নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
১ দিনের মধ্যেই আমার ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক প্রমাণিত হলো আরেকবার। ১ অক্টোবরের হামলার বদলায় ইসরায়েলের ১৪০ টি ফাইটার জেট ইরানের রাজধানী তেহরানে মিসাইল বানানোর ফ্যাক্টরি, মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। অথচ ইসরায়েলের ঐ ১৪০টি বিমানের কিছুই হয়নি।
এই হামলার পর ইরান চাইলে পালটা হামলা করতে পারবে না। কারণ ইরানের মিসাইল বানানোর ফ্যাক্টরি ধূলিসাৎ করে দিয়েছে ইসরায়েল। রিজার্ভের মিসাইলগুলো মারলে রিজার্ভ শূণ্য হয়ে যাবে, যা ইরানকে আরও দুর্বল করবে। আবার ইসরায়েল চাইলে যখন তখন ইরানের আকাশে ঢুকে টুপ করে যত খুশি বোমা ফেলে আসতে পারবে। কারণ ইরানের সকল ডিফেন্স সিস্টেম বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল এই সংক্ষিপ্ত হামলায়। তবে আপাতত অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে ইসরায়েল।
এখন জানার বিষয় এটাই যে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বেঁচে আছেন কিনা। থাকলে এর কী প্রতিক্রিয়া তিনি দেখান, সেদিকে তাকিয়ে আছে বিশ্ববাসী। তাদের আর কোনো হামলা না চালানোই উত্তম। কেননা ইসরায়েল ইরানের তেলক্ষেত্র বা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করেনি এখনও, আমেরিকা-ইসরায়েলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ইরান পারমাণবিক বোমাধর দেশ হিসেবে নিজেদেরকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পরেও।
তবে এই মুহূর্তে সৌদি আরব আছে দুশ্চিন্তায়। তাই সালমান ভাই ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেননি। তারা ভাবছে ইরান নিজেদের তেলক্ষেত্রকে সুরক্ষিত রাখার ইচ্ছায় সৌদি আরবের তেল প্ল্যান্টগুলোকে না ধ্বংস করে দেয় এই সুযোগে আমেরিকার মিত্র দেশ হিসেবে বদলা নিতে। কিন্তু সেটা যাতে তারা না করে, সেজন্য আমেরিকা বলে দিয়েছে সরাসরি যে সৌদি আরবে হামলা হলে আমেরিকা তাদের পাশে থাকবে।
আমেরিকান ফাইটার জেট উক্ত যুদ্ধের এলাকায় অবস্থান করলেও ইরানের উপর ইসরায়েলের আজকের হামলায় অংশ নেয়নি। তবে এখন ইরান আর রাশিয়া মিলে যদি আবার ইসরায়েলের উপর হামলা চালায়, তাহলে তারাও এতে অংশ নিবে। তখন এই যুদ্ধ ৩য় বিশ্বযুদ্ধে রূপান্তরিত হবে।
যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। দেব দুলাল গুহ
#Israel #USA #Iran #Netaniyahu #Khameni #WW3
©somewhere in net ltd.