নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
কেউ যখন তাচ্ছিল্যভরে জিজ্ঞেস করে 'আপনার মাস্টারি কেমন চলে?', আমার তখন মরে যেতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু মরে তো আর আসলেই যেতে পারি না। মাটির সাথে মিশে যেতেও পারি না। পরক্ষণেই মনে শক্তি এনে বুঝিয়ে বলিঃ
.
'আসলে জানেন কি ভাই, আমরা যারা বিসিএস উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষকতায় এসেছি, তারা শুধু শিক্ষক নই, আমরা একেকজন প্রথম শ্রেণির গেজেটেড সরকারি ক্যাডার কর্মকর্তাও। ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের মতো আমরাও নবম গ্রেডের বেতন পেয়ে চাকরিতে জয়েন করি। থানার ওসি কিংবা জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা বা পাসপোর্ট অফিসার বা এনএসআইয়ের সহকারী পরিচালক বা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার বা সঞ্চয় অফিসের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তার চেয়েও তিনি উপরের গ্রেডের এবং ক্যাডার কর্মকর্তা, অর্থাৎ তিনি প্রত্যায়ন সত্যায়ন করতে পারেন, এন্ট্রি লেভেলেই নির্বাচনের সময় প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।
.
অন্য সব প্রতিযোগীর মতো আমরাও দেশের সর্বোচ্চ প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কেউ স্বেচ্ছায় আবার কেউ হাফ বা এক মার্ক বা আরেকটু বেশি মার্কের জন্য চয়েজ লিস্টের প্রশাসন পুলিশ বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে না গিয়ে শিক্ষায় এসেছি। কিন্তু আমাদের পোস্টিং শুধু ইন্টারমিডিয়েট/ডিগ্রি/অনার্স/মাস্টার্স লেভেলের কলেজে হয় না, (কলেজটা সর্বনিম্ন পর্যায়, স্কুলে হয় না), বরং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ অধিদপ্তরগুলোতেও হয়। আমরা একেকজন সচিব হওয়ার যোগ্যতা রাখি, হয়তো বয়স আর যোগ্যতা থাকলে একদিন কেউ কেউ হয়েও যেতে পারি। আর কিছু নাহলেও ধরে নেওয়া যায় অধ্যাপক আমরা চাকরির শেষ বয়সে হবোই।
.
আজ আমরা শিক্ষক, তাই হয়তো ম্যাজিস্ট্রেটদের মতো সবসময় ইন করে শার্ট পরে ঘুরে বেড়াই না বা পুলিশের মতো ইউনিফর্ম পরে ঘুরি না, ব্যবহারের জন্য অফিসিয়াল গাড়ি পাই না; বরং সাধারণ পোশাক পরি, এমনকি হয়তো কেউ কেউ টং এর দোকানে বসে চাও খাই। এর কারণ হলো, আমরা এখন শিক্ষক। শিক্ষককে দেখে কেউ ভয় পাক এটা শিক্ষক চায় না। জনগণের সাথে দূরত্বটাও তার কাম্য নয়। শিক্ষকের কাজ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণকেও প্রয়োজনে শিক্ষা দেওয়া।
.
সাধারণের মতো পোশাক পরলে সাধারণের সাথে খুব সহজেই নিজেকে মানিয়ে নেওয়া যায়, আপন ভাবে তারা আমাদেরকে। শুধু পাঠ্যপুস্তক নয়, বরং এর বাইরেও সমাজ অর্থনীতি রাজনীতি সংস্কৃতি ইত্যাদি নিয়ে সবার সাথে খোলামেলা আলোচনা করা জ্ঞানের চর্চা করাটাও আমি আমার কাজ বলে মনে করি। পাশাপাশি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়াটাও শিক্ষক কর্মকর্তা হিসেবে আমার কাজ বলে মনে করি। প্রশাসন পুলিশ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এসব রুখে দেওয়ার চেষ্টা করে, আর আমরা করি বুঝিয়ে সুঝিয়ে জ্ঞান দিয়ে উদাহরণের মাধ্যমে।
.
