপরি আত্মহত্যাকে না বলুন। জীবন একটা যুদ্ধের নাম, এই যুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়।
~দেব দুলাল গুহ।
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫৫
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: সর্বোপরি আত্মহত্যাকে না বলুন। জীবন একটা যুদ্ধের নাম, এই যুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়।
আমি আপনার সাথে সহমত। ধন্যবাদ।
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের সমাজে অচিহ্নিত মানসিক সমস্যাক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। বিষয়টি নিয়ে একটা জরিপ হওয়া আশু প্রয়োজন। যথাসময়ে কাউন্সেলিং করে হয়তো অনেক হতাশাক্রান্ত মনকে আত্মহত্যার পথ থেকে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।
আত্মহত্যা নিঃসন্দেহে একটা গর্হিত কাজ। নিজে শেষ হয়ে যাবার পরেও এটা পরিবারকে সংকটে রেখে যায়।
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১৭
রাফা বলেছেন: হত্যা করা যেমন পাপ ও অপরাধ আত্মহত্যাও ঠিক তাই।নিজেকে নিজে হত্যা করাই আত্মহত্যা-কোন সুস্থ মানুষ আত্মহত্যা করতে পারেনা।পারিপার্শিক অবস্থা যখন মানুষকে অসুস্থ করে ফেলে ঠিক তখনি মানুষ নিজেকে হত্যা করে।
আর বর্তমানে আমাদের চতুর্দিকে অসুস্থ মানসিকতার মানুষ দিন দিন বেড়েই চলেছে,এরাই কুৎসিত ভাবে মানুষকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়ে হত্যাকারির ভুমিকা পালন করে।এখনি দৃষ্টি দেওয়া উচিত এই বিষয়ে।জঙ্গীবাদের বিস্তারও ঘটছে এই কারনে।
জনসচেতনামূলক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ,নিপুণ কথন।
৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৮
জাহিদ হাসান বলেছেন: গোপনে যে বেশ্যার ভাত খাই,তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়?
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশ ও সমাজে ভয়ংকর বিশৃংখলা বিরাজ করছে, কে কি করছে, কিভাবে কি হচ্ছে, বুঝা মোটামুটি বেশ কস্টকর।