নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
বন্ধু এসেছিলো বাসায়। জিজ্ঞেস করলাম, ইফতার কবে করাবি? বন্ধু বললো, 'শীঘ্রই তোকে দাওয়াত দেবো'। জিজ্ঞেস করলো মুরগির গোস্ত খাই কিনা। বললাম, তুই যেহেতু গোস্ত খাস না, আমিও খাব না; শুধু ছোলা-পেয়াজু-চপ আর মুড়ি দিয়ে ইফতার করবো তোর বাসায় একদিন। তাহলেই হবে। এক কেজি বেগুন কিনেছিলাম, মায়ের ইচ্ছায় ফেরার পথে বন্ধুকে সেটা দিয়ে দিলাম চপ বানিয়ে খাওয়ার জন্য। একটা বেগুন দিয়ে চপ আমরা এখানেও বানিয়ে খেলাম। মায়ের হাতের চপ, টমেটো সস আর কাসন দিয়ে।
স্কুলের বন্ধুদের গ্রুপে বললাম একটা ইফতার পার্টি করা যাক। পার্টি করা যায় সব ধর্মের সবাইকে নিয়ে। কিন্তু ইফতার মাহফিলে তো অন্য ধর্মাবলম্বীরা অংশ নিতে পারে না। বন্ধুরা মত দিলো ২৭ রোজার পর করলে ভালো হয়। কারণ তখন সবাই ঢাকা থেকে বাড়ি আসবে, বেশী মানুষ একসাথে বসে ইফতার করা যাবে।
কলেজের এক বন্ধু সেদিন ফোন দিয়েছে ইফতারের কিছুক্ষণ আগে। ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে ভুলেই গেছিলাম চায়ের কথা। মা তাড়া দিয়ে বললো, 'চা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে'। কথার মাঝে চায়ের কাপটায় চুমু দিয়ে ফেললাম বন্ধুকে লাইভে রেখেই। পরক্ষণেই বন্ধুকে বললাম, 'দোস্ত, খেয়াল ছিলো না যে তুই রোজা আছিস। তোকে দেখিয়ে খেয়ে ফেললাম। সরি'। বন্ধু বললো, 'আরেহ ধুর! এটা কোনো ব্যাপার না। আমিতো একটু পরেই রোজা ভেঙে খাবো। তুই তো রোজা নাই। তুই খা।' ঢাকা গেলেই বন্ধুর বাসায় যাই, থাকিও মাঝে মাঝে। আন্টির হাতের ইফতার আইটেম মিস করছি এবার। রোজার মাসেও তিনি আমার জন্য দুপুরে রান্না করতেন। আমি তা কোনোদিন ভুলতে পারবো না। আংকেল-আন্টি খাটি ধার্মিক। আংকেল ছিলেন সরকারের যুগ্মসচিব। তিনিও যথেষ্ট আদর করেছেন।
আগে না চাইলেও ইফতারের দাওয়াত পেতাম, ঈদের দাওয়াত পেতাম। পূজায় দাওয়াত না দিলেও অনেকে বাসায় আসতো, আবার কৌটা ভরে ভরে নাড়ু-খই দিয়ে আসতো বাবা তাঁর মুসলিম বন্ধুদের বাসায়। নাড়ু আর খই বানাতে বানাতে মায়ের খবর হয়ে যেত। তবু মুখ ফুটে কোনোদিন কিছু বলেনি। বাবা কবি বাবু ফরিদী মানুষকে খাওয়াতে পছন্দ করতেন, মা-ও তাঁর ইচ্ছাপূরণ করতেন।
সেই দিনগুলি কোথায় যে হারালো!
