নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালো মানুষ কেন আগে মরে যায়, আর বাজে লোকটা কেন বেঁচে থাকে?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:০০

The Green Mile ছবিটা দেখার আগে আমি ভাবতাম, ভালো মানুষ কেন পৃথিবীর সব মায়া ত্যাগ করে আগে মরে যায়? কেন খারাপ প্রকৃতির মানুষগুলো বেশিদিন বাঁচে? কেন ভালো মানুষটাকে অসময়ে হারিয়ে আমরা কাঁদি, অথচ বাজে লোকটা বেঁচে থেকে নিজেও ভোগে আর আমাদেরকেও ভোগায়? কেন ভালো মানুষকেই স্রষ্টা কষ্ট বেশি দেন, কেন বাজে লোকটা হেসেখেলে ঘুরে বেড়ায়?
.
ছবিটা আমার এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছে। এখন আমি বুঝি কেন ভালো লোকগুলো এত তাড়াতাড়ি চলে যায়, কেন খারাপগুলো যায় না। এখন আমার কাছে অনেক কিছুই জলবৎ তরলং। এখন আমি ভাবি, আমার প্রিয় অভিনেতা টম হ্যাংকসকে নিয়ে আজ থেকে প্রায় ৪ বছর আগে প্রথম আলোতে লিখলেও কেন এই ছবিটি এতোদিন দেখা হয়নি, ল্যাপটপে পড়ে থাকার পরেও?
.
আসলে যারা ভালো মানুষ, তারা স্রষ্টার প্রিয়পাত্র। স্রষ্টা তাদেরকে নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে পাঠান। পৃথিবীটা এখন বাজে লোকে ভর্তি, চলছে ঘোর কলিকাল। এর মধ্যে ভালো মানুষের বেঁচে থাকা মানেই কষ্ট করা। এর চেয়ে বরং নির্ধারিত কাজ শেষ হলেই পবিত্র থাকতেই তাকে ফিরিয়ে নেন তিনি, মুক্তি দেন সবকিছু থেকে। কিন্তু, ভালো মানুষদেরকে নিয়ে গিয়ে সব বাজে লোক দিয়ে কেন পৃথিবীটা ভরে ফেলছেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র তিনিই দিতে পারেন।
.
ভালো মানুষরা সবসময় নিজে কষ্ট পেয়ে অন্যকে খুশি রাখার চেষ্টা করে। ঠিক এই ছবির জন কফেই এর মতোই, যার নামের বানান পান করার কফির মতোই, কিন্তু উচ্চারণটা আলাদা। জন এর মাঝে যে গিফট ছিল, তা অন্য রূপে সব ভালোদের মাঝেই আছে, অন্যের কষ্ট অন্যের ব্যথা ভাগ করে নেয়ার ক্ষমতা। অন্যের দু:খে ভালো মানুষটার মন কাঁদে। কিন্তু ঐ নিগ্রোটার মতোই ভালো মানুষদের সাধারণ মানুষ সবসময় ভুলই বোঝে। কে কী বুঝলো আর কে কী ভাবলো, তাতে জনদের কিছু যায় আসেনা। তারা শুধু নি:স্বার্থভাবে অন্যের কষ্ট লাঘব করে (জন এর ভাষায় help করে) যান।
.
চাইলে জন নিজেই তার অমন নৃশংস মৃত্যুদন্ড প্রতিহত করতে পারতো। সে ক্ষমতা তার ছিলো। কিন্তু উপরন্তু তাকে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও সে তা গ্রহণ করেনি, খুন না করেও (বাঁচাতে গিয়েও) শাস্তি ভোগ করেছে। কেন? কারণ এত মানুষের কষ্ট এত কান্না সে আর নিতে পারছিলো না। তার ভাষায়, 'I now dog-tired, boss!' চাইলে পল তাকে বাঁচাতে পারতো। কিন্তু সে তা করেনি। তাইতো শাস্তি হিসেবে তাকে মিস্টার জাঙ্গালসের সাথে বেঁচে থেকে ব্যথিত হৃদয়ে একের পর এক আপনজনের চলে যাওয়া দেখতে হয়েছে!
.
কিন্তু তাই বলে কি যারা বেশিদিন বাঁচে তাদের সবাই খারাপ আর যারা অল্পদিন বাঁচে তারা ভালো? নাহ, বিষয়টা এমন নয়। আমি শুধু একটা পয়েন্ট এর সেন্স মেইক করার চেষ্টা করলাম। এর মানে এই নয় যে এটাই একমাত্র ঠিক, বাকি সব ভুল। সুন্দর এই ছবিটির জন্য অনেকটা ভালোলাগা। আপনারা যারা দেখেননি, দেখবেন। একটি সুন্দর ছবি আপনার চিন্তাভাবনা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে।

-দেব দুলাল গুহ / দেবু ফরিদী

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:২০

মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন বলেছেন: টম হ্যাংকস মানেই একটা ইতিহাস, প্রতিনিয়ত আমি টম এর নতুন ছবির অপেক্ষায়য় থাকি।।

ফরেস্ট গাম আমার সেরা মুভি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.