জাতি গঠনে আমাদের ভূমিকা একেবারে কম নয়। যাকে যে ক্ষেত্রে নিয়োগের উপযুক্ত বলে মনে করেছে সরকার, তাকে সেখানেই দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ক্যাডারের কারো মর্যাদা কম দেওয়া হয়নি। তাই আপনি যখন তাচ্ছিল্যের ছলে আমাকে 'মাস্টার' বলে ডাকেন, আমার তখন আপনাকেও জ্ঞান দিতে ইচ্ছা করে, কারণ আপনার জ্ঞানের বিস্তর অভাব রয়েছে। এই যে দেখেন কত বড় সংলাপে আপনাকে ইতিমধ্যেই কতটা জ্ঞান দিয়ে দিলাম! ধন্যবাদ'।
.
তবে দিনশেষে সমাজবাস্তবতা মেনে নিতেই হয়। সমাজের কাছে শিক্ষকের চেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের দাম বেশি। কারণ একজন শিক্ষককেও নিজের নিরাপত্তার জন্য তাদের শরণাপন্ন হতেই হয়। তবে এটাও ভুলে যাবেন না, একজন শিক্ষকের হাতেই কিন্তু গড়ে ওঠে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার..
দেব দুলাল গুহ / দেবু ফরিদী
.
[সবাই যদি এই লেখাটা যার যার টাইমলাইন থেকে আমার নামে ক্রেডিট দিয়ে বা আমাকে ট্যাগ দিয়ে প্রকাশ করেন, তাহলে অনেক মানুষ লেখাটা পড়ে আমাদের সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে পারবে।]
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:০৮
ঢাকার লোক বলেছেন: "একজন শিক্ষকের হাতেই কিন্তু গড়ে ওঠে
ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার"
কোন সুস্থ লোকই তা অস্বীকার করতে পারে না।
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১৬
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশ সেলফোন প্রযুক্তি সহ অনেক ক্ষেত্রেই বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারলেও এই দেশের সরকারি অফিস আদালত ও জনপ্রশাসন এখনো মধ্যযুগে পড়ে আছে | এখনো আমলাদের একটি বিশেষগোষ্ঠী যেভাবে রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করে তা সত্যিই ভাবনার বিষয় | এখনো ডিসি/এসপি এক একটি জেলাকে যেভাবে শাসন ( ! ) করেন তা রাজাবাদশাহদের হার মানায় | উন্নত বিশ্ব থেকে অন্তত আধুনিক জনপ্রশাসনের ধারণা নিয়ে দেশের প্রশাসনের আমূল পরিবর্তন আনতে পারলে দেশের সাধারণ লোকজন কিছুটা হলেও উন্নত সেবা পাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করতো |
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২০
যোখার সারনায়েভ বলেছেন: আহা এমন শিক্ষক যদি হতে পারতাম!
৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২০
যোখার সারনায়েভ বলেছেন: আহা এমন শিক্ষক যদি হতে পারতাম!
৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
মাহের ইসলাম বলেছেন: শিক্ষকগণকে সকল সমাজেই শ্রদ্ধার সাথে দেখা হয়।
৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬
আল ইফরান বলেছেন: বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার তুলে দিলে মন্দ হয় না, শিক্ষকতা পেশায় আন্তঃক্যাডার প্রতিযোগীতার মনোভাবাপন্ন ও হীনমন্যতায় ভোগা মানুষের চাইতে বিনয়ী-নিরহংকারী ভালো মানুষ বেশী জরুরী।
৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩
আল ইফরান বলেছেন: আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এই কথা বলার জন্য যে আপনার পোস্ট শুরু হয়েছে অন্যকে ছোট করে দেখার মাধ্যমে।
কেউ কাউকে ছোট করে নিজে বড় হতে পারে না। বড় হওয়ার পুর্বশর্তই হচ্ছে নিজেকে ছোট করে রাখা ও নিজের সম্পর্কে উচ্চ ধারনা পরিহার করা।
১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড সরকারী কর্মকর্তা পরিচয়টা কিংবা কত গ্রেডে বেতন পান সেটা একজন শিক্ষকের জন্য খুব জরুরী? - আপনার কথাগুলো জানি কেমন! শিক্ষককে তাচ্ছিল্ল করে 'আপনার মাস্টারি কেমন চলে?' এমন প্রশ্ন করবার লোক বোধ করি বাংলাদেশে এখন খুব কম। আর এরপরেও যারা করেন তারা নিতান্ত মূর্খ এবং আমি নিশ্চিত কখনো কোন শিক্ষক কর্তৃক কোন শিক্ষা তারা পায় নাই। তাদেরকে শিক্ষকের অবস্থান বোঝাতে গিয়ে আপনি রীতিমত হাইকোর্ট দেখিয়ে দিলেন। আবার লেখাটা যার যার টাইম লাইন থেকে আপনাকে ট্যাগ দিয়ে কিংবা ক্রেডিট দিয়ে প্রকাশ করতে বলছেন! হাস্যকর। এত ক্ষ্যাতি নিয়ে কি করবেন স্যার?
বকুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরিদ্র রাজেন্দ্র স্যারের (অংক স্যার) সব থেকে বড় ক্ষ্যাতি ছিল তার সব গুলো স্টুডেন্ট মানুষের মত মানুষ হতে পেরেছিল অথচ তার নিজ সন্ত্বান যে মানুষ হতে পারল না সেটা নিয়ে কোনদিন আক্ষেপ তাকে করতে দেখি নাই।
১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮
নতুন বলেছেন: যারা এই প্রশ্ন করে তাদের চটকানা দেওয়া দরকার।
কারন শিক্ষক না থাকলে একটা রাস্ট, সমাজ, ধ্বংস হয়ে যাবে....
আর একটা বিষয় তাদের মনে করিয়ে দেবেন.... যে আসলেই কিছু সময় শিক্ষকরাও ব্যাথ` হয় কিছু মানুষকে সঠিক শিক্ষা দিতে... তাদের কেউ কেউ এমন প্রশ্ন করে.... ''আপনার মাস্টারি কেমন চলে?''
আরেকটা বিষয় হলো আপনি যদি আপনার শিক্ষকতা নিয়ে নিজেই হীনমন্যতায় না ভোগেন তবে এই রকমের প্রশ্নে আপনার এতো কস্ট লাগার কথা না।
১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৭
কালীদাস বলেছেন: আমি নিজেও টিচার, টিচারদের কেউ অসম্মান করলে আমার কষ্ট হয়। আপনার বেলায় হৈল না এমুনকি পোস্টের ভিতরে কি বালডা লেক্সেন ঐটা পড়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা করল না টাইটেল দেইখ্যাই। আপনে কিয়ের টিচার মিয়া, মাইনষের কুনু কমেন্টের রিপ্লাই দেন না ব্লগে। এই ন্যুনতম কার্টেসি যার ভিত্তে নাই হে কি **ডা পড়াইব পুলাপানরে! আপনারে টিচার বানাইছে কেডায়?
১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭
আল ইফরান বলেছেন: কালীদাস বলেছেন:....আপনে কিয়ের টিচার মিয়া, মাইনষের কুনু কমেন্টের রিপ্লাই দেন না ব্লগে। এই ন্যুনতম কার্টেসি যার ভিত্তে নাই হে কি **ডা পড়াইব পুলাপানরে! আপনারে টিচার বানাইছে কেডায়?
হে হে হে, ব্লগার কালীদাস আমার মনের কথা বইলা দিছে
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: তবে এটাও ভুলে যাবেন না,
একজন শিক্ষকের হাতেই কিন্তু গড়ে ওঠে
ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার..
......................................................................
বক্তব্যে সহমত
তবে, সকল শি ক্ষক
শিক্ষকের মর্যাদা রাখতে জানেন না ।