নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
ধরুন, একজন মানুষ বেঁচে থাকতে অনেক আকাম-কুকাম করেছেন, অনেক মানুষের ক্ষতি করেছেন। তার অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। ভালো মানুষগুলো তার মৃত্যুকামনা করে কাটাতেন প্রতিটা দিন।
সেই মানুষটাই একদিন হঠাৎ মারা গেলে, সবাই বলতে শুরু করেন, 'তিনি এইকালে যাই করে থাকুন না কেন, আপনারা সবাই সেসব ভুলে যান। আল্লাহপাক তাকে যেন বেহেস্ত নসীব করেন। অথবা বলেন ঈশ্বর যেন তাকে স্বর্গবাসী করেন।'
আমি বুঝি না, এই কথাগুলো আমরা কীভাবে বলি? আমরা কেন ভুলে যেতে চাই অতীতকে? সমাজের মানী লোকেরা ও ধর্মগুরুরা যখন এইসব কথা বলেন, তখন আমি তো মনে করি এসব বলে তাঁরা সমাজের দুর্নীতিগ্রস্থ খারাপ মানুষদেরকেই আশকারা দেন, সাপোর্ট দেন। কীভাবে?
এই বয়ান যারা শুনবেন, তারা ভাববেন, 'তাহলে তো আমিও সারা জীবন যত আকাম করেছি, যত মানুষের পেটে লাথি মেরেছি, সব মাফ হয়ে যাবে। আমার মৃত্যুর পর আমার আত্মার শান্তির জন্যও এভাবে প্রার্থনা করা হবে। তাহলে আর ভালোর পথে সততার পথে এসে কী হবে? জীবনে অন্যায় পথে অর্থ উপার্জন করে যত পারি ভোগ করে যাই, ওপারে গিয়ে তো সব মাফ হয়েই যাবে!'
আমার এই ভাবনাটা অবান্তর কি? মরার আগে অন্যায় পথে অর্জিত অর্থ সমাজের কল্যাণে ব্যায় করে গেলেই বা মন্দির/মসজিদে দিয়ে গেলেই কি আমি দানবীর হতে পারি? পারি না। এই উপায়ে আমি কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করছি মাত্র!
দুর্জন দুর্নীতিবাজ অসৎ লোক মৃত্যুর পরেও পরিত্যাজ্য। আমরা যেন সদা সর্বদা ভালোকে উৎসাহ দেই, পুরস্কৃত করি, সাপোর্ট দেই। আমরা যেন খারাপকে বর্জন করি।
দেব দুলাল গুহ / দেবু ফরিদী
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩
ক্স বলেছেন: ইসলাম ধর্মের কনসেপ্ট অনুযায়ী আপনার ধারণা ঠিক নয়। আপনি যদি আল্লাহ্র আদেশ নিষেধ অমান্য করার মত অপরাধ করে থাকেন, তবে আল্লাহ্র কাছে মনেপ্রাণে মাফ চাইলে আল্লাহ মাফ করে দেন। তার মৃত্যুর পর তার সন্তান/ছাত্র/উপকারভোগীরা যদি মাফ চায়, তাহলেও মাফ হয়ে যেতে পারে।
কিন্তু তিনি যদি মানুষের অধিকার হরণ জনিত অপরাধ করে থাকেন অথবা কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকেন, তবে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি মাফ না করলে আল্লাহ মাফ করেন না। সেক্ষেত্রে তার নেক আমল দিয়ে তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ করা হবে, তবে তার যদি যথেষ্ট পরিমাণ নেক আমল না থেকে, তবে ঐ ব্যক্তির পাপ এনে তার দায় শোধ করা হবে।
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টের সাথে আমি সহমত।
একজন দুষ্টলোক কে আমি মৃত্যুর পরও ভালো বলতে পারি না। যারা বলে তারাও মনে হয় দুষ্ট লোক।
৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জানাজার পর - লোকটা কেমন ছিল জিজ্ঞেস করা বা আপনারা সবাই মাফ করে দিয়েছেন তো টাইপ প্রশ্ন করা এগুলো বিডি শর্টকাট মুসলিমদের আবিস্কার। মৃত্যুর পর জনতার রায় নেয়ার কোন পদ্ধতি নেই ইসলামে। তবে হ্যাঁ, মুসলমান হিসেবে মুসলমানকে মাফ করাটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যপার...
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২৮
কানিজ রিনা বলেছেন: মীর জাফরের কবরে থুথু দেওয়ার নিয়ম।
আল্লাহর নীশিদ্ধ ঘষিত অন্যায় গুল জেনে
বুঝে করাকে কবীরা গুনা বলে। সারাজীবন
কবীরা গুনা করা মানুষ জীবনের শেষে এসে
তওবা করলেও মাফ হবে কিনা আল্লাহ্
মালুম। তবে আল্লাহর পুর্ব নির্ধারিত বেহেস্ত
দোজক বা স্বর্গ নরক। সকল ধর্মেই নির্দেশিত।
এখন বুঝুন ইসলামে সাত বেহেস্ত আট দোজক
তাহলে অনুমান করা যায় প্রায় অর্ধেক মানুষ
দোজকে যাবে।
মসজিদের ইমাম সাহেবরা বলতে হবে না
জানিয়া গুনা ছগীরা গুনা। জেনেশুনে গুনা
করা কবীরা গুনা। অর্থাৎ ছোট গুনা বড় গুনা।
বড় গুনা কখনও আল্লাহ্ মাফ করবেন না।
কিন্তু প্রায়ই ওয়াজ মাহফিলে বা ইমামদের
বলতে শুনা যায় যত বড় গুনা হোক আল্লাহর
কাছে মাফ চাইলে আল্লাহ্ মাফ করে দেন।
তাই যত রাজ্জের ঘুসখোর সুদখোর দুর্নীতিবাজ
যেনাখোর চোগলখোর নিশিদ্ধ ব্যবসার চোর
চুট্টারা বড়ো বয়সে এসে মসজিদে মাথা ঠুকে
আল্লাহর কাছে মাফ চায় বা হজ্জ করে হাজী
হয়ে তজবী হাতে পবিত্র হয়। আল্লাহ্ মালুম
তারা মাফ পাবে নাকি।
যদিও মৃত্যুপর মানুষ তার জন্য আল্লাহর
মাগফেরাত কামনা করেন তথাপি তাহাই উচিৎ।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: যুগে যুগে মহাপুরুষরা অপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। তাদেরকে অনুসরণ করে আমরাও ক্ষমা করি।কিন্তু আল্লাহ ক্ষমা করবেন কিনা সেইটা তিনিই ভালো জানেন।