নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেইলি রোড কাচ্চি ভাইতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, সর্বশেষ হতাহতের খবর এবং করণীয়

০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৭


১৪ ঘন্টা আগে ধারণ করা এই ভিডিও দেখে স্পষ্টত বুঝা যাচ্ছে বেইলি রোডের আগুনের সূত্রপাত ভবনটির নিচ তলার রেস্টুরেন্ট থেকেই, যা একদম সিঁড়ির কাছে। যেহেতু ভবনের প্রতিটি তলাতেই রেস্তোরাঁ ছিলো আর সেখানে বিশাল সাইজের রান্না করার গ্যাস সিলিন্ডার ছিলো, সেহেতু সেই অল্প আগুন মুহূর্তেই গোটা ভবনে বড় বড় বিস্ফোরণ আকারে ছড়িয়ে যায়। সিলিন্ডারগুলো সিঁড়িতেও রাখা ছিলো, লিফট দিয়েই মূলত আসা যাওয়া করে সবাই! ভবনে জরুরি নির্গমনের জন্য ফায়ার এক্সিট বা বাইরের দিকে সিঁড়ি ছিলো না। রান্না করার সিলিন্ডার থাকলেও মেয়াদী অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার ছিলো না। ফলে আগুন লাগলে তা নেভানো তো যায়-ইনি, উপরন্তু মানুষ নিচে নেমে আসার পথটাও বন্ধ ছিলো। সপ্তাহান্তে প্রিয়জনকে নিয়ে একটু ভালো খেতে গিয়ে কেউ পুড়ে গ্রিল চিকেন হয়েছে, আবার কেউ দূষিত বাতাসে দমবন্ধ হয়ে মরেছে। মৃতের সংখ্যা আমার মনে হয় ২০০+ হবে, আপাতত কমপক্ষে ৪৪ জন নিশ্চিত।

ভবনের দ্বিতীয় তলায় দেশের সেরাদের একটি কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ। সেখানে লিপ ইয়ার আর বৃহস্পতিবার উপলক্ষ্যে ২০% ছাড়ে বিরিয়ানি খাওয়া যাচ্ছিলো। সেই বিরিয়ানি খেতে সেখানে গিয়েছিলেন ৩০ জনের অধিক ছাত্রী নিয়ে মেয়েদের দেশসেরা কলেজ ভিকারুন্নেসার শিক্ষকরা। রাতেই জেনেছি এক শিক্ষিকা সেখানে তাঁর মেয়েসহ পুড়ে মরেছেন।

দেশসেরা কলেজ আমাদের নটর ডেম কলেজের এক ছোটভাই ছিলো নাহিয়ান নামে, যে খুব ভালো উপস্থাপনা-আবৃত্তি করতো। তুখোড় মেধাবি ছেলেটি দেশসেরা ভার্সিটি বুয়েটের সেরা বিভাগ EEE তে পড়ছিলো। বন্ধুদের কাছে হতাশা নিয়ে বলতো, 'এই দেশ থেকে বেরোতে হবে। না পারলে একদিন আগুনে পুড়ে অথবা সড়ক দুর্ঘটনায় মরতে হবে। তার মৃত্যু আগুনে পুড়েই হয়েছে।

সেখানে জানামতে বুয়েটের আরও এক শিক্ষার্থী ছিলেন, যিনি পুলিশের একজন অতি: ডিআইজির মেয়ে। ছোটবেলায় মাকে হারিয়ে দুই বোনের মধ্যে ছোট মেয়েটি বুয়েটে চান্স পাওয়ায় বাবার সে কী গর্ব! সেই মেয়েটিও পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারেনি।
এক ইতালি প্রবাসী ইতালি ফিরে যাওয়ার আগে তার পরিবারের ৪ জনকে নিয়ে কাচ্চি খেতে গিয়েছিলেন কাচ্চি ভাইতে। ৫ জনই পুড়ে ছাই হয়েছেন সেখানে গতকাল!

প্রতিটা জীবনই মূল্যবান। আটকে পড়া হোটেলের কর্মীদের জীবনও মূল্যবান। তবে মেধাবি ও গুরুত্বপূর্ণ পরিবারের মানুষ মারা যাওয়ায় অনেকের ধারণা এবার বুঝি প্রশাসনের টনক নড়বে। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও কিছুদিন অভিযান চলবে, কিছুদিন সারোয়ার আলমের মতো ম্যাজিস্ট্রেটদের দেখা যাবে খুব জরিমানা করতে, সিলগালা করতে। তারপর আবার যা তাই, হয়তো সরোয়ার আলমরাও একদিন চুপসে যাবেন!

