নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
শেখ হাসিনার আমলে ৪ বছরে ভারতে ইলিশ গেছে ৫৫৪১ টন। আর ড. ইউনূস সরকার এই এক মাসেই পাঠাচ্ছেন ৩ হাজার টন ইলিশ! তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, ভারত বয়কটের সুফল তাহলে কে বা কারা ভোগ করছে? ভারতের প্রকৃত দালাল কে বা কারা? র এজেন্ট কে? আমি, পিনাকী ভট্টাচার্য নাকি...??
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে পিনাকী ভট্টাচার্য্য "মোদির আগা কাইট্টা আইসেন" শিরোনামের ভিডিওতে আমাকে র এজেন্ট বলেছিলেন, আমার নাকি কোটি টাকার সম্পদ আছে ঐদেশে! তারপর প্রাণনাশের হুমকি পাই, যা প্রশাসনকে জানালে আমার ৫০০ কিমি দূরে বদলি হয়। তার ঐ মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সেই সম্পদের প্রমাণ দেখাতে বললে তিনি কোনো প্রমাণ দিতে না পেরে আমার ভাইরাল ও জনপ্রিয় ফেসবুক আইডি খেয়ে দিছে তার চ্যালারা।
জীবনে মাত্র ৩ বার ভারত গেছি অল্প দিনের জন্য, মায়ের উন্নত চিকিৎসার্থে ও তীর্থস্থান ভ্রমণের জন্য, প্রতিবারই সরকারি নেভি ব্লু পাসপোর্ট নিয়ে। তার মধ্যে দুবার ট্রেনে আমাদের উপর প্রাণনাশের চেষ্টায় হামলা হয়েছে এবং লিখিত FIR করে এসেছি। আমি যদি এজেন্ট হতাম, আমাকে তো তারা জেড লেভেলের নিরাপত্তা দিতো! তাই না?
আমি জন্মগতভাবে হিন্দু, কিন্তু আমার বাবা কবি বাবু ফরিদীর ২০০৮ সালে রহস্যজনক মৃত্যুর পর আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসে বাবার লাশ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ায় সবাই অবাক হয়েছিলো, যারা ৪০ বছর ধরে তাঁর বন্ধু ছিলেন, তাঁরাও। এতটাই উদারমনা, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ছিলেন আমার বাবা। গত ১৫ বছর খন্দকার মোশাররফ হোসেন (শেখ হাসিনার বেয়াই) ও তাঁর সমর্থকরা আমাদের উপর কয়েক দফা হামলা চালায়, মন্দির-ঘর ভাঙে, আমাদেরকে এখনও তার অনুসারীরা একঘরে করে রেখেছে। আমি বারবার তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় তাকে নির্বাসনে পাঠান খোদ শেখ হাসিনা। অগাস্টে যদি দেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়ে থাকে, তবে ফরিদপুর স্বাধীন হয়েছে আরও ২+ বছর আগেই, আমার হাত দিয়ে। এজন্য আমার চাকরি ও জীবনের অনেক ক্ষতি হয়েছে ও হচ্ছে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কবি, সংগঠক, সাহিত্যিক, সাবেক সরকারি চাকুরে ও আইনজীবীর ছেলে হয়ে প্রগতিশীল লেখা লিখলেই কি ভারতের দালাল হয়ে গেলাম? চাকরি পেয়েছি নিজের মেধায়, কোটা দিয়ে নয়। ২০১৯ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম, ঐ আইডিতে অনেক লেখা ছিলো এ নিয়ে। চাকরি জীবনে সবচেয়ে বড় বৈষম্যের ও নিপীড়নের শিকার এই দেশে আমিই হয়েছি।
যদি আমি দালাল হয়ে থাকি এরপরেও, তাহলে এই দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবাই ভারতের দালাল। যারা ভারতকে এটা-ওটা পাঠায়, সুসম্পর্ক রাখে, তারাও। আসলে বৃহত্তম শক্তিশালী প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক রেখে আম্রিকা-কানাডার মতো একসাথে এগিয়ে যাওয়াতে উভয়েরই লাভ। প্রতিবেশীর সাথে সারাক্ষণ যুদ্ধ করতে থাকলে আগাবেন কীভাবে? নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বুঝি!
এখনও যারা হুমকি দিচ্ছেন, তাদেরকে বলি, আমি লীগের কোনো পদে কোনোদিন ছিলাম না। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল কাউকেই নকল করতে দেইনি, নকল পেলে বহিষ্কার করেছি। বিশ্বাস না হলে ফরিদপুরে খোঁজ নেন। স্কুলফ্রেন্ড ফরিদপুর ছাত্রদলের কায়েসকেই জিজ্ঞেস করতে পারেন! দুর্নীতি করিনি, করতেও দেইনি। তাই আমাকে বারবার বদলি করে দেওয়া হয়। একরকম ওএসডি করেই রেখেছিলো ৬ বছর। তিরস্কার দণ্ডও ফিয়েছে অন্যায়ভাবে। আমার এ দিন পরিবর্তন হবে না। কারণ এখন যারা ক্ষমতায়, তাঁরা আমাকে চিনেন, প্রায় অনেকেই প্রথম আলোতে লেখেন ও অবশ্যই পড়েন। যোগ্য মূল্যায়ন না পেলেও আমি প্রথম আলোতে দীর্ঘদিন লিখেছি। কিন্তু তাই বলে আমি অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও দেশের পক্ষে লেখা বন্ধ করিনি, করবও না। তাই আমার এ জীবনে আর ভালো থাকাও হবে না। এখনও অসুস্থ মাকে ফরিদপুরে একা রেখে সীমান্তে দেশসেবা (চাকরি) করছি।
বাবার আদর্শে চলি, চলেছি এবং চলবো। তাতে আপনি আমাকে যার দালালই বলেন না কেন! আমি আসলে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল চেতনার, দুর্নীতি-অন্যায়-জুলুমমুক্ত বাংলাদেশের দালাল। জয় বাংলা।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ২:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আফসোস!!