এটাই আমার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, এটাই আমাদের সংস্কৃতি। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দেবে না, বিদ্বেষ ছড়াবে না। যারা ধর্ম মানে না, তারাও তাদের মতো থাকবে। কাউকে জোর করা যাবে না। স্রষ্টা চাইলে নাস্তিকদের মনেও একদিন ধর্মের প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত হতে পারে। ধর্ম নিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই করা যাবে না। এই বাংলাদেশ সবার, কোনো সম্প্রদায়ের একার না।
জয় বাংলা।
২| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বেগুন দিয়ে চপ !
আইডিয়াটা খারাপ না।
কবি বলেছেনঃ
শিল্পীর মাথায় কিলবিল করে আইডিয়া
উইপোকা বলে, চল তারে খাই গিয়া!
আফসোস!
৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: আগে এই ধরনের সম্প্রীতি বিদ্যমান ছিল বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে। স্টুডেন্ট লাইফে অন্য ধর্মের বন্ধুরা যেমন ইফতার মাহফিল, ঈদের আনন্দে যোগ দিত , আমরাও তেমনি পুজায় যেতাম, ক্রিসমাসে ক্রিশ্চান বন্ধু বান্ধবীর বাড়িতে দাওয়াত পাইতাম। এখন এই সুন্দর সম্পর্কে কেন আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে , সেইটা ভাবেন ।
৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৬
ধুলো মেঘ বলেছেন: ইফতার মাহফিলে অন্য ধর্মাবলম্বীরা অংশ নিতে পারেনা - এটা আপনাকে কে বলল? ইফতার মাহফিল কোন প্রার্থনা অনুষ্ঠান নয় - এটা একটা খাওয়া খাওয়ি উৎসব। এই উৎসবে যে কেউ অংশ নিতে পারে। কিন্তু পূজার অনুষ্ঠান ইসলামের মূল ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক বিধায় কোন মুসলিমের জন্য এই জাতীয় অনুষ্ঠানের ধারে কাছে যাওয়াও নিষিদ্ধ। কিন্তু হিন্দুদের অন্য যে কোন উৎসবে মুসলিমরা যোগ দিতে পারে। কোন সমস্যা নেই।
৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ধুলোমেঘ , পুজায় যাওয়া মানেইতো আর পুজাপাঠে অংশগ্রহন করা নয়। বিদেশে এখন মসজিদ, মন্দির হচ্ছে টূরিস্ট এট্রাকশন স্পট। দর্শনার্থীরা কেবল দেখতে যায় , ধর্মীয় কার্যকলাপে অংশগ্রহন করতে নয়।
৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: প্রচুর ইফতারীর দাওয়াত পাচ্ছি।
আমি কোনো দাওয়াতে যাচ্ছি না। বাসার ইফতারি আমার বেশি ভালো লাগে।
৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১৭
ধুলো মেঘ বলেছেন: @ঢাবিয়ান, মন্দির একটা ট্যুরিস্ট এট্রাকশন স্পট হতে পারে - কিন্তু পুজা নয়। যেখানে পুজা হয়, কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে সেই জায়গা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। কোন বার, যেখানে মদ্যপান হয় বা জুয়ার উৎসব চলে, সেখানে কোন মুসলিমের যাওয়াই জায়েজ নেই, সে মদ্যপান/জুয়ায় অংশগ্রহণ করুক বা না করুক।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৪৬
মিরোরডডল বলেছেন:
এক কেজি বেগুন কিনেছিলাম, মায়ের ইচ্ছায় ফেরার পথে বন্ধুকে সেটা দিয়ে দিলাম চপ বানিয়ে খাওয়ার জন্য। একটা বেগুন দিয়ে চপ আমরা এখানেও বানিয়ে খেলাম।
বেগুন দিয়ে চপ???
এইটা কি জিনিস!
এটাই আমার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, এটাই আমাদের সংস্কৃতি। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দেবে না, বিদ্বেষ ছড়াবে না।
এমনটাই হওয়া উচিত।
কেউ যদি কোন ধর্ম না মানে, সেখানেও বলার কিছু নেই।
জীবন যার যার
মানা না মানার ইচ্ছাও তার