নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইচ্ছা করছিলো প্লেনটাকে ধরেই ফেলি, ছুঁয়ে দেখি মেয়েটাকেও!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৮



মাথার খুব কাছ দিয়ে শাঁই শাঁই করে প্লেন উড়ে যাচ্ছে। ইচ্ছা করছে এখনি ছুঁয়ে দেখি। যেন একটা লাফ দিলেই ছুঁয়ে ফেলবো। যেন একটা ঢিল ছুঁড়লেই প্লেনের গায়ে লাগবে!

এমন অনুভূতিই হয়েছিলো সেদিন কোলকাতার নিউ বারাকপুরের একটি বাসার ছাঁদে দাঁড়িয়ে। বাড়িটা কোলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্রাইয়িং জোনে অবস্থিত। তাই, এয়ারপোর্টে বিমান ওঠা-নামার সময় খুব কাছ দিয়েই চলে যায় প্লেন। গাছের পাতাগুলো পর্যন্ত নড়ে ওঠে, ঢেউ তোলে পাশের লেকের জলে! আর শব্দ? প্রচন্ড শব্দে কানে তালা লেগে যাওয়ার জোগাড়! ভাবলাম, এখানে মানুষ রাতে ঘুমায় কী করে? কিন্তু কিছুক্ষণ পর দিব্যি সয়ে গেলো!

অনেক দূরে তাকিয়ে দেখা গেলো গাছের পাতার ফাঁকে ফানুশের মতো হলুদ আলো আকাশে। নাহ, আকাশে আগুন লেগে যায়নি। ধীরে ধীরে সেই আলো বড় হলো, রূপ নিলো টর্চের আলোতে। আকাশ থেকে কেউ যেন টর্চ জ্বালিয়ে দেখছে নিচে কোথায় কে আছে! এরপর একটি টর্চ রূপ নিলো দুটিতে, বোঝা গেলো এটি একটি বিমান, আস্তে আস্তে নিচে নামছে, ছুটছে রানওয়ের দিকে! আলোর অনেক পরে এলো শব্দ, একটা সময় গোটা প্লেনটাই সামনে দিয়ে খুব কাছ দিয়ে নেমে গেলো এয়ারপোর্টে। এভাবে ৩-৫ মিনিট বিরতিতে একটার পর একটা প্লেন নামতেই থাকলো। এই সাইডটায় সব ডমেস্টিক প্লেন, অর্থাৎ দেশের ভেতর বিভিন্ন প্রদেশে যাতায়াত করে। বেশিরভাগই দেখলাম indiGo এর প্লেন, ছিলো Air Indiaও। বিমান কাছ দিয়ে উড়ে গেলে শুধু নামগুলো নয়, জানালার যাত্রীকেও দেখা যায়। একটাও পুরাতন প্লেন দেখলাম না, সব নতুন।

এই এলাকায় দুই থেকে তিনতলার বেশি উঁচু বাড়ি করতে দেয়া হয় না। এমনকি গাছের উপরের দিকের পাতা বেশি বড় হয়ে গেলেও ছেঁটে দেওয়া হয়। গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে। এতোদিন বাইরের রাস্তা থেকে বিমান ওঠানামা দেখেছি, রানওয়ে দেখেছি। নিউ বারাকপুর বিটি কলেজ মোড়ের রাস্তা থেকে রানওয়ের অনেকটাই দেখা যায়। আজ ইচ্ছা হলো কোলকাতার বিখ্যাত বিমানবন্দরটি ভেতর থেকে দেখে আসি। তাই এয়ারপোর্টে গেলাম।



নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের আগেই ছোটভাই বলে দিলো, 'দাদা, এমন অনেক কিছুই দেখবে এখানে, যা আগে দেখোনি। আগেই সতর্ক করে দিলাম! ' ও আমার বয়সে একটু ছোট হলেও বন্ধুর মতোই। বললাম, 'কী দেখবো?' ও বললো, 'দেখোই না!'

কী আর দেখব? সুন্দর একটা এয়ারপোর্ট আর সুন্দরী সুন্দরী মেয়ে! শাড়ি বোরকা পরিহিত মেয়ে যেমন আছে, আবার আছে শর্ট পড়া মেয়ে, আছে টাইট জিন্স পরিহিত মেয়ে, আছে এয়ার হোস্টেজ। ভাইটি আমার ভেবেছে আমাদের দেশের মেয়েরা এমন ড্রেস একেবারেই পড়ে না! ভেবেছে আমি হয়তো হা করেই থাকবো! কিন্তু আমার তো অভ্যেস আছে, আমি পোষাকের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, আত্মনিয়ন্ত্রণের দীক্ষা আমি নিজে তো অনেক আগেই নিয়েছি, এখন সবাইকে বিলিয়ে বেড়াই। কাজেই, আমার কোনো সমস্যা হলো না। তবে বেশ কয়েকটা মেয়ে কেন যে এই এলোমেলো ছেলেটার দিকে এক ধ্যানে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলো, বুঝলাম না। জিজ্ঞেস করা দরকার ছিলো। কিন্তু 'ভারতীয়া নারী' কে প্রশ্ন করার সাহস আমার হলো না, যদি কেলিয়ে দেয়! তাছাড়া লাইন মারতে ওস্তাদ আমি নই, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়েছি, নেতাজিকে প্রণাম জানিয়ে ফিরে এসেছি। নাহলে আজ অনেক কিছুই হতে পারতো। দাদা, বললেই তো বলবেন বলচি!

কিন্তু কিছুই হয়নি।

লেখাঃ দেব দুলাল গুহ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৬

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: লেখাটা আরেকটু বস্তুনিষ্ঠ হলে আরো ভালো লাগত।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:১৯

কাউয়ার জাত বলেছেন: আত্মনিয়ন্ত্রণের দীক্ষা নেয়ার পরও দেখা যাচ্ছে আপনার চিত্ত শুধু মেয়ে মেয়ে করে। কলকাতা ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় মেয়েইতো হাইলাইট করলেন বেশি।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: ্পড়লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.