নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন রোগের নাম 'একাকীত্ব'। #একাকীত্ব থেকেই মানুষ মানসিক রোগী হয়ে যায়। একা থাকলেই হতাশায় ঘিরে ধরে। একা একা পথ চলতে গেলেই, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে গেলেই বিপদ বেশি। মানুষ একা বাঁচতে পারে না, এই কথা ভুল। বাঁচতে পারে, তবে সেই #বেঁচে থাকাকে ভালোভাবে বেঁচে থাকা বলে না।
.
আপনি হয়তো অনেক কষ্টে অনেকদিন একটা জায়গায় থেকে নিজের একটা জায়গা করে নিয়েছেন, একটা সার্কেল হয়েছে আপনার, আপনার আছে কিছু প্রিয় #জায়গা। অনেক দিন ধরে ঘুরে ঘুরে আপনি আবিষ্কার করেছেন যে, এই জায়গার দুধ চা ভালো, তো ঐ জায়গার লাল চা। অমুক হোটেলে গ্রিলটা ভালো বানায়। ওমুক জায়গায় গেলে এই সময় আড্ডা দেয়ার জন্য মনের কথা শেয়ার করার মতো কোনো না কোনো প্রিয়মুখ পাওয়াই যাবে। অমুক ভাইয়ের কাছে গেলেই সমস্যাটার সমাধান মিলবে। হঠাৎ একদিন, আপনাকে ঘাড় ধরে নিয়ে ফেলে আসা হলো নতুন এক জায়গায়। বড় শহরের চেনা গন্ডি ছেড়ে আপনাকে যেতে হলো অচেনা মফস্বলে। ছোট জায়গার মানুষদের মনগুলোও ছোট ছোট হয়। এদের করার কাজ কম, তাই অন্যের #সমালোচনা করার নিন্দা করার অনেক সময় থাকে হাতে। এরা ছোট গন্ডিতে সবাই সবাইকে চেনে, তাই অচেনা কেউ এলে সে যত বড়ই হোক, স্বার্থ না থাকলে তাকে বসতেও বলবে না। আপনাকে হয়তো কটুকথা শুনতে হবে রিক্সাচালকের থেকেও। শিল্প-সাহিত্য বলেন আর যাই বলেন, সকল কমিটি যুগের পর যুগ দখল করে বসে থাকবে কিছু ধারি বুড়োর দল, চেয়ার হারানোর ভয়ে এরা আপনাকে ধারেকাছে ঘেঁষতে দেবে না। আপনি তখন অপমানিত হওয়ার ভয়ে হীনমন্যতায় ভুগবেন, মেশার মতো লোক পাবেন না, ধীরে ধীরে নিজেকে চিন্তা-চেতনায় রুচিতে নীতিতে #সংখ্যালঘু হিসেবে আবিষ্কার করবেন। তারপর এভাবে থাকতে থাকতে একসময় আপনিও হয়ে যাবেন মানসিক #রোগী। ওরা দলবদ্ধ হয়ে আপনাকে পাগল বানাবে এবং সবাই মিলেই মজা নেবে। যদি ভালো থাকতে চান, তবে আপনাকেও ওদের মতো হয়ে যেতে হবে, নিজেকে পালটে নিতে হবে। #ভিন্নমত ভিন্ন আচরণ ভিন্ন নীতিকে কেউ ভালো চোখে দেখে না।
.
পৃথিবীটা বড্ড বেরসিক। এখানে প্রতিনিয়ত ভালো থাকার জন্য লড়াই করে যেতে হয় এবং লড়াই শেষে হেরে গিয়েও সেজেগুজে ছিমছাম হয়ে মুখে একটা মেকি হাসি ফুটিয়ে বসে থাকতে হয়। আসলেই, পৃথিবী এক #রঙ্গমঞ্চ, আর আমরা সবাই #অভিনেতা।
দেব দুলাল গুহ / দেবু ফরিদী
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:০৩
অালপিন বলেছেন: 'মফস্বলের সংকীর্ণতা' কথাটা একটু ব্যাখ্যা করবেন কী? সাথে শহুরে উদারতাটাও!!!!!
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:১৫
আহা রুবন বলেছেন: কথার কিছুটা সত্যতা আছে। যতটা বলেছেন অতটা নয়। বর্তমানে আমি আমার নিজ জেলা সদরে থাকি, জন্ম গ্রামে; বেড়ে ওঠা ঢাকায়। মেশার মত মানুষ আসলেই নেই। আমি এখনও তাদের কাছে রহিরাগতর মত। অবশ্য সত্যের খাতিরে বলতে হয় আমি নিজ জেলার খাঁটি আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলি না, এটিও কারণ হয়ে থাকতে পারে।
৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:২৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আজকাল বেশিরভাগ মানুষই মেকি।
৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩১
নতুন বলেছেন: এরা ছোট গন্ডিতে সবাই সবাইকে চেনে, তাই অচেনা কেউ এলে সে যত বড়ই হোক, স্বার্থ না থাকলে তাকে বসতেও বলবে না। আপনাকে হয়তো কটুকথা শুনতে হবে রিক্সাচালকের থেকেও। শিল্প-সাহিত্য বলেন আর যাই বলেন, সকল কমিটি যুগের পর যুগ দখল করে বসে থাকবে কিছু ধারি বুড়োর দল, চেয়ার হারানোর ভয়ে এরা আপনাকে ধারেকাছে ঘেঁষতে দেবে না।
বড় শহরে এই সমস্যা আরো বেশি.....
এখানে কেউ কাউকেই চেনে না। এবং সবাই ব্যস্ত তাই নতুন বন্ধু এলাকেতে হবে কম।
সেই তুলনায় ছোট শহরে সবাই সবাইকে চেনে তাই আপনি একটি গ্রুপে যুক্ত হলেই অন্যদের সাথে খুবই সহজে পরিচিত হতে পারবেন।
আর আপনি কতটা মানুষের সাথে পরিচিত হতে পারবেন সেটা আসলে নিভ`র করে আপনার উপরে।
৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: উপরের কোন মন্তব্যের উত্তর নাই। তাই আমি কোন মন্তব্য করলাম না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলো মোটামুটি আপেক্ষিক। সবার বেলায় সমান নয়; শুনেছিলাম এটা েক সময় কলকাতায় ছিলো।