নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
বিজ্ঞান মতে, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাস করলে যে পরিমাণ বীর্য নির্গত হয় তাতে ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। তো, লজিক অনুযায়ী মেয়েদের গর্ভে যদি সেই পরিমাণ শুক্রানু স্থান পেতো তাহলে ৪০ কোটি বাচ্চা তৈরি হতো!
এই ৪০ কোটি শুক্রাণু, মায়ের জরায়ুর দিকে পাগলের মত ছুটতে থাকে, জীবিত থাকে মাত্র ৩০০-৫০০ শুক্রাণু।
আর বাকিরা ? এই ছুটে চলার পথে ক্লান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়।এই ৩০০-৫০০ শুক্রাণু, যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে।তাদের মধ্যে মাত্র একটি মহা শক্তিশালী শুক্রাণু ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করে, অথবা ডিম্বানুতে আসন গ্রহন করে। সেই ভাগ্যবান শুক্রাণুটি হচ্ছে আপনি কিংবা আমি, অথবা আমরা সবাই।
কখনও কি এই মহাযুদ্ধের কথা মাথায় এনেছেন?
১। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন" তখন ছিলনা কোন চোঁখ হাত পা মাথা, তবুও আপনি জিতেছিলেন।
২। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন"তখন আপনার ছিলোনা কোন সার্টিফিকেট, ছিলোনা মস্তিষ্ক তবুও আপনি জিতেছিলেন।
৩। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন তখন আপনার ছিলনা কোন শিক্ষা, কেউ সাহায্য করেনি তবুও আপনি জিতেছিলেন।
৪। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন তখন আপনার একটি গন্তব্য ছিলো এবং সেই গন্তব্যের দিকে উদ্দেশ্য ঠিক রেখে একা একাগ্র চিত্তে দৌড় দিয়েছিলেন এবং শেষ অবধি আপনিই জিতেছিলেন।
- এর পর, বহু বাচ্চা মায়ের পেটেই নষ্ট হয়ে যায় । কিন্তু আপনি মারা যান নি, পুরো ১০ টি মাস পূর্ণ করতে পেরেছেন ।
- বহু বাচ্চা জন্মের সময় মারা যায় কিন্তু আপনি টিকেছিলেন ।
- বহু বাচ্চা জন্মের প্রথম ৫ বছরেই মারা যায়। আপনি এখনো বেঁচে আছেন ।
- অনেক শিশু অপুষ্টিতে মারা যায়। আপনার কিছুই হয় নি ।
- বড় হওয়ার পথে অনেকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে, আপনি এখনো আছেন ।
আর আজ......
আপনি কিছু একটা হলেই ঘাবড়ে যান, নিরাশ হয়ে পড়েন, কিন্তু কেন? কেনো ভাবছেন আপনি হেরে গিয়েছেন ? কেন আপনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন ? এখন আপনার বন্ধু বান্ধব, ভাই বোন, সার্টিফিকেট, সবকিছু আছে। হাত-পা আছে, শিক্ষা আছে, প্ল্যান করার মস্তিষ্ক আছে, সাহায্য করার মানুষ আছে, তবুও আপনি আশা হারিয়ে ফেলেছেন। যখন আপনি জীবনের প্রথম দিনে হার মানেননি। ৪০ কোটি শুক্রাণুর সাথে মরণপণ যুদ্ধ করে, ক্রমাগত দৌড় দিয়ে কারো সাহায্য ছাড়াই প্রতিযোগিতায় একাই বিজয়ী হয়েছেন।
কেনো একজন আপনার লাইফ থেকে চলে গেলে,
সেটা মেনে নিতে পারেন না?
কেনো আপনি একটা কিছু হলেই ভেঙে পড়েন??
কেনো বলেন আমি আর বাচতে চাইনা?
কেনো বলেন আমি হেরে গিয়েছি?
এমন হাজারো কথা তুলে ধরা সম্ভব, কিন্তু আপনি কেনো হতাশ হয়ে পড়েন?
আপনি কেন হারবেন? কেন হার মানবেন? আপনি শুরুতে জিতেছেন, শেষে জিতেছেন, মাঝপথেও আপনি জিতবেন। নিজেকে সময় দিন, মনকে প্রশ্ন করুন কি প্রতিভা আছে আপনার। মনের চাওয়া কে সব সময় মূল্য দিন, সব সময় স্রষ্টাকে স্বরণ করুন। দেখবেন আপনি জিতে যাবেন,
শুধু নিজের মনের জোর নিয়ে যুদ্ধ করতে থাকুন- আপনি জিতবেনই।
collected
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪০
কে ত ন বলেছেন: আপনি যখন চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন এবং নতুন কোন কোম্পানি থেকে ইন্টারভিউর ডাক আসেনা, আসলেও চাকরি শেষ পর্যন্ত হয়না, তখন বুঝবেন হতাশা কাকে বলে? বেকার থাকার অভিজ্ঞতা যে কী মারাত্মক, সেটা আপনার মত আশাবাদীদেরকে বুঝানো যাবেনা।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৬
সনেট কবি বলেছেন: শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৪
ফেনা বলেছেন: চমতকার কথা। পোষ্টে দিবার জন্য ধন্যবাদ।
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমরা সবাই বিজয়ী যোদ্ধা।
৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪
সাইন বোর্ড বলেছেন: অাশা জাগানিয়া, পড়ে ভাল লাগল ।
৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: আজ এক জোতিষি হাত দেখে বললো,
আমি নাকি দুইটা বিয়ে করবো-
কথা শুনেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো-
আমার ইচ্ছা ছিল তিনটা বিয়ে করব।
৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৪৬
আরোগ্য বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: সবাই বলে এই লেখা কালেক্ট করা। আমার কথা হল এর আসল লেখক কে
?
আমরা তার দেখা পাইনি কেন? কারন প্রথম যে কপি মেরেছে সেও লেখক এর নাম উল্লেখ করেনি। এভাবেই লেখাটা থেকে লেখক হাড়িয়ে গেছে