নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

অথচ এখন নাকি ইলিশের ভরা মৌসুম!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৭

২৮ আগস্ট সকালের ঘটনা। খুব শখ হয়েছিলো ইলিশ মাছ খাওয়ার। এখন নাকি ভরা মৌসুম! আমি আবার মানুষকে বিশ্বাস করতে ভালোবাসি। বিশ্বাস করে ঠকলেও আবার বিশ্বাস করি। না করে উপায়ও নাই। পরিচিত বিশ্বস্ত লোককে আগেই বলে রেখেছিলাম। তিনি ফোন করে বাজারে যেতে বললেন যখন, তখন আমি কাজে ব্যস্ত। যেতে দেরী হয়ে গেলো। কিন্তু গিয়েই আমি ঠকলাম!
.
যখন গেলাম, তখন প্রায় ১১টা। বিশ্বস্ত লোকটি আমার শ্রদ্ধেয়, বয়োবৃদ্ধ, ঈমানদার; ফরিদপুরের একটা আড়তের হিসাব দেখেন। আড়তদার যখন একটু দূরে, তিনি জানালেন ভালো মাছ সব বিক্রি হয়ে গেছে, আগামী দিন যেন যাই। কিন্তু আমি কাজ রেখে এতোদূর যখন এসেছি, নিয়ে যেতে চাইলে আড়তদার এসে এক ভাগ দেখিয়ে বললো, এই ভাগ ভালো, যাকে দেওয়ার ছিলো তার কাছে বিক্রি করবে না, আমাকে দিতে চাইলো। আমার পরিচয় ওখানে আর কেউ জানে না। আমি দেখতেও শান্ত-ভদ্র, যেন কলেজে পড়ি। পরিচিত লোকটি আর তার মহাজনের সামনে কিছু বললেন না।
.
যাহোক, ৫ কেজি ইলিশ মাছ কিনলাম। জীবনে এতো মাছ কোনোদিন কিনি নাই। বাবা থাকতে বাজার করতে দেয়নি কোনোদিন। এখন ঠেকায় পড়ে করতে হয়। কিন্তু মাছ সাধারণত কিনি না। পরিচিত লোক থাকায় বিশ্বাস করে কিনে নিয়ে গেলাম মাছ। বারবার বললামও, 'ভালো না হলে দিয়েন না'।
.
বাড়িতে এসে মাকে মাছগুলো দিলাম। অসুস্থ মা উঠে এসে মাছ কুটতে বসলো। তিনিও সরল বিশ্বাসে মাছগুলো ফ্রিজে ঢুকানোর জন্য আমাকে দিয়ে একটা মাছ কাটতে বসলেন। ফ্রিজে ঢুকাতে গিয়ে দেখি মাছ প্রায় সবগুলোই নরম। মাছের ব্যাপারে আমার অভিজ্ঞতা কম বিধায় মাকে ডেকে দেখালাম। মা বললো, যেটা কাটা হচ্ছে সেটাও নাকি নরম! আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, 'পরিচিত জায়গাটা থেকে আনিস নি?'
.
ফোন দিলাম সেই বিশ্বস্তজনকে। বললাম মাছের অবস্থার কথা। তিনি বললেন, আমিতো আগেই বলেছিলাম আজ আর ভালো মাছ নাই! বুঝলাম পরে মহাজনের সামনে আর কিছু বলতে পারেননি। যেহেতু মহাজন আমাকে চেনে না, তাই গছিয়ে দিয়েছে। 'দোকানি তো গছিয়ে দিবেই'! যাহোক, এখন করণীয় কী জানতে চাইলে তিনি আলাপ করে বললেন, কাটা মাছটা বাদ দিয়ে যেন বাকিগুলো নিয়ে আবার বাজারে যাই।
.
আবার সেই তপ্ত রোদের ভেতর কাজ ফেলে বাজারে গেলাম। ফরিদপুর হাজী শরীয়তুল্লাহ মাছের বাজার। যেখানে ঢুকলেই আমার খুব শ্বাসকষ্ট হয়। গিয়ে বললাম, বারবার নিষেধ করা স্বত্বেও পঁচা মাছ কেন দিলেন? আমি যদি এখন ডিসি অফিসে যাই এই মাছগুলো নিয়ে? আড়তদার হয়তো এতোক্ষণে আমার পরিচয় জেনেছেন। তিনি আর কথা না বাড়িয়ে সবগুলো মাছ রেখে টাকা ফেরত দিয়ে দিলেন। কিন্তু আমি যে ঠকলাম, তপ্ত রোদে বারবার আসা-যাওয়া করলাম, রিক্সাভাড়া লাগলো-- এই হয়রানির তো বিচার পেলাম না।
.
আমি নাহয় অভিযোগ দিতে পারতাম, কিন্তু আমাকে অভিযোগ দিতে হবে কেন? যাদের দেখার কথা তাঁরা কি দেখেন? আর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে অভিযোগ দিলে প্রমাণ করতাম কীভাবে যে এই দোকান থেকেই নিয়েছি? কোনো রসিদ তো দেয় না! বিশ্বস্ত লোকটার হয়তো চাকরি চলে যাবে, তাই কোনো লিখিত অভিযোগ দেইনি। কিন্তু সাধারণ আর দশটা মানুষকেও যদি এভাবে ঠকায়, তারা কার কাছে যাবে? ইলিশের ভরা মৌসুমেও কেন ইলিশের দাম এতো বেশি? এর জবাব কে দেবে?
.
যাহোক, আমাদের মনে হয় এবার ইলিশ মাছ কিনে খাওয়া হবে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মাছ ব্যবসায়ীরা দিন দিন অমানুষ হয়ে যাচ্ছে। আমি গত কিছুদিন সরল মনে বিশ্বাস করে কয়েকবার ঘরে গিয়ে দেখি নরম মাছ ঢুকিয়ে দিয়েছে...

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ গুলো বদমাশ।
এরা মনে করে কাউকে ঠকাতে পারলেই, নিজে নিতে গেলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.