![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
তুলসি গ্যাবার্ডের সফর ও কড়া ম্যাসেজ বুঝিয়ে দিয়েছে এই অঞ্চলে ট্রাম্প কী চান। মোদির সফরে ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে করা প্রশ্ন মোদির জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেই ইঙ্গিতই পূর্ণতা পেলো তুলসির বক্তব্যে। আমিও ট্রাম্পের জয়ের সময়ই বলেছিলাম-- যেকোনো মূল্যে এই বিশ্বকে 'ইসলামি জঙ্গি'মুক্ত করবেন তিনি। এটা জঙ্গীবাদ নির্মূলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নতুন মাত্রার সাহস এনে দিয়েছে। সেনাপ্রধান 'সবাইকে সাবধান করে' দেওয়া বক্তব্যের সময় থেকেই সরাসরি নাম ধরে ডক্টর ইউনূস বলে সম্বোধন করছেন, 'মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা' বলছেন না। এটাও একটা ম্যাসেজ।
৫ অগাস্টের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধান পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য অনেক কথাই বলেছিলেন, অনেক আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেটা ছিলো মহাভারতে যুধিষ্ঠিরের "অশ্বত্থমা হত (ইতি গজ)" এর মতো বলা। তারও আগে অভ্যুত্থানের সময় বুলেট প্রয়োগ না করে তিনি শেখ হাসিনাকেও উদ্ধার করে নিরাপদে পাঠিয়েছেন (আমাকে যেমন পুলিশ লালমনিরহাট থেকে উদ্ধার করেছিলো, অনেকটা সেরকম), আবার শান্তিরক্ষা মিশনে নিষেধাজ্ঞা ও ক্যু এড়াতে সেনাকে গুলি করার নির্দেশ না দিয়ে শান্ত থাকতে বলেছেন।
এতেই ওরা ভেবেছে সেনা আসলে তাদের পক্ষে! হ্যাঁ, কিছু সদস্য ছিলো তাদের পক্ষে, কিন্তু সেটা সামান্য। সেনাপ্রধান চাইলে তখনই অ্যাকশানে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি চাননি। কারণ কেউ একজন হোয়াটসঅ্যাপে শেখ হাসিনাকে বলে দিয়েছিলো যে উপরে মার্কিন স্যাটেলাইট আছে, গুলি করলেই নিষেধাজ্ঞা ও আফগানিস্তানের মতো মার্কিন সেনা চলে আসবে। তখন দেশটাও আফগানিস্তান-সিরিয়া হয়ে যাবে আর শেখ হাসিনার পরিণতিও সাদ্দামের মতো হবে। সূত্রটি তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলো, "তার চেয়ে আপনি আগে সেইফ হোন, ওদেরকে চালাতে দিন। কিছুদিন পর ওরাই বলবে 'আগেই ভালো ছিলাম'।"
আসলে সেদিন সেনাপ্রধান যুধিষ্ঠিরের মতো সত্য কিছুটা গোপন করে হলেও দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছেন। শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা না দিলেও তিনি বলেছেন পদত্যাগ করেছেন। তাঁর চোখই বলে দিচ্ছিলো তিনি সত্য লুকাচ্ছেন। এমন ক্রিটিকাল সিচুয়েশনে বা রেগে গেলে তিনি চোখ তীক্ষ্ম করে ফেলেন, যাকে 'চোখ তলানো' বলে।
