নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
মিষ্টি কিনতে গেলাম কোলকাতার এক দোকানে।বিরাটি অঙ্গনা মোড়ের মিষ্টির দোকানিকে শুধালাম, 'দাদা, কিলো কতো?' দোকানি দাদা হা করে তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে। পরক্ষনেই বুঝে গেলেন, 'ওম্মা! দাদা নির্ঘাত বাংলাদেশ থেকে এয়েচেন'। কাজেই, উত্তর দিলেন, 'দাদা, একানে তো কিলো দরে বিক্রি হয় না, পিস পিস হয়'।
আমি বললাম, 'বুঝতেই পারছেন, বাংলাদেশ থেকে এসেছি! এবার এক কাজ করুন, ৫শ দিন।' আমি যে মিষ্টিটা দেখাচ্ছিলাম, সেটায় রস আছে। তাই দেখে দোকানি বললো, 'এটা বেশিদিন রাখা যাবে না, নষ্ট হয়ে যাবে'। অর্থাৎ, ওরা এই ৫০০ মিষ্টি অনেকদিন রেখে খায়। দোকানির আন্তরিকতা দেখেও মুগ্ধ হলাম, লোকটা বাটপার নয়। বেশ, বললাম, 'এই যে, এই ছানার সন্দেশগুলো দিন।' দোকানি বললো, 'তাহলে ওজনে যা হয় সেই মতে দিয়ে দিচ্চি'।
তারপর ৫শ মিষ্টি নিয়ে ছুটলাম গন্তব্যে। প্যাকেট মিষ্টি দেখে সবাই খুশি। আমাকেও খেতে দিলো। খেয়ে বুঝলাম, এক পিস খেলে আর খাওয়া লাগে না, অমৃত! আরও একটি দিতে চাইলে আমি না বলে দিলাম।
কোলকাতার চায়ের কাপ ছোট বলে আমরা অনেকেই হাসাহাসি করি। অথচ সেদিন সকালে ফরিদপুর থেকে জার্নি করে বিকেলে দমদম এসে এই এক কাপ চা খেয়েই চোখের সব ঘুম দূর হয়েছিলো! কাপ ছোট হলে কি হবে, খুব ঘন চা, ভালোই লাগে খেতে। ছোট কফির কাপে ৫ টাকা, আর মাটির পাত্রে ৬টাকায় চা খেলাম। এক পিস কোন আইসক্রিম, দাম মাত্র ১০ টাকা, দুপুরে একটা খেয়ে রাতে আবার প্রায় ১ মাইল হেঁটে গিয়ে আরেকটা খেয়েছি! এখানে অনেক কিছুর দাম আমাদের চেয়ে কম, তাই ওরা বলে এখানে টাকা রোজগার করাও নাকি অনেক কঠিন!
আর বাস ভাড়া শুনলে অবাক হতে হয়, এতো রিজনেবল। সেটা তো গতকালই বললাম। হলুদ ট্যাক্সি আছে, সেই পুরাতন অ্যাম্বাস্যাডর, কোলকাতার ব্র্যান্ড! আছে উবার আর অলোও। রিক্সা আছে, ক্রিং ক্রিং নেই, আছে প্যাপু প্যাপু! টেনে নেওয়া রিক্সা এখনও চোখে পড়েনি, কোথায় পাবো? ভিআইপি রোডের ফুটপাতগুলো উঁচু উঁচু, যাতে ক্যালরি খরচ বেশি হয়। বাসগুলোতে পিচ্চি পিচ্চি বাচ্চারা যেভাবে স্মার্টলি ওঠানামা করে, দেখে ভালো লাগে। ওরা ভীষণ চটপটে।
আজ এক নার্সারি পড়ুয়া বাচ্চাকে নিয়ে ওর মা বাসে উঠলো। বাচ্চাটা নিজেই বাসের ব্রেকের তালে ভারসাম্য রাখছে দেখে অবাক হলাম। সামনেই বাসের ইঞ্জিন কভার, যা টপকে সিটে যেতে হবে। বাচ্চাটার মা বললো, 'কাম অন! গেট আপ!' আর অমনি বাচ্চাটা ইঞ্জিন কভারে উঠলো, আমি হাত ধরলাম, ও সিটে গিয়ে বসলো। তারপর ওর মা ওর পাশে বসলো। তারপর বাচ্চাটার বায়না, 'মোবাইলটা দাও না!' মা বকা দিলো, আবার মোবাইলও দিলো। মোবাইল নিয়েই তারপর সে ইউটিউবে স্পাইডারম্যানের কার্টুন দেখা শুরু করে দিলো! স্কুলের কাছে আসতেই আবার ঝটপট নেমেও গেলো। আমি তুলনা করছি না, আমার দেশের বাচ্চারাও চালু, কিন্তু ওদের ভালোটাকেও ভালো বলতে হবে। বাচ্চাটার ইনোসেন্ট হাসি এখনও চোখে ভাসছে! আর ভাসছে কালকের বাসের ঐ মেয়েটির মুখ।
লেখাঃ দেব দুলাল গুহ
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪
ভুল বানান বলেছেন: ছেলের মা মেয়ে নাকি অন্য কেউ ?
