নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
এটা নিঃসন্দেহে একটা পাতানো ম্যাচ। মাহমুদুল্লাহ-তাঞ্জিম সাকিব-রিশাদকে রিমান্ডে নিলেই সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।
এই তিনজন খেলোয়াড় দেখতে ও জীবনাচরণে আফগানিস্তানের বর্তমান শাসকদের প্রতি অনুরক্ত। তারা চান আমাদের দেশেও এমন শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক। আফগানিস্তানের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ও ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে প্রথমে মোজোর বিক্রি বাড়িয়ে ও পরে আফগানি পামির কোলা দেশের মার্কেটে আনার জন্য যারা কোকাকোলা, প্রাণ, পেপসি, স্প্রাইট, সেভেন আপ বয়খট করা শুরু করেছিলো, তাঁদের মতাদর্শ আর এদের মতাদর্শ একই।
খেয়াল করলেই দেখবেন ম্যাচের ওপেনার বোলার হয়ে তানজিম সাকিব খুব এলোমেলো বোলিং করছিলেন। বল খুব সুইং হচ্ছিলো। এটা পজিটিভিটি থেকে হলে তিনি উইকেট পেতেন। কিন্তু পাননি। বরং এতই এলোমেলো বল্য করেছেন যে ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়েছেন বিনা উইকেটে! একটা বল তো এত জোড় দিয়ে আর এত উপর দিয়ে করলেন যে লিটন সেটা ধরতে পারলো না, পিছন দিয়ে বাই রান চার হয়ে গেলো! শেষের ওভারগুলিতে তিনিই আফগানদের অতিরিক্ত রানগুলো দিয়েছেন। মাঝে একবার ক্যাচ তুলেছিলেন রশিদ খান, মাহমুদুল্লাহ সেই ক্যাচ ইচ্ছা করে ধরেননি। একটু কষ্ট করে দুই কদম দৌড়ালেই তিনি ক্যাচটা ধরতে পারতেন আর আফগানিরা ১০৫ এর মধ্যে অল ইনিংস শেষ করতো। আমরা জয় পেতাম।
আরও দেখেন, তামিম, সাকিব, রিশাদ, মুস্তাফিজ মেরেছেন ডাক। ওপেনিঙয়ে আফগানিস্তান-পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঞ্জিদ তামিম কখনওই ভালো খেলেন না। এটা সন্দেহজনক। এমপি সাকিবের দেশপ্রেমের ঘাটতি নেই, তার আউট নিয়ে আমার সন্দেহ নেই। কিন্তু রিশাদ গত ম্যাচে কত সুন্দর মেরেটেরে খেললেন ভারতের বিরুদ্ধে! চার-ছয় হাঁকালেন, বয়খটিদের আনন্দ দিলেন! কিন্তু এই ম্যাচে প্রথম বলেই আউট! ঠিক যেমন তাঞ্জিম সাকিব গত ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠে আগ্রাসী উদযাপন করে এই ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সন্দেহজনকভাবে বোলিঙয়ে রান বেশী দিয়েছেন, আবার ব্যাট হাতে ১০ বল নষ্ট করে মোটে ৩ রান করেছেন।
দলের এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, যেখানে জানপ্রাণ দিয়ে খেলা উচিত ছিলো, (কারণ সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ সম্ভবত এবারই প্রথম এতটা কাছে ছিলো) সেখানে একমাত্র লিটন দাসকে ছাড়া আর কাউকেই বেশী সিরিয়াস হতে দেখলাম না।এমনকি ম্যাচটাও হেরে যাওয়ার পর কাউকে কান্না করতে দেখলাম না! একটা ক্রিকেটারের সারা জীবনের স্বপ্ন থাকে সেমিফাইনাল বা ফাইনালে খেলা। এত কাছে গিয়ে তা অধরা থেকে যাওয়ার পরেও তারা কান্না করেনি। মনে হচ্ছে সবকিছু আগেই ঠিক করা ছিলো। বিষয়টা তদন্তের দাবি রাখে। মাহমুদুল্লাহকে জোরপূর্বক অবসরে পাঠানো, দেশদ্রোহিতার অভিযোগে শাস্তি প্রদান এবং তানজিম সাকিবকে দলের বাইরে পাঠাতে হবে। ৮ দলের রাউন্ডে উঠেই আত্মতৃপ্তি যেন আমরা না খুঁজি।
এরই মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আরও একটি শিক্ষাসফর শেষ হলো। সাকিবের বাড়ি দেখা হলো, শপিং করা হলো, নাসায় ঘুরাঘুরি হলো! শুনেছি আমেরিকার ভিসা পেলে অনেকে আর ফেরে না। ওরা যেন ফিরে আসে। কেউ যেন পালাতে না পারে। কে যেন বলেছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের সৌন্দর্য নষ্ট করে। আজকের খেলা তেমনই হয়েছে। আইসিসির সদস্যপদ বাতিল করে বোর্ডের টাকাগুলো ভিক্ষুকদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হোক, দেশে গান-বাজনা, খেলাধুলা না হোক-- এমন দাবি উঠুক, এটাই মনে হচ্ছে ওরা চাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.