নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি, জিডি করতে থানায় গিয়ে ওসির হাতে লাঞ্চিত বিসিএস ক্যাডার!

১৮ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৫৯

#মাননীয়_প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটূক্তি ও আমার ঘর ভাঙার ঘটনা উল্লেখ করে জিডি করতে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আগে থেকেই আমার ওপর ব্যাক্তিস্বার্থে আঘাত লাগার কারণে ক্ষিপ্ত একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি সদলবলে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে আমার ধারণা। সুযোগ থাকলে আমাকে ক্রসফায়ারেই দেওয়া হতো। একজন বিসিএস ক্যাডার অফিসার হওয়া স্বত্ত্বেও আমাকে থানার হাজতে ঢুকানোর চেষ্টাও হয়েছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওসিসহ জড়িত সকলের আইনানুগ শাস্তি চাই। অনেকের আগ্রহের কারণে সংক্ষেপে বিস্তারিত না বলে পারছি না।
.
গত ১৪/০৫/২০২০ তারিখ বিকেল ৩:৩৯ মিনিটে বৃষ্টির মধ্যে এলাকার অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি মহলের ইন্ধনে আমার প্রতিবেশীদের একটি অংশ আমার ঘর ভাঙায় অংশ নেয় এবং বাধা দিলে মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। প্রতিবেশীদের নিয়ে কয়েকটি পোস্ট সাম্প্রতিক সময়ে আপনারা দেখেছেন। করোনাকালে সামাজিক দূরত্ব না মেনে আমার বাড়ির সামনে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করছিলাম আমি (আরও বিস্তারিত ছবিতে)। বিষয়টি আগেই লিখিত জানিয়ে এমনকি বারবার ফোনে ডিসি স্যার, এসপি স্যার, এডিএম স্যার, ওসি সাহেবকে বলেও নির্মাণকাজ বন্ধ করতে না পারলে ১৫/৫/২০২০ তারিখে সার্কেল অতিঃ পুলিশ সুপার স্যারের পরামর্শে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেশ করি। কিন্তু তবুও নির্মাণকাজ বন্ধ নাহলে এবং থানা থেকে কেউ তদন্তে না আসলে প্রাণনাশের আশংকায় বাধ্য হয়ে যোগাযোগ করে অনেক কষ্টে এসপি স্যারের সাথে দেখা করার সুযোগ পাই গতকাল ১৬/৫/২০২০ তারিখে ।
.
কিন্তু ঐদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখি শ্রীঅঙ্গনের গেট খোলা এবং বহুদিন পর প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরকে প্রণাম করার ইচ্ছায় ভেতরে প্রবেশ করে এডিএম দীপক স্যারের দেখা পাই। শ্রীঅঙ্গনে নিরীহ সাধু বন্ধুসেবক ব্রহ্মচারীর মৃত্যুর পর জনতার বিক্ষোভের মুখে দীর্ঘদিনের বিতর্কিত কমিটি ভেঙে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয় যাতে এডিএম দীপক স্যারকে বরিশাল থেকে এনে আহবায়ক করা হয়, বন্ধুসেবকের লাশ গুম করার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয় আমার লাইভে এসে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে প্রতিবাদের কারণে। এই কারণে ফরিদপুরের হিন্দু প্রভাবশালী গোষ্ঠী আমার উপর ক্ষিপ্ত। যাহোক, তখন জানতে পারি নাটমন্দিরের পাশ থেকে একাত্তরের পাকসেনাদের হামলায় নিহত ৮ সাধুর সমাধি সরিয়ে গোয়ালঘরের পাশে সমাধি করার জায়গা ঠিক করতেই এডিএম স্যার এসেছেন, আসবেন ডিসি স্যারও। তাঁকে জানাই নিয়ম ভেঙে শ্রীঅঙ্গনের জায়গায় শক্ত ফাউন্ডেশন করে দোতলা করছেন আমার বিত্তবান প্রতিবেশী পলাশ সাহা। কিন্তু তিনি কিছু করার নেই এবং তিনি সাধুদের হেল্প করেন শুধু- একথা জানিয়ে দেন। এরপর ডিসি স্যার এলে তাকেও অভিযোগের কপি দেখালে তিনি তা এডিএম স্যারকে দিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। তবুও নির্মাণ বন্ধ হয়নি। ডিসি স্যার সকলের সামনেই সারাজীবন ফরিদপুরে থাকবেন