তারপর আবারও একদিন আগুনে পুড়ে মরবে মানুষ। ৪৪ কেন, ৪৪০ জন মরলেই কী? এই দেশে মানুষের অভাব নাই। 'দ্য টাওয়ারিং ইনফারনো' কিংবা 'ট্রায়াল বাই ফায়ার' দেখেও আমরা কিছু শিখি না। শিখলেও আমাদের এখানে শুধু হাহাকার করা আর লেখা ছাড়া করার কিছু নাই। আর যাদের করার আছে, তাদের এসব দেখার ও ভাবার সময় নাই। তবুও যেখানেই দেখবেন কোনো ভবনে অগ্নিনির্বাপক নেই, জরুরি নির্গমন পথ নেই, তখনই ৯৯৯-এ কল করে জানাবেন। নিজেদেরকেই লড়াই করে বাঁচতে হবে এই মরার দেশে! -- দেব দুলাল গুহ

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৪৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


শোক প্রকাশ করলাম।
বেইলী রোডের আগুন নিয়ে আপনি দেখছি চিন্তিত, কিভাবে মানুষকে সচেতন বানানো যায়।

২| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এত বড় একটা রেস্তোরাঁ অথচ সেফটি নিয়ে কনসার্ন নেই এদের :(। ফায়ার এক্সিট নেই, নিচে নামার রাস্তা বন্ধ :(

৩| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮

Snowflake বলেছেন: জীবন্ত আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া , বাঁচার জন্য করূন আকুতি এইসব নির্মম দৃশ্য কখনোই কাম্য নয়। কয়েক বছরের মধ্যে আমরা কয়েকবার এই অগ্নিকাণ্ডের সম্মুখীন হলাম। তারপরও কোন পদক্ষেপ নেই।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ঢাকা শহরের হোটেল-রেস্তোরায় খাওয়ার ব্যাপারে আমার বেশ অনীহা কাজ করে। বিষয়টি যতটা না নিরাপত্তা জনিত কারনে তার চেয়ে বেশী তাদের খাবারের মান নিয়ে। মানুষ খেতে যায় বলেই রাস্তা-ঘাটে, চিপা-চাপায়, নোংরা-ময়লা পরিবেশে অনেক রেস্তোরা গড়ে উঠেছে এই অপরিকল্পিত শহরে। বাসা বাড়ির নিচে দোকান, হোটেল কিংবা বাণিজ্যিক ভবনে আবাসন ব্যবস্থা সবই সম্ভাব্য বিপদের রেসিপি। এগুলো নিয়ে এদেশের মানুষের কখনোই কোন মাথা ব্যাথা ছিলো না, আজও নেই। দু'দিন চেচামেচি করে সব আগের মত হয়ে যাবে। সমস্যা বাঙালীর লোভে, অজ্ঞানতায়, অসাবধানতায় আর নিয়ম না মানার রীতিতে। ধন্যবাদ।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৫

নিমো বলেছেন: ২০% ছাড়ে বিরিয়ানি খেতে গিয়ে, দুনিয়াই ছেড়ে দিতে হয়েছে। খারাপ না!

৬| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ নিমো , মৃতের নিয়েও বাজে রসিকতা করতে একটূ বাধে না আপনার !!!

যে সভ্য দেশে আমার বসবাস সেখানে ২০% ছাড় দূরে থাক ৭/৮ ডলারের ম্যডোনাল্ড সেট ৫ ডলারে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিলেও রেস্টূরেন্ট এর সামনে আধা মাইল লাইন পড়ে যায়।

৭| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০

নিমো বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: @ নিমো , মৃতের নিয়েও বাজে রসিকতা করতে একটূ বাধে না আপনার !!!
মাথা খাটান। বক্তব্য না বুঝলে, চুপ থাকুন।

ঢাবিয়ান বলেছেন:যে সভ্য দেশে আমার বসবাস সেখানে ২০% ছাড় দূরে থাক ৭/৮ ডলারের ম্যডোনাল্ড সেট ৫ ডলারে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিলেও রেস্টূরেন্ট এর সামনে আধা মাইল লাইন পড়ে যায়।
এটা থেকেতো বোঝা যায় আপনি আসলে কোন সভ্য দেশে থাকেন না। সেখানেও লোভ, অজ্ঞানতা, অসাবধানতা আর নিয়ম না মানার রীতিতে অভস্ত্য অসভ্যদের বসবাস।

৮| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



প্রতি ফ্লোরেই রেষ্টুরেন্ট ছিলো?

৯| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৩০

ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: এদেশের মানুষের জীবনের কোনো মূল্যই নাই। :((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.