নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
মেক আপের কল্যাণে আজকাল সব মেয়েকেই সুন্দর লাগে। আমরা ছেলেরা যারা সুন্দরের পূজারী, তারা আছি খুব বিপদে। যাকে দেখি তাকেই ভালো লাগে, তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। ছোটবেলায় যে মেয়েটি কুচকুচে কালো ছিলো, সেও এখন ধবধবা ফর্সা হয়ে ভ্রু প্লাগ করে সেজেগুজে সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ক্যামনে কি ম্যান?
.
মুরুব্বিরা বলেন, বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, মন দেখো। মন দেখতে হলে আগে বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখেই তো এগোতে হবে। একটা মেয়েকে দেখে ভালো লাগলো, তো কাছে গিয়ে কথা বলতে হবে। এইক্ষেত্রে ছেলেকে বেহায়া হতে হবে। অপমান হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েও হাসিমুখে এগিয়ে গিয়ে মেয়েটির সাথে কথা বলতে হবে। আর আমার মতো অতি ভদ্র যারা, তারা দূর থেকেই দেখে যাবে। দেখারাম দেখে যায়, খেলারাম খেলে যায়।
.
এরপর আছে ধর্ম-গোত্রের প্রবলেম। ধরুন, সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে একটা মেয়ের সাথে কথা বললেন। তারপর আস্তে আস্তে মেয়েটাকে চিনলেন, জানলেন। কিছুদিন পর প্রেমও হয়ে গেলো। তারপরেও কি সেই মেয়েটিকে আপনি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন? সেটা কি সেইফ?
.
বিয়ে করতে অনেক সাহস লাগে, লাগে রিস্ক নেওয়ার ক্ষমতা ও যোগ্যতা। তারপর একবার বিয়ে হয়ে গেলে শুরু হয় মানিয়ে নেওয়ার পালা। মানিয়ে নিতেই হবে। উপায় নাই আর। ঝগড়া হবে, মনোমালিন্য হবে। তবুও। বেশি খারাপ পর্যায়ে গেলে যখন একেবারেই মানিয়ে নেওয়া যাবে না, এক ছাদের নিচে কিছুতেই যখন আর থাকা যাবে না, তখন নিতে হবে ডিভোর্স। তারপর আবার মেয়ে দেখা, আবার প্রেম, আবার বিয়ে! এ যেন বায়োলজি বইয়ের আদলে এক চক্র-- মিলনের জীবনচক্র!
.
বিয়ে করার বয়স এলে বোঝা যায় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা কঠিন। বিশ্বাস করি জন্ম মৃত্যু বিয়ে আল্লাহর হাতে। আগের প্রেম থাকলে সুবিধা হয় এইক্ষেত্রে, নতুন করে আর হয়রান হতে হয় না। পড়ুয়া আর সংগ্রামী ছেলেদের জন্য সমস্যা এখানেই। জীবন গুছাতে গিয়ে বিয়ের জন্য মেয়ে গুছানোই হয়ে ওঠেনা। তাই বিয়ে করতে হলে জেনে বুঝে সময় নিয়ে করতে হবে। এটা একটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত। বুঝলেন?
.
অনেকে বলেন, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আগে। তারপর কয়েকটা দেখে হুট করে মেয়ে পছন্দ করে বিয়ে করে ফেলতে হবে। বাকিটা ঐ যে, মানিয়ে নেওয়ার উপর! আমি এটা মানতে পারি না। এটা কি এতোই সহজ যে পকেটে টাকা নিয়ে শপিং মলে গেলাম আর কয়েক দোকান ঘুরে নিয়ে এলাম একটা?
.
অভিজ্ঞদের মতামত চাই
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩১
নাহিদ০৯ বলেছেন: যে ব্যক্তি বিয়ে করে না এবং বৈধভাবে যৌন চাহিদা পূরণ করে না, সে সাধারণত বহু পাপ-কর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে। তা ইচ্ছায়ই হোক আর অনিচ্ছায়ই হোক। কিন্তু বিবাহিত ব্যক্তির নিকট যেহেতু আত্মরক্ষার উপকরণ বিদ্যমান, সেহেতু সাধারণত ওই সব পাপকার্য থেকে তার সম্পর্ক স্বতঃই ছিন্ন হয়ে যায়।
পক্ষান্তরে যারা বিয়েও করে না অথচ নিষ্কলুষ জীবন যাপন করতে আগ্রহী, তারা অহেতুক টানা-হেঁচড়ার জীবন নির্বাহ করে থাকে। তারা কখন কি করে বসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: দেশে বিদেশের বিয়ের আচার আচরন ভিন্ন ,
তাই কোথায় আপনার দীর্ঘনিবাস , সেকথা
বিবেচনায় নিতে হবে ।
..................................................................................
বিশ্বম্যাপ দেখুন , সে বিবেচনায় আমরা অতিক্ষুদ্র একটি জাতি।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৩
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একজন অনভিজ্ঞ ব্যাক্তি হিসেবে আমার কথা হচ্ছে আগে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে তারপর উচিৎ বিয়ে-সাদি নিয়ে ভাবা। তবে যারা অভিজ্ঞ আছেন তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমি কিছু জানি না।
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১০
নীল আকাশ বলেছেন:
শুভ কামনা রইল!
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: গুগলে খুঁজুন
৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৪
বাংলার মেলা বলেছেন: মেয়ের সঙ্গে কমপক্ষে তিন দিন কথা বলুন। দুইদিন একান্তে, একদিন বন্ধু বান্ধব নিয়ে। তিন দিন তিন প্রসঙ্গে কথা বলবেন।
তিন দিন তিন রকম উপহার নিয়ে যাবেন, উপহারের সাথে তাজা ফুল দেবেন। তিনবারে একই ফুল। উপহার পাবার পর তার প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করবেন।
প্রথমবার দেখা করার পর পরই আপনার মনের অবস্থা জানিয়ে একটি চিঠি লিখুন বা ইমেইল করুন। ইমেইলের ব্যাপারে মোবাইলে একটা এসএমএস নোট দিন। রিপ্লাই পাবার পর আপনার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া খুব সহজ হবে।
চতুর্থ সাক্ষাতে বিয়ের পরিকল্পনা করুন। বিয়ের কেনাকাটা তাকে সাথে নিয়ে করুন।
৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: বিয়ের পাত্রী দেখা আর কোরবানির গরু কেনা দুটোই আমার কাছে একই মনে হয় ।
ইসলাম ধর্মে বলা আছে, আল্লাহ যার সাথে জোড়া রেখেছে , তার সাথে বিয়ে হবে। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন
১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮
গরল বলেছেন: যদি বিশ্বাস করেই থাকেন যে জন্ম মৃত্যু আর বিয়ে আল্লার হাতে তাহলে এসব নিয়ে প্যানপ্যান করে লাভ কি? এটা বিশ্বাস না করলে হয়ত অভিজ্ঞতা থেকে কিছু বলা যেত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
এটা একটা ভাগ্য লটারী। বছরের পর বছর প্রেম করে বিয়ে করলেও সংসার নামক বেলতলায় সুখী দাম্পত্য গেরান্টি কেউ দিতে পারবে না। এটা খুব কঠিন একটি জায়গা। পারষ্পরিক বোঝাপড়া, রেসপেক্ট, ছাড় দেওয়ার মানসিকতা, দায়িত্বশীল আচরণ ও বিশ্বাস এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যার যার অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে, সহযোগী হতে হবে, ভাল কাজে সাহস ও উৎসাহ দিতে হবে। তবে 'বেটার হাফ' বিটার/তিতা হলে জীবন নরক হতে সময় লাগবে না। আসলে সংসার জীবনে চেহারা-টেহারা, অর্থ-বিত্ত কোন ইম্পরট্যান্ট বিষয় নয়।