নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধ হোক হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার বদ অভ্যাস

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

সন্ধ্যা ৬টার দিকে হঠাৎ করেই নিজের বাড়ির বাইরের দিকের ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান লোলিত বর্মন। পেশায় কৃষক লোলিত বর্মন সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে সবে বাড়িতে এসে একটু পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছিলেন। সাথে সাথেই ঘর থেকে বের হলেন ঠিকই, কিন্তু ততক্ষণে খড়ের ঘরটি আর তার ভেতরের খড়সহ রান্নার সামগ্রী ইত্যাদি পুড়ে ছাই। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়লো পাশেই তার একটি ঘরেও। খুব কষ্টে চিৎকার চেচামেচি করে লোক জড়ো করে আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে ক্ষতি যা হবার হয়ে গেছে।
.
কে বা কারা বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তার খড়ের ঘরটিতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে গেছে! উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানানোয় তিনি নির্বাচনী ব্যস্ততার মাঝে একবার ঘটনাস্থলে যানওনি, 'সম্ভবত বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে' বলে চালিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
.
ঘটনাটা আজ সন্ধ্যার, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামে। নির্বাচন এলেই হিন্দুদের বাড়িঘরে আবেগী জোশে ঝাপিয়ে পড়ে কিছু তথাকথিত বক ধার্মিকের দল। কী মজা পায় তারাই জানে!
.
গত এক সপ্তাহে পাশের জেলা ঠাকুরগাও সদর উপজেলাতেই তিনটি হিন্দু বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন এলেই উত্তরাঞ্চলে এসব বেশি বেশি হচ্ছে। যেন হিন্দু বাড়িতে আগুন দিলেই আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে আগুন দেওয়া হয়ে যায় এক শ্রেণির মুর্খের, যেন ভীষণ মজা পায় তারা এ কাজটি করে!
.
প্রথম ঘটনাটি যার বাড়িতে ঘটেছে, তিনি আমার ছোট ভাই সুব্রত রায়ের আপন ফুপা। শুনে খুব খারাপ লাগছে। গরিব কৃষকের একটি খড়ের ঘর পুড়ে ছাই, থাকার টিনের ঘরটাও অর্ধেকটা পুড়ে গেছে। এই শীতের রাতে তারা কীভাবে রাত্রিযাপন করছেন আমি জানি না। ভাবতেও পারছি না। স্থানীয় প্রশাসন কি একটু খোঁজ নিবেন, পাশে থাকবেন পরিবারটির?
.
কালকের দিনটা গেলেই ভোট। নির্বাচন হোক শান্তিপূর্ণ৷ শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভোটগ্রহণ শেষে নিরপেক্ষ গণনায় যে জিতবে, জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, তারাই সরকার গঠন করুক। কিন্তু এতে হিন্দুদের দোষটা কোথায়? তাদের ঘরেই কেন আগুন দিতে হবে? আওয়ামী লীগে ভোট তো মুসলিমরাও দেয়, কারণ মাত্র ১০ শতাংশ হিন্দুর ভোটে তো আর আওয়ামী লীগ জিতে সরকারে যায় না। তাহলে হিন্দুরাই কেন ভিক্টিম হবে? সারা জীবনের কষ্টার্জিত জীবিকা, বসতবাড়ি কেন ধ্বংস করা হবে? শুধু হিন্দুদের ওপর নয়, সকল স্থানের সকল ধরণের দুর্বলের ওপর সবলের এমন অত্যাচার আর কতদিন চলবে?
.
আমার ভোট আমি দেবো,
যে এসব অত্যাচার চিরতরে নির্মুল করবে
তাকেই দেবো।
.
দেব দুলাল গুহ / দেবু ফরিদী

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমার ভোট আমি দেবো,
যে এসব অত্যাচার চিরতরে নির্মুল করবে
তাকেই দেবো।

..................................................................................
আমাদের এই উপমহাদেশে এরকম আচরনটা এখনও গেল না
ভারতে একই ঘটনার বিপরীত চিত্র দেখতে পাই ।
শক্তিসালীর অত্যাচার গরীবের উপর ।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৫

রাফা বলেছেন: বাংলাদেশে একটি অলিখিত আইন আছে ।এবং এই আইনের প্রবক্তা একটি জোট।তারা সকল সময় ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠির ভোট নিয়ে শংকিত থাকে।এবং জোড় করেই একটি পক্ষ বানিয়ে ভোটের মাঠে আধিপত্য বিস্তার করতে চায়।তারা মনে করে এদের ভোটের কারনেই বাংলাদেশের মসজিদে উলুধ্বনি দেওয়া হবে একদিন।তাই এদেরকে এই দেশ থেকে নির্মুল করতে হবে।তালেবানি রাষ্ট্র কায়েমের স্বার্থে তাদের এই জেহাদি কর্মকান্ড।যা আমাদেরকে জাতি হিসেবে অতি জঘণ্য পর্যায়ের নিচে নামিয়ে আনছে।

এর থেকে পরিত্রানের পথ হইতেছে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে সকলকে।এই যুদ্ধটা আমাদের সকলের।যেমন এই দেশটা ।

ধন্যবাদ,নি.কথন।

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:২০

কলাবাগান১ বলেছেন: এ পর্যন্ত্য ৬ জনকে হত্যা করেছে এরা ....আর ব্লগে কিছউ জামাতি দের রক্ত মাখা ছবি দিয়ে সহানুভুতির চেস্টা করছেন কিছু চিন্হিত ব্লগার। কিন্তু হত্যা হওয়া লোকজন দের নিয়ে কোন কথা নাই
বেচারা ড: কামাল...ভোট শেষ হলেই এদের চেহারা চিনতে পারবেন...এরা আপনার মুখে স্বাধীনতা আর বংগবন্ন্ধু এর নাম শুনার জন্য না...প্রয়োজনে আপনার সাথে আছে..তাদের নিজেদের মাঝেও কোন সামন্জস্য নাই...মওদুদ আর বুলু সাহেব দের কথা তেই সেটা বুঝা যায়...

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:২৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: নির্গাত এটা মানুষের অধিকার হরণ।

এরা এতো সাহস পেল কোথায়?
জনগণের রক্ত খেয়ে বড় হয়ে আজ জনগণের বিরুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে।

৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৩৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: দোষীব্যক্তিকে আটক করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক |

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.