না জানিয়ে এডিএম স্যারকে শ্রীঅঙ্গনের বিষয়ে অর্পিত দায়িত্বগুলো দ্রুত পালনের তাগিদ দেন। এসপি স্যার সেখানে আসার পর তাঁকে অভিযোগটি দেখালে তিনি জানান, যেহেতু এটা শ্রীঅঙ্গনের জায়গা তাই তিনি সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না, যদি এডিএম স্যার ১৪৪ জারি করেন নির্মাণের উপর, তাহলে পারবেন। একথা দীপক স্যারকে জানালে তিনি জানান কোর্ট বন্ধ । অথচ তাঁকে ও ডিসি স্যারকে জানুয়ারিতেই লিখিত আবেদনের মাধ্যমে লকডাউনের অনেক আগে থেকেই আমি ট্রেনিং শেষ করে ঢাকা থেকে ফেরার আগে আমার বাড়ির নির্মাণ বন্ধ রাখতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম।
.
যেহেতু কোনো প্রতিকার পাওয়া গেলো না, আমি একটু পর গেলাম সার্কেল অতিঃ পুলিশ সুপার স্যারের অফিসে। তাঁকে না পেয়ে ফোন দিয়ে দেখা করতে চাইলে তিনি জানালেন ৩টার আগে ফিরবেন না। যেখানে আছেন সেখানেই গিয়ে দেখা করতে চাইলে বললেন, 'এখন আপনি আমাকে পাবেন না'। এরপর গেলাম এসপি স্যারের অফিসে। স্যার বললেন, জিডির একটা ফরম্যাট আছে, একসাথে কয়েকদিনের অভিযোগ লেখা যায় না। আমি বললাম লকডাউনের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারিনি, নিতান্তই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় সব কয়টা একসাথে করে এনেছি। তিনি সামাজিকভাবে সমাধান খোঁজার পরামর্শ দেন। সেটা এখানে প্রায় অসম্ভব বলি আমি, তারপর তিনি সামনেই ওসি সাহেবকে দেখিয়ে রাত ৯তায় থানায় গিয়ে তাঁর কাছে শুধু ১৪ তারিখের ঘটনা উল্লেখ করে জিডির কপি নিয়ে দেখা করে আমার বিষয়টিকে জটিল বলে উল্লেখ করে সেটি নবাগত ওসির কাছে খুলে বলতে বলেন। স্যারকে আদাব জানিয়ে আমি বাসায় চলে আসি। কিন্তু বিকেলে স্যারকে ম্যাসেজে জানাই যে লকডাউনের মধ্যে রাত ৯টায় বাইরে যাওয়া আমার জন্য রিস্কি, যেহেতু রাস্তাঘাট খালি থাকবে এবং প্রতিবেশীরাই শত্রু। কোনো রিপ্লাই পাইনা। রাত ৮টায় ওসি সাহেবকেও একই শংকার কথা জানাই, সরেজমিনে দেখে আমাকে নিয়ে যেতে পুলিশ পাঠানোর অনুরোধ জানাই। সাড়া পাই না। অনেক কষ্টে মাকে রাজি করিয়ে বের হয়ে রিক্সা পেতে দেরী হলে ৯:১৫ টার দিকে থানায় যাই।
.
থানা ভবনের সামনে থার্মাল স্ক্যানার হাতে দাঁড়ানো পুলিশ আমাকে বাধা দিলে এসপি স্যারের নির্দেশে এসেছি বলে জানাই। তবুও 'ওসি সাহেব বাইরে চলে যাবেন' বলে তিনি আমাকে যেতে দিচ্ছিলেন না। আমি তবুও দেখা করে কথা বলতে চাইলে তিনি তাপমাত্রা চেক করে যেতে দেন। ওসি সাহেবকে স্বভাবসুলভ বিনয়ে আদাব জানিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে তিনি জানান, এখন তিনি সময় দিতে পারবেন না, কাল আসতে বলেন। কিন্তু আমি জানাই এই করোনা মহামারির লকডাউনে বারবার আসা আমার পক্ষে সম্ভব না, দরকার হলে অপেক্ষা করি। তিনি আমাকে তাঁর ফাঁকা এসি রুমে বসতে না দিয়ে পাশে সেকেন্ড অফিসার বেলাল ভাইয়ের রুমে বসতে বলেন। আমি সেখানে একা টানা দেড় ঘন্টা বসে অপেক্ষা শেষে অনেক রাত হয়ে যাচ্ছে বলে ওসির রুমে বেলাল ভাইয়ের কাছে যাই এবং ওসি সাহেবের দেরী হবে কিনা জানতে চাই। তিনি জানান তিনি কখন আসেন ঠিক নাই। জানতে পারি তিনি ফোর্স নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে গেছেন এবং বদরপুর এমপি মহোদয়ের বাড়ি হয়ে আসতে দেরী হবে। জিডির কপি দিলে তিনি জিডি এন্ট্রি না করে পরে কারো সাথে কপি পাঠাবেন বলেন। আমি তখন এসপি স্যারকে ফোন দিলে স্যার অপেক্ষা করতে বলেন।
.
সাথে সাথেই ওসি রুমে ঢুকেন। আমাকে দেখেই বলেন, 'এখনও বসে আছেন?' আমি বলি, আমিতো বললামই অপেক্ষা করবো। এরপর তিনি ভলিউম বাড়িয়ে টিভি দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আমি একটু অপমানিত বোধ করে জানাই, এসপি স্যারের নির্দেশে এত রাতে অসুস্থ মাকে একা রেখে একা জীবনের শংকা নিয়ে এসেছি আপনাকে সব খুলে বলতে, অথচ আপনি আমার কথায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এরপর তিনি ক্ষেপে গিয়ে আমাকে তুই-তুকারি শুরু করেন এবং আমাকে এমপি থেকে সুবল সাহা , সুকেশ সাহা, তৃষ্ণা সাহাসহ কেউ দেখতে পারেন না বলে আমার কথা শুনতে অনীহা প্রকাশ করেন। আমি যাওয়ার আগে জিডিটা হাতে দিয়ে এন্ট্রি করে দিতে অনুরোধ করলে তিনি পাশে বসা বেলাল ভাইকে দিয়ে বলেন, 'দেখেন তো এটা জিডি হয় কিনা?' বেলাল ভাই তাঁর পাশে আগে থেকেই বসা অপরিচিত সিভিল ড্রেসের লম্বা একজনকে সেটা দেখান। তিনি সবটা পড়ে কোনো বড় নেতার নাম না পেয়ে মাথা নেড়ে সম্মতি দেন এবং আমি বুঝতে পারি এবারও হয়তো কোনো প্রতিকার পাবো না, শুধু এন্ট্রিই সাড়। তখন ওসি আমার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে বেলাল ভাইয়ের হাতে দিয়ে বলেন, দেখেন তো ও রেকর্ডার অন রেখেছে কিনা! আমাকে প্যাটার্ন লক খুলতে বাধ্য করা হয়। বেলাল ভাই যথারীতি সেটা পাশের অপরিচিতজনের কাছে পাস করলে তিনি অনেক ঘেঁটে রেকর্ডার অফ দেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিলিট করে মোবাইলটা ফেরত দেয়। আমি তখন এভাবে ওয়ারেন্ট ছাড়া মোবাইল কেড়ে নেওয়া যায় কিনা জানতে চাইলে ওসি উত্তেজিত হয়ে তার থানায় তিনি যাচ্ছেতাই করতে পারেন, আমার অনুমতি লাগবে নাকি বলে গালাগাল দেন আমাকে।
.
জিডির রিসিভড কপি আনার ফাঁকে আমি এত রাতে একা বাড়ি ফেরার পথে নিরাপত্তার শঙ্কার কথা জানালে তিনি এক অপরিচিত ছেলেকে তার বাইকে দিয়ে আসতে বলেন। ঐ ছেলের বাইক আটকে রাখা হয়েছিলো এবং তার বাড়ির পথে যেতে আমার বাড়ি পড়ে। কিন্তু তাকে আমি চিনি না বলে এবং বিপদ হলে সে আমাকে ফেলে চলে যাবে বলে এবং সেও এতো রাতে বাইকে তুলে বিপদে নিয়ে ফেলতে পারে শংকা করে পুলিশ চাই সাথে একজন। তখন ওসি ক্ষেপে গিয়ে অস্বীকৃতি জানান, তুই এমন কি হয়ে গেছিস যে তোকে পুলিশ আর বডিগার্ড দিতে হবে? আমি বলি, একজন ক্যাডার অফিসার হিসেবে দাবি করছি, সাধারণ নাগরিক হিসেবেও শংকাবোধ করলে চাওয়াটা আমার অন্যায় নয়। এরপর তিনি ক্যাডার আর নন-ক্যাডারের ভেদ টেনেছি এমন দাবি করে 'ক্যাডার ভাব চুদাস?' বলেই আমাকে মারতে তেড়ে আসেন। বেলাল ভাই তাকে নিবৃত্ত করলেও আমি জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি এবং 'আমার সম্পর্কে আপনাকে ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছে' বলেছি দেখে তিনি আবার তেড়ে এসে আমাকে কলার ধরে মারতে শুধু করেন। মারতে মারতে আমাকে ওসি তার রুমের বাইরে বের করেন এবং পিছে থাকা আরও ৪-৫ জন আমাকে মারতে মারতে টেনে-হিচড়ে থানার গারদে পুড়তে গেলে আমি প্রতিবাদ জানিয়ে বলি, 'একজন সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করতে সরকারের লিখিত অনুমতি লাগে, এভাবে আমাকে অ্যারেস্ট করতে পারেন না আপনারা'। এরপর কেউ একজন সিভিল ড্রেসের এসে আমাকে পুলিশের হাত থেকে নিয়ে ডিউটি অফিসারের রুমে বসতে বলেন।
.
আমি সেখানে বসে থাকি প্রায় ১০-১৫ মিনিট এবং কেঁদে ফেলি। আগত পুলিশদেরকে আমার টাইমলাইনে কাল রাতেই ৯টার কিছু আগেও পুলিশের গুণকীর্তন করে দেওয়া পোস্ট দেখিয়ে বলি, 'মাঝে মাঝেই এভাবে আপনাদের ভালো কাজের প্রশংসা করি আমি। অথচ এ কী প্রতিদান দিলেন আপনারা? আমি কি কোনো অন্যায় করেছি?' পুলিশ সদস্যরা নিরব থাকেন।
.