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যার,আপনার আগের পোষ্টটি পড়ে ভাল লাগলো।এটাও ভাল লিখেছেন।ভাল মিষ্টির দোকানের সন্ধান দিলাম,হৃদয়পুরের অশেষ,বারাসাতের মৌচাক, জ্যোতি।চন্দননগরের মোদক সুইটস।আর বিরিয়ানি খেলে যাবেন স্টিভ ওয়া,সৌরভ গাঙ্গুলির (অবশ্য আমারও) প্রিয় বারাকপুরের দাদাবৌদীর হোটেলে।টানা রিক্সা পেতে হলে আপনাকে শিয়ালদহতে যেতে হবে।তবে সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
সবশেষে একথা বলবো,আপনার চোখে যেন খারাপ কিছু না পড়ে।
শুভেচ্ছা রইল।
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন কলকাতার অভিজ্ঞতা, আমরা ওদের চেয়ে একটু বেশীই ভোজনরসিক, বেশি খাওয়া আসলে ভাল নয়
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: এখানে এক ধরনের কফি পাওয়া যায় নাম ESPRESSO এই কফি কেনার সময় দোকানি জানতে চাইবে কয় ব্রিও ? ওয়ান ওর টু । চায়ের কথা পড়ে মনে এলো। একেক দেশের একেক কালচার । এগিয়ে যাওয়াটাই আসল কথা।
লেখা ভালো লেগেছে । ধন্যবাদ
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২
কলাবাগান১ বলেছেন: ওরা এক পিস মিস্টি খেয়েও চাদের দেশে রকেট পাঠায়..আর আমরা আছি এক কিলো মিস্টি খেয়েই বারডেমে দৌড়াতে
৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২
ওয়াহেদ সবুজ বলেছেন: কলকাতা আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি শহর।
লেখাটি বেশ সুখপাঠ্য ছিলো!
ধন্যবাদ!
৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ভালো লাগলো
৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪
প্রামানিক বলেছেন: লেখাটি বেশ ভালো লাগল। পড়ে মজা পেলাম। ধন্যবাদ
১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০
প্রামানিক বলেছেন: আরেকটি কথা বলতে ভুলে গেছি, আপনি কি ৫০০গ্রাম মিষ্টি কিনেছিলেন না ৫০০পিস মিষ্টি কিনেছিলেন।
১১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৬
শাহ আজিজ বলেছেন: এস্প্রেসো কফি প্রথম খাই ৮২ সালে হায়দ্রাবাদের রেল স্টেশনে । বেশ ফেনা তুলে ফোঁস আওয়াজ করে আমাদের সবার হাতে তুলে দিল কাপ। উম ম বেশ মজার ছিল । এরপর যে স্টেশনে সময়ের আগে গেছি বা ট্রেন বদল বা রাতে ঘুমিয়েছি ওই এস্প্রেসো আমায় টেনেছে আয় আয় বলে। পরে যতবার গেছি ছেলেমেয়ে নিয়ে আমার স্ত্রী এক ভাঁড় চা না খেলে তার তৃপ্তি হতোনা , কস্তুরির পরে ফুটপাতেই বিশাল আয়োজন চায়ের , ঘন দুধ , লবঙ্গ দিয়ে । অন্য খানে চা খেতে গিয়ে বোল্ড ! ফেরার পথে ট্যাক্সি থামত ওই খানে শুধুই চা খাওয়ার জন্য । আমি পুরো ইন্ডিয়ার অর্ধেক ঘুরেছি এবং একেকখানে একেক রকম ফ্লেভার পাই। মধ্যবিত্তদের জন্য ভারত এখনও বাজেটের মধ্যে।
১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা।
অবশ্যই এটাকে ভ্রমন কাহিনি বলা যায়। আরও লিখুন। আর সাথে দুই একটা ছবি দিবেন প্লীজ।
১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩০
করুণাধারা বলেছেন: বাহ! দারুন কথক! খুব ভালো লাগলো পড়তে।
১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪০
সুমন কর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। একদিন সময় করে যেতে হবে..........
১৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৮
সিসৃক্ষু বলেছেন: বাহ্! ভাল লেগেছে।
১৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩
তারেক ফাহিম বলেছেন: কলকাতার অভিজ্ঞতা ভালো হয়েছে, ছবি থাকলে আরও ভালো লাগতো হয়ত।
১৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: মিষ্টি কেনার বৈপ্লবিক গল্প! বেশ ভাল লাগল।
১৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯
ইমরান আশফাক বলেছেন: দিন কয়েক আগেই কোলকাতায় গিয়েছিলাম। টানা রিক্সা পাবেন মার্কোস স্ট্রিটে। উঠলে প্রান ধুক্কুর ধুক্কুর করতে থাকে। আর নিউমার্কেটে যাওয়ার পথে দেখলাম একটা দোকানের সাইনবোর্ডে লিখা যে " এখানে প্রসিদ্ধ ঢাকাইয়া মিস্টি পাওয়া যায়"।
কি বুঝলেন?
১৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: ওরা সবকিছুর দাম সবার হাতের নাগালে রেখেছে ,কেননা ব্যবসায়ীরা ওখানে ব্যবসাকে মানবতার সাথে বিবেচনায় নিয়ে কম মুনাফা
করেও সবাইকে সুযোগ করে দিয়েছে জীবন কে উপভোগ করতে, আমাদের ব্যবসায়ীরা ও ভেবে দেখবে আশা করি !
২০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: মসৃণ সুন্দর বর্ণনা , ভাল লাগল এবং আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
শাহিন বিন রফিক বলেছেন: আপনার আসল নাম দেব দুলাল গুহ, তাইতো? লেখাটি ভাল হয়েছে, আসলে প্রতিটি দেশের কিছু নিজস্ব ঐতিহ্য আছে, আমাদের দেশেও আছে তবে তা দিনে দিনে বদদের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে।