![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
নাহিদ-আসিফ ও সারজিস-হাসনাতের সামনে মোড়!
'দুটি পথ ওগো দুটি দিকে যাচ্ছে বেঁকে'!?
গতকাল মুক্তি পাওয়া আসিফের বই থেকে:
"একটা পর্যায়ে শাহবাগ থেকে গণভবনের দিকে রওনা দিলাম। সবাই আমাদের রিকশা ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। কারওয়ান বাজার মেট্রোস্টেশনের নিচে থাকা অবস্থায় ফোনে খবর পেলাম, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। মুশফিকুল ফজল আনসারীর পরিচিত আশিক খবরটা দিলেন। বিষয়টা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করলাম।
ডয়চে ভেলের সাংবাদিক হারুন উর রশীদ স্বপন ফোন করে যখন প্রশ্ন করলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, আপনাদের মন্তব্য কী?’ তখন নিশ্চিত হলাম, শেখ হাসিনা সত্যিই পালিয়ে গেছেন। এরপর নানা জায়গা থেকে বন্যার মতো ফোন আসতে লাগল। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও যোগাযোগ করা হচ্ছিল। তারা বলল, সেনাবাহিনী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বসতে চায়। আমাদেরও খোঁজা হচ্ছে। আমি বললাম, আমরা ক্যান্টনমেন্টে যাব না। দেশের ভাগ্য ক্যান্টনমেন্ট থেকে নয়, নির্ধারিত হবে জনতার মঞ্চ থেকে।
আমাদের মিছিলের বড় অংশটা সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে ঢুকল। আরেকটা অংশ গেল গণভবনের দিকে। খবর এল, মানুষ গণভবনে ঢুকে পড়েছে, গণভবন দখল হয়ে গেছে। সংসদ ভবন এলাকায় অনেক মানুষের মধ্যে পড়ে গেলাম। সংসদ ভবনের সামনের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আমি আর নাহিদ ভাই বক্তব্য দিলাম। পাঁচ-ছয় হাজার মানুষ আমাদের বক্তব্য শুনল।
আমরা ভাবলাম, এমন বিভ্রান্তিকর অবস্থায় আমাদের দিক থেকে একটা বক্তব্য যাওয়া উচিত। আমরা কারওয়ান বাজারে বার্তা সংস্থা এএফপির কার্যালয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। সংসদ ভবন এলাকা থেকে বের হওয়া ছিল কঠিন। আমাদের পেয়ে লোকজন আনন্দ উদ্যাপন করছিল। কোনোভাবেই আমাদের ছাড়ছিল না। জনসমুদ্রের কারণে রাস্তা দিয়ে এগোনো কঠিন হয়ে পড়েছিল। কেউ একজন একটা সিএনজি নিয়ে এল। সিএনজিতে করে কারওয়ান বাজারে এএফপির কার্যালয়ে যাওয়ার পথে ফার্মগেটে যানজটে আটকে যাই। অগত্যা নেমে হেঁটে এগোতে থাকি।
খবর পেলাম, বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ক্যান্টনমেন্টে যাচ্ছেন। সেখানে ক্ষমতা পালাবদলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হচ্ছে। মনে হয়েছিল, এমন একটা ঐতিহাসিক মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সব সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে প্রবীণ রাজনীতিবিদেরা ঠিক কাজ করছেন না। ব্যাপারটা আমাদের ভালো লাগেনি। অনেকে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কেউ কেউ বলেন, যাঁরা সেখানে যাবেন, তাঁদের জাতীয় বেইমান ঘোষণা করা হোক। আমরা বললাম, এখন এসবের দরকার নেই, মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। কীভাবে কী হবে, সরকার গঠিত হবে, তার রূপরেখা তৈরি করে আমরা একটা সংবাদ সম্মেলনের পরিকল্পনা করলাম।
চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে গিয়ে শুনলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে ক্যান্টনমেন্টে যাচ্ছেন। শুনে আমার মনটা খুবই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠল। সঙ্গে সঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহকে ফোন করে বললাম, ক্যান্টনমেন্টে গেলে আপনাদেরও জাতীয় বেইমান ঘোষণা করা হবে।"
রেফারেন্স বই: জুলাই; মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু (প্রথমা)
লেখক- Asif Mahmud সজীব ভূঁইয়া
উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
২| ১৬ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পুরাতন বিষয় ! এগুলো ফাটল ধরাতে পারবে না।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৭
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: অসম্পুর্ন তথ্য দিলে হবে? ফোন দেয়ার পরে আর কি লিখেছে সেটা না লিখলে হবে? আসিফের ফোন পাবার সাথে সাথে হাসনাত সারজিস গাড়ি থেকে গিয়ে আসিফদের সাথে চ্যানেল ২৪ এ চলে যায়। সারজিস ও হাসনাত ছাড়াও আরো অনেকেই এই ঘটনা বহু আগেই বিভিন্ন টকশতে বলেছে। ৫ই অগাস্ট একেকজন একেকদিকে ছিল। সবার সাথে সবার যোগাযোগও ছিল না। আসিফ নজরুলের ডাকে হাসনাত সারজিস ক্যন্টনমেন্টের গাড়িতে উঠে। পরে আসিফের ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে নেমে যায়।
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১১
রিফাত হোসেন বলেছেন: এটা সম্ভবত ঐ সময়ের কথা তবে। তবে পরবর্তী কি কথা হয়েছিল সেটা তো জানাননি। কোন প্রবন্ধের আংশিক প্রকাশ করে ভেজাল লাগিয়ে দিলেন, ভেজালে মানুষদের মত! আপনিকে আরো সুবিচার করার অনুরোধ করছিন অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ। যেমন কোরান শরীফ পুরো না পরলে মদ পান করা অনুমতি আছে মনে হবে! ব্যাপারটা এরকম।
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৮
নতুন বলেছেন: শেখ হাসিনা এখন অবসর কাটাচ্ছেন।
এই বড় পড়ে জানতে পারবেন উনি ২০২৪ এ কি করেছিলেন।
এই বই পড়ে জানতে পারবেন কে কে উনার পতনের জন্য দায়ী।