একটু পর একজন পুলিশ এসে আমাকে বলেন, 'চলেন আপনাকে বাসায় দিয়ে আসি'। তার কোমড়ে পিস্তল দেখে আমি বলি, 'সিসি ক্যামেরার সামনেই যেভাবে মারলো, গেটের বাইরে গেলে যে আমাকে গুলি করে ক্রসফায়ার বলে চালিয়ে দিবেন না তার কি গ্যারান্টি?' এরপর সেকেন্ড অফিসার বেলাল ভাই আসেন। গোপালগঞ্জে আমার প্রাক্তন কর্মস্থল শেখ হাসিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের পাশে বাড়ি তাঁর। এসে দুই হাত জোড় করে ক্ষমা চান সবার পক্ষে এবং এই ঘটনা থানার বাইরে না নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু জীবনের ও চাকরির নিরাপত্তার স্বার্থে না জানিয়ে পারলাম না সবাইকে। পরে জাকির নামে সম্ভব এক এসআই এসে বলেন, 'বোয়ালমারির স্যার আপনি, ওখানে অনেকদিন চাকরি করেছি, আমার সাথে চলেন'। আমি বেশ কয়েকটা নাম্বারে কল করে কাউকেই ফোনে না পেয়ে সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে জাকির ভাইয়ের নেতৃত্বে টহল পুলিশের একটি দলের সাথে বের হই। তারাই আমাকে বাসায় পৌঁছে দেয় এবং জাকির ভাইকে আমি আমার ভাঙা ঘর এবং অসুস্থ মাকে দেখাই। ওসি সাহেব একবারও আমাকে সরি বলেননি। দেখতেও আসেননি একবার। ফোনও দেননি।
.
আমার সাথে এতো এতো অন্যায় হামলা হচ্ছে, স্থানীয় এমপি মহোদয়সহ ফরিদপুরের বড় নেতারা এসব না জেনে পারেন না। জানি না তাঁদের কী ক্ষতি আমি নিরীহ শিক্ষক করেছি। তবে আমাকে এতোক্ষণ বসিয়ে রাখার পর কোত্থেকে এসে ওসি সাহেবের এমন আচরণ কি সন্দেহজনক নয়? ক্যাডার-নন ক্যাডার ভেদই যদি করবো, তবে নন-ক্যাডার ওসির জন্য দেড় ঘন্টা বসেছিলাম কেন আমি? এই একই কথা বলে গত ০১/০৪/২০১৯ তারিখেও এলাকায় কাউন্সিলর তৃষ্ণা সাহা গঙয়ের হামলার পর এসআই গফফারের নেতৃত্বে আমাকে উত্তেজিত করে নিয়ে মারার চেষ্টা হয়েছে আরেক দফা থানায় নিয়ে। আরেকটা প্রশ্ন হলো, এসপি স্যার কেন রাত ৯টায় আমাকে থানায় যেতে বললেন তা আমার বোধগম্য হয়নি। হামলার পর ফোন দিলেও এসপি স্যার ফোন ধরেননি। এসএমএসে তাঁকে হামলার কথা জানিয়েছি। একইভাবে জানিয়েছি ডিসি স্যারসহ আরও কয়েকজনকে।
.
আজ সকালে আইজিপি স্যারকে ও কাল রাতে ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ স্যারকে বিষয়টা জানানোর পর আজ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের পুলিশ পরিচয়ে সিভিল ড্রেসে একজন এসে বিস্তারিত শুনেছেন ও বারির ভাঙা ঘর দেখে গেছেন। বিকেলে থানা থেকে পুলিশের একটি দল এসেছিলো, কিন্তু আমি খাচ্ছি দেখে তারা আর ভেতরে না ঢুকে বাইরে থেকেই এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে গেছেন। এই এলাকায় শান্তিপ্রিয়রা আমাদের জন্য কাঁদলেও প্রভাবশালীদের চাপে কেউ আমাদের পক্ষে কিছু বলবে না। তাছাড়া এই ওসির অধীনে সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব নয়। তাই এই জিডিরও ভবিষ্যত আমি বুঝতে পারছি। তবে ওই লোকটি যদি সত্যিই হেডকোয়ার্টারের লোক হয়ে থাকেন এবং সত্যিই যদি সঠিক তদন্ত হয়, যদি কাল রাত ১১ টা থেকে ১১:৩০ মিনিটের সিসি ফুটেজ থানা থেকে গায়েব না হয়ে থাকে, তাহলে আমি হয়তো সুবিচার পেলেও পেতে পারি। আবার এমনও হতে পারে, আমাকে উলটো দোষী সাব্যস্ত করা হতে পারে। আপাতত সবকিছুই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপর ভরসা করে ছেড়ে দিয়েছি। বাকিটা ঈশ্বরের ইচ্ছা। আর কত সহ্য করবো বলেন? এমনিতেও ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বেতন পাচ্ছি না।
.
(অসুস্থ শরীরের যতদূর মনে পরলো লিখলাম অনেক কষ্ট করে। মোটামুটি ঘটনাটা এমনই। সময়ে সময়ে আপডেট করা হতে পারে। সবাই দোয়া করবেন। পারলে শেয়ার করবেন।)

দেব দুলাল গুহর মূল পোস্ট এখানেঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10221326960301060&id=1159671498

আপডেট (০৭/০৪/২০২৩ খ্রিঃ)
উক্ত ঘটনায় পুলিশের কোনো বিচার হয়নি, তবে ঐ ওসির কিছুদিন পর অন্যত্র বদলি হয়েছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

২| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৩:৫৪

নতুন বলেছেন: আপনার গায়ে হাত দেওয়ার অধিকার ওসির নাই। এটার বিচারের জন্য যা যা করা দরকার সেটা করুন। যদি সি সি টিভি র সামনে হয়ে থাকে তবে তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব। আপনার পরিচিতি, মিডিয়া, কলেজের প্রভাব ব্যবহার করুন যেন বিষয়টা ধামাচাপা দিতে না পারে।

এই ওসির বিচার করতে পারলে আপনার প্রতিপক্ষও বুঝতে পারবে আপনার সাথে তারা কিছু করার আগে আবার ভাববে।

এই ওসির বিচারের ব্যবস্তা করুনা। বিষয়টা সকলের নজরে আনুন।

৩| ১৯ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ক্ষমতাবান ওসি । নিশ্চয় জোর আছে কোমরে।

৪| ১৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

সাইন বোর্ড বলেছেন: প্রত্যাশানুযায়ী অনেক কিছুই পাবেন না, দুঃখ করে লাভ নেই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.