নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
লীগের কোনো এক জেলার সভাপতি নাকি ভারতীয় নাগরিক, কিছুদিন আগে এমন কথা পত্রপত্রিকায় লেখা হয়েছিলো। আমার বাবা কবি বাবু ফরিদী বেঁচে থাকতে তিনি কোনো বিপদে পড়লেই বলতেন, 'বাবু আমারে বাঁচাইও'। বাবার শ্রাদ্ধ পরবর্তী এক অনুষ্ঠানে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন আমাদের কোনো বিপদ হলে তিনি দেখবেন, আমরা যেন তাঁকে জানাই। এরপর আমি ঢাকায় পড়তে গেলাম, হলে থাকি টিউশন করি, সিটের জন্য রাজনীতিও করি, খুব কষ্ট করি। আমার সহজ সরল মাকে একা পেয়ে আমার বসতবাড়ির তিন দিকের জিকা গাছ আর পিলার সরিয়ে প্রতিবেশিরা দখলে নিয়ে পাকা ঘর করে ফেললো। আমার তখন ইয়ার ফাইনাল চলে, আসতে পারিনি। কাউকেই পাশে পাইনি সেই সময়ে।
.
তো, সেই সভাপতিকে পরে গিয়ে বারবার অনুরোধ করেছিলাম আমার জায়গাটা উদ্ধার করে দেন। তিনি খুব টেকনিক্যালি এড়িয়ে যেতেন। তারপর অনেক চাপাচাপি ও অনুরোধের পর একদিন তিনি বললেন, 'আমি তো যাই না এসব ছোটখাটো জায়গায়, অমুক যায়। আমি ওকে বলে দিচ্ছি।' যে মানুষ বাবার শ্রাদ্ধ খেয়ে গেলো শোক সভা করে গেলো এই গরিবের বাড়িতে এসে, তাঁর মুখেই তখন এই কথা! যাহোক, তিনি আমাকে সফলভাবে নতুন বিপদে ফেললেন, ধান্দাবাজ যোগাড় করে দিলেন একজন। কাগজের মাপ বিবেচনায় না এনে প্রতিপক্ষের কাগজ না থাকার পরেও যিনি সুবিধা পেয়ে তাদের পক্ষেই রায় দিয়ে আমাকে সেটা চাপিয়ে দিলেন এবং আমার অনুপস্থিতিতে বাকিটুকুও দখল হলো। প্রতিবাদ করায় পরোক্ষ হুমকি এলো আমাদের বড় ক্ষতি করার। এখন আমার ঘরে আলো-বাতাস ঢোকে না। নানাবিধ সমস্যা হলেও বাবার স্মৃতি ছেড়ে যেতেও পারি না কোথাও। মুক্তিযুদ্ধের আগে ফরিদপুর মন্ত্রী মহোদয়ের এলাকা কৈজুরী ইউনিয়নের তুলাগ্রামের বড় জমিদার গুহ পরিবারের কালিপদ গুহর উত্তরসূরীর এখন এইটুকু মাথা গোঁজার ঠাঁই ছাড়া আর কিছুই নেই!
.
সেই সভাপতি মহোদয় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বড় বড় নীতিবাক্য ঝাড়েন। আবার পত্রিকায় কোনো মতামত লিখলে আমাকে জানিয়ে কেমন হলো জানতে চান। প্রথম আলোতে একটা লেখা ছাপানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। আবার আমাকে বলেছেন, 'তোমার একার পক্ষ নিয়ে করে কি লাভ? হও তুমি ঠিক, তারপরেও। তোমার জন্য করে ওদের ভোট হারাবো নাকি?'
.
সেদিন শুনলাম, কলকাতার বিরাটিতে তিনি সম্পদ বাড়িয়েই চলেছেন। বিরাটির বিবেকানন্দ মোড়ে (অঙ্গনা মোড়ে) নাকি তাঁর 'বেকার' নাতির নামে ৩০ লাখ রুপিতে একটা মিষ্টির দোকানও কিনেছেন!
.
বাহ, দারুণ! আপনি আসলেই অনেক প্রতিভাবান, অনেক কাজের মানুষ। যা দেখালেন মাইরি!
©somewhere in net ltd.