নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
রামকৃষ্ণ মিশনের স্কুলের সিঁড়িতে বসলে এমন কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়? কেউ বসলেই কেন বাজেভাবে উঠিয়ে দেওয়া হয়? এটা তো রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আদর্শ নয়! স্বামীজিও কি কোথাও এমনটি করেছেন? আগে আরও হাস্যকর নিয়ম ছিল, যেমন মন্দিরে কথা বলা বা ছবি তোলা যাবে না! ছাত্রাবাসে মোবাইল রাখা যাবে না, গান শোনা যাবে না! এখন নাকি এসবের সবই চলে।
.
নটরডেম কলেজে পড়াকালীন সময়ে যখন ছাত্রাবাসে থাকতাম, তখন এলাকা থেকে বাবা-মা বা অন্য কেউ এলে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের স্কুলের সিঁড়ি, লাইব্রেরির সামনের ফাঁকা জায়গায় বসতাম। এসব জায়গায় বসতে হতো কারণ অন্য কোথাও বসার এবং কথা বলার সুবন্দোবস্ত ছিলো না। শুধু যারা বড় অংকের ডোনেশন করতো, তাদের কথা ছিলো ভিন্ন। আজ সেখানে গিয়ে দেখি, স্কুলের সিঁড়ি বা লাইব্রেরির সামনে কেউ যদি জুতা পড়ার জন্য অথবা ২ মিনিট রেস্ট নেয়ার জন্যও বসে, তাকে দূর থেকে নিরাপত্তা বক্সে বসে থাকা আনসার সদস্য কিংবা মিশনের কর্মীরা পরিচয় না জেনেই আঙুলের ইশারায় উঠিয়ে দিচ্ছে, না উঠলে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দিচ্ছে! সাবেক ছাত্রদের সাথেও একই ব্যবহার করতে দেখে অবাকই হতে হয়। অথচ তাদের কেউই সেখানে আড্ডা দিচ্ছিলেন না বা নেশাও করছিলেন না। কোথাও লেখাও ছিলো না যে ওখানে বসা নিষেধ!
.
বিষয়টি সম্পর্কে ভুক্তভোগী অভিযোগ জানাতে গেলে অমল মহারাজ জানালেন, তিনি অনেকদিন ধরেই অফিসের দায়িত্বে নেই। তাঁর পরামর্শে অফিসে গিয়ে অভিযোগ করে কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। মৃদুল মহারাজকে জানালে তিনি বিষয়টি নিয়ে আনসারের মহাপরিচালক অথবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাতে পরামর্শ দেন! এমন পরামর্শ শুনে উপস্থিত এক ভদ্রমহিলা একে 'মশা মারতে কামান দাগানো' নামে অভিহিত করেন এবং বিষয়টি ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
.
এখন কথা হচ্ছে, নিরাপত্তার নামে এমন দুর্ব্যবহার কারো কাম্য কিনা? ধর্মীয় উপাসনালয়ের সঙ্গে জড়িতদের ব্যবহার শুধু বড় ডোনারদের সাথেই অসম্ভব ভালো আর বাকিদের সঙ্গে আশানরূপ নয়, এমন অভিযোগ অবান্তর কিনা? কারা বসছেন কমিটিতে?
.
আরেকটি বিষয় বলে রাখি, রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রাবাসে যেসব ছেলেরা থাকে, যারা সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পড়ে প্রার্থনায় যায়, পূজায় দায়িত্ব পালন করে, থালা হাতে করে খেতে যায়, এমনকি নিজেদের টয়লেট নিজেরা পরিস্কার করে, তারা কিন্তু সবাই প্রখর মেধাবি, দেশের সেরা কলেজ নটরডেম কলেজের ছাত্র; এদের কেউই এতিম নয়, গরিব থাকলেও থাকতে পারে দুই-একজন, এরা সবাই ঢাকায় হোস্টেলে থাকতে যে পরিমাণ টাকা লাগে তার চেয়ে কম নয় বরং বেশিই নগদে পরিশোধ করে থাকে। শুধুমাত্র নীতিশিক্ষার নাম করে তাদেরকে দিয়ে এসব করানো হয়। বাবা-মা এখানে ছেলেদের রাখেন নিরাপদ আশ্রয়ের আশায়, পড়ালেখার পাশাপাশি আরও কিছু শিখবে এই আশায়। কাজেই, এদেরকে এতিম অসহায় বলে এদের জন্য কেউ অর্থ সাহায্য চাইলে কেউ তা ভুলেও দেবেন না। সবার শুভবুদ্ধি জাগ্রত হোক। ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫১
বিজন রয় বলেছেন: ওখানে তো রাজা, মাহারাজারা থাকে। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব কিংবা স্বামী বিবেকানন্দ তো আর রাজা-মহারাজা ছিলেন না।
আজকালকার রাজারা কে আগের মতো আছেন?
সবাই এখন পাপের ব্যবসা করেন।
এই জন্য ওনারা ওই রকম করেন।
এটা বুঝতে হবে তো সমাজটা আর আগের মতো নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: একটা ফালতু বিষয় নিয়ে এত কথা! এটা যে কোন ধর্মীয় জায়গাতে হতে পারে, এ নিয়ে অত কথা বলার দরকার নেই! সিড়িটা বসার জায়গা নয়, তা যে কোন স্হানেই মায় পাবলিক টয়লেটেও আপনাকে উঠিয়ে দিবে।