নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামান্য কিছু তাবু, বেলুন বা ফোম পেতে দেওয়া গেলো না কেন?

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:১৬

ফায়ার সার্ভিসের ২২টির উপরে ইউনিট একসাথে কাজ করেও, নৌ-সেনা-বিমানবাহিনী একসাথে কাজ করেও, বনানীর মতো দেশের অভিজাত একটি এলাকায় প্রশস্ত রাস্তা আর উন্নত সুযোগ সুবিধা থাকা স্বত্বেও একটি বহুতল ভবনের আগুন নেভাতে আমাদের ৭+ঘন্টা লেগে যায়! এখনও পর্যন্ত মৃত ২৫ জন।

আর আমরা আছি কান্নারত মেয়েটাকে পিঠে নিয়ে যাওয়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীর চোখে জল দেখে তাঁকে বাহবা দেওয়া নিয়ে, আর আছি উৎস্যুক জনতার ভিড় দেখে তাদেরকে গালি দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত! (সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসে কিন্তু এই মানুষগুলোই এগিয়ে এসে অনেকের জীবন বাঁচিয়েছিলো। এদেরকে কেন সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় না?)

অথচ কেউ বলি না, এমন অভিজাত জায়গাতেও কেন ভবনের পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নেই?

হেলিকপ্টারে করে পানি এনে ঢালতে যে খরচ হয় আর যতটুকু কাজ হয়, তা দিয়ে অগ্নি নির্বাপনের কয়টা লাল সিলিন্ডার কেনা যায়?

কেন প্রতিটি ভবনের বাইরের দিকে জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি থাকে না?

একটা ক্রেন দিয়ে একসাথে কয়জন মানুষকে নিচে নামানো যায়? একটা হেলিকপ্টার থেকে দড়ি ফেলে কয়জনকে একসাথে উদ্ধার করা যায়? সেই সময়ে যদি হেলানো অবস্থায় কয়েকটা বড় তাবু উপরে থেকে ফেলে তাতে করে আটকে পড়াদের নিচে নামানো যায় দ্রুত, অথবা যদি নিচে গোটা রাস্তাজুড়ে ফোমের কার্পেট পেতে দেওয়া যায়, যাতে লাফিয়ে পড়লে কেউ আহত হবে না, এমন ব্যবস্থা কি অবাস্তব?

আর একজন আহত মানুষকে বহন করতে দেখলাম ৮-১০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী ছুটছেন! স্ট্রেচারে করে বহন করতে তো ৪ জনের বেশি লাগার কথা না। এই সময়ে উপস্থিত দর্শনার্থীদের সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে ভেতরে আটকে পড়াদেরকে কি আরও দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হতো না?

আমার লিস্টে একজন অস্ট্রেলিয়া নিবাসী বাংলাদেশী লিখেছেন, তার রান্নাঘরেও অগ্নিনির্বাপন সিলিন্ডার আছে এবং সেটার গায়ে মেয়াদ লেখা আছে। মেয়াদ শেষে নিজ গরজে এসে পালটে দিয়ে যায়। যদি কেউ ভুল করেও রান্নাঘরে সিগারেট খাওয়ার জন্যও আগুন ধরায়, তাহলেও সেই যন্ত্রের মাধ্যমে আগুন ধরার খবর চলে যায় ফায়ার সার্ভিসের কাছে, ছুটে আসে দমকল বাহিনী!

এসব বাস্তবায়ন করা কি খুব কঠিন? মোটেও না। প্রতিটি ভবনে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক করা হোক। ধোঁয়া হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উপর থেকে পানি পড়তে থাকবে, এমন ব্যবস্থা রাখতে না পারলেও যেন মেয়াদসহ সিলিন্ডার থাকে। ট্রেনিং দেওয়া হোক ভবনের বাসিন্দাদেরকে, কীভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হয় বা কীভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হয় শেখানো হোক। পাশাপাশি সব নাগরিকের জন্য ফায়ার ফাইটারদের ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করা হোক। তাহলে এই বিপুল উৎস্যুক জনতাকে উদ্ধারকর্মে দ্রুত ও কার্যকরভাবে কাজে লাগিয়ে হতাহতের পরিমাণ কমিয়ে আনা যাবে।

আর দুদিন পরপর এভাবে আগুন কেন লাগছে সেটাও ক্ষতিয়ে দেখা জরুরি। কেউ কি ইচ্ছা করে সরকারকে চাপে ফেলতে আগুন লাগাচ্ছে? নাকি বিদ্যুতের কেবলগুলো নিম্নমানের? সর্বোপরি, এত ঘনঘন আগুন লাগাটা স্বাভাবিক কিছু বলে মনে হচ্ছে না। সুতরাং সতর্কতা আবশ্যক।


মহান করুণাময় আমাদের সবাইকে নিরাপদে রাখুন।

লেখাঃ দেব দুলাল গুহ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৪৬

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আপনার সাথে একমত।


আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৪৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমীন।
আমাদের দেশেও যে কবে অস্ট্রেলিয়ার মত সিস্টেম চালু হবে একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহর উপর ভরসা রেখে চলেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.