নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
হুজুর ফতোয়া দিয়ে বলেছেন, মেয়েদেরকে স্কুল-কলেজে পাঠানো যাবে না। পরক্ষণেই আরেকটু দয়া দেখিয়ে তিনি বলেছেন, যদি দিতেই হয়, তবে বড়জোর ফোর-ফাইভ পর্যন্ত পড়ানো যেতে পারে। শুধু বলেই ক্ষান্ত হননি তিনি, বরং জুম্মা নামাজ শেষে ১৫ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীকে তিনি এই কথার ওয়াদা করিয়ে তবে ছেড়েছেন! (সূত্রঃ সমকাল)
.
এখন, এই ১৫ হাজার লোকের প্রত্যেকের যদি একটি করেও মেয়ে থাকে আর তারা যদি ওয়াদা পালন করেন অক্ষরে অক্ষরে, তবে এদেশে রোহিঙ্গাদের মতো আরও ১৫ হাজার অশিক্ষিত মা তৈরি হবে, যাদের কাজ হবে শুধু ঘরের চার দেয়ালের ভেতর থেকে একের পর এক সন্তান জন্ম দেওয়া, তারপর তাদেরকে আধুনিক সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে না পেরে অনেকটা নির্বোধ বানিয়ে গড়ে তোলা। এমনিতেই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পেট থেকে এই বছরেই শুধু ৫০ হাজার সন্তান আসছে বলে জানা গেছে। তারা শুধু পরের দেওয়া ভিক্ষারটা খাওয়া ঘুমানো আর সন্তান জন্ম দেওয়া ছাড়া আর কিছু করে কিনা জানা নেই। জন্মনিরোধী পিল দিলেও নাকি তারা সেটা ছুড়ে ফেলে দেয়! কী চমৎকার, আমরাও মনে হয় ওদের মতো অকর্মণ্য হয়েই বেড়ে উঠতে দেখতে যাচ্ছি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে!
.
আজকালকার মেয়েদেরকে জানতে টিভি দেখতে বলে মুরুব্বি আরও বলেছেন, ক্লাস ফোর-ফাইভের বেশি পড়াইলে নাকি মেয়ে আর তার বাপের থাকবে না, 'টানাটানি করে অন্য পুরুষ তাকে নিয়ে চলে যাবে'! কথাটা শুনেই কেমন গা জ্বলে উঠলো। ভদ্র সমাজে ভেগে যাওয়া বলতে বুঝি, এক পুরুষ (স্বামী) কে ছেড়ে অন্য পুরুষের সাথে ভেগে যাওয়া। কিন্তু বাবার থেকে আবার 'অন্য পুরুষ' নিয়ে যায় কীভাবে?
.
এই মুরুব্বির লোকজন যখন ঢাকা দখল করতে এসে শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়েছিলো, আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তখন কড়া ভাষায় তাদের সমুচিত জবাব দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বিনয় আর ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাবা ঠিক না। তিনি তাদেরকে পালটা আল্টিমেটাম দিয়ে দৃঢ় কণ্ঠে বলেছিলেন, সময় থাকতে ফিরে না গেলে আগামীতে ঘর থেকেই বের হতে দেওয়া হবে না। কী দারুণ নিপাট ভদ্রলোকটি দেশের প্রয়োজনে কী ভীষণ হুংকারটিই না দিতে পেরেছিলেন!
.
আজ সৈয়দ আশরাফ নেই। তাঁর মতো একজনকে খুব মিস করি, যিনি কড়া ভাষায় তাকে জবাব দিতে পারবেন, যিনি দেশকে আবার সেই বেগম রোকেয়ার 'অবরোধবাসিনী'র যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। যে দেশে একজন মহিলা রেকর্ড চতুর্থবার দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর মানুষ হয়েছেন স্বীয় যোগ্যতায়, যে দেশের স্পীকার একজন মহিলা, সে দেশে কী স্বাভাবিকভাবেই না এখানে এসব কথা বলেও পাড় পেয়ে যাওয়া যায়! হিসেবটা মনে হয় খুব জটিল। তাদেরকেই আজকাল বেশি দরকার মনে হয় আমাদের!
.
হুজুর, জাতির কাছে আপনার ক্ষমা চাওয়া উচিত।
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
এইটা আমার মনে হয় শফি হুজুর বলে নাই । যদিও তার নামে এইটা এসেছে । তবে এই ধরনের কথা বার্তায় মুর্খতাই প্রকাশ পায় । কেন জানি মনে হচ্ছে একটা খবরের দরকার ছিল । তাই এটা করা হয়েছে ।
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: শফি হুজুর নির্বোধ লোক। তিনি দেশকে পিছিয়ে দিতে চান।
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১
বাংলার মেলা বলেছেন: শফি হুজুর যে এই কথা বলেছেন, তার প্রমাণ কি? ভিডিও আছে? যদি বলেই থাকেন, তাহলে তা বিশ্বাস করতে হবে কেন? তিনি মুরুব্বী বলে? তার চেয়ে রাসূল (স) অনেক বেশি মুরুব্বী। রাসূল (স) প্রত্যেক নর-নারীর জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যা অর্জন করা ফরজ করেছেন, কেবল টাকা পয়সার হিসাব রাখার বিদ্যায় সীমিত থাকতে বলেননি।
আপনি কি এখন শফি হুজুরের কথা মানবেন, নাকি রাসূল (স) এর কথা মেনে চলবেন?
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনারা শফি সাহেবকে এত গুরুত্ব দিচ্ছেন কেন বুঝি না। শপথের বিষয়ে চিন্তার কিছু নেই, বাঙালীরা যদি শপথ পালন করতো দেশটা এরকম থাকতো না।
প্রতি মন্তব্য করার অভ্যাসটা গড়ুন।
বাংলার মেলার মন্তব্যে সহমত।
৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪
জাহিদ হাসান বলেছেন: এই ধরনের কথা বলার কারণে তাকে এইভাবে প্রচ্চুর মারতে হবে।
৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৬
সোহানী বলেছেন: একটা বদ্ধ উম্মাদ কি বললো তা নিয়ে মাথাব্যাথার কোন কারন দেখি না। পাগলএর মাথায় বায়ু চড়লে প্রায় উল্টাপাল্টা কথা বলে সেটা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে আমরা তাকে বেশীই গুড়ুত্ব দিয়ে ফেলছি...........।
৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন:
তেঁতুলের চাটনি।
৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪১
...নিপুণ কথন... বলেছেন: মোবাইল থেকে এই ব্লগে কারো মন্তব্যের রিপ্লাই দেওয়া যায় না। দিলে সেটা পোস্ট না হয়ে প্রথম পাতায় চলে যায়। তাই রিপ্লাই দিতে পারি না। সামু এর সমাধান করবে কবে?
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪০
কানিজ রিনা বলেছেন: শিক্ষিত মা শিক্ষিত জাতি, প্রায়ই মৌলানারা
বলে থাকেন। এখন তেঁতুই হুজুর বানী
দিয়েছিলেন মেয়ে মানুষ এমন যে দেখলে
জিহ্বায় জল আসে, এবার বুঝুন সে
কেন এমন বানী ছারলেন। এ সকার এখন
তেঁতুই হুজুরের তাবেদারী। হুজুর যাহা
বলিবেন তাহাই আল্লাহর বানী বলে ধরে
নিতে হবে হা হা হা। ধন্ঢ়বাদ।