৭ মাস তিনি চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। অনেকেই তাঁকে বেঈমান বলেছে, অনেকে গালি দিয়েছে। আবার যাদেরকে তিনি সইতে পারেন না, তাদের সাথে তাল মিলিয়ে তাঁকে চলতে হয়েছে। স্বাধীনতার পক্ষের লোকটাকে চলতে হয়েছে স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে হাত মিলিয়ে! এমনকি তাঁর আদর্শের জায়গায় থাকা বঙ্গবন্ধুর নামটাও তিনি নিতে পারেননি! এসবই তিনি করেছেন দেশ ও জাতির স্বার্থে। তিনি বলেছিলেন, "আমার উপর ভরসা রাখুন, আমি সব সামলে নেবো"। এটাকে সবাই যার যার মতো করে তর্জমা করেছে। আসলে তিনি এটা বলেছেন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে। তিনি সামলে নিয়েছেন বলেই সেনায় ক্যু হতে দেননি, মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে সেইভ করেছেন, সংবিধানকে সেইভ করেছেন।
এই সরকার এই সংবিধানের অধীনেই শপথ নিয়েছে। কাজেই, এখন সবাইকে সংবিধান মানতেই হবে। সংবিধান বলবে পদত্যাগ সঠিক ছিলো কিনা, সংবিধানই এই সরকারের বৈধতার প্রশ্নের সমাধান দেবে, শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পথও সংবিধান বলে দেবে। একইসাথে ঐ সংবিধানই সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল ঠেকাবে। এই কাজ শেখ হাসিনাই করে গেছেন। সংবিধান সংশোধন করতে হলে সংসদ লাগবে, যা নেই এখন। স্পিকারও নেই যে তাকে দিয়ে জোর করে সংশোধন করানো যাবে। তিনি আগেই পদত্যাগ করেছেন।
আমার কেন জানি মনে হয় আসল মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা বা অন্য কেউ, যে ফরহাদ মজহার বা মাহফুজের খেলাও খেলে দিয়েছে। ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার নিরাপদে চলে যাওয়া কি আসলে একটা শুদ্ধাভিযান? কী জানি? তবে এই দিনটা না এলে আপন-পর চেনা যেত না, ত্যাগী আর হাইব্রিডকে চেনা যেত না, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আর বিপক্ষের লোকদেরকেও চেনা যেত না। মব ও জঙ্গীদের আসল রূপটাও মানুষ দেখতে পারতো না। কেননা যত ভালো কাজই করুন শেখ হাসিনা, যত উন্নয়নই করুন ভারতের সাথে হাত মিলিয়ে, এসবই মানুষের কাছে অদেখা থেকে যাচ্ছিলো। কিছু তেলবাজ ব্যাক্তিস্বার্থে প্রশংসা করতো বটে, কিন্তু তারা ছিলো সুসময়ের বন্ধু। এখন সব জলবৎ তরলং। তবে শেখ হাসিনারও বুঝা উচিত কে তাঁর আপন আর কে পর। তাঁর নিজের ত্রুটিগুলিও তাঁকে বুঝতে হবে। এক প্যাঁচাল বারবার পারলে মানুষ বিরক্ত হয়। সব কিছুর নামই একটা নামে হলেও যে বিরক্ত হয়, এটাও তিনি বুঝতেন। তাই পদ্মা সেতুর নাম চেঞ্জ করতে দেননি। কিন্তু তোষামোদিরাই যত নষ্টের মূল!
সেনা আজ থেকে সারাদেশে টহল জোরদার করেছে। মনে হচ্ছে তুলসির কথাকে সিরিয়াসলিই নিয়েছে। নিতেই হবে, নাহলে বিপদ। এখন জঙ্গীবাদ, দুর্নীতি, অপরাধ ঠেকিয়ে দ্রুত একটা নির্বাচন আয়োজনই মনে হচ্ছে সেনার লক্ষ্য। আর যদি কেউ সংবিধান ছুঁড়ে ফেলতে চায় বা দেশের অরাজকতা আবার আনতে চায়, রাস্তা দখল করতে চায় অকারণে, ছাত্র পরিচয়ে আকাম করতে চায়, সেনা তাদেরকে আর ছাড়বে না। কারণ আন্তর্জাতিক রাজনীতি এখন আর আগেরটা নাই। এখন বিশ্বের মোড়লদের মোড়ল ট্রাম্প। তুলসির কথাই তাঁর কথা আর মোদির কথাই তুলসির কথা। বিশ্বের এই নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণকে এড়িয়ে চলার কোনো সুযোগ নেই।
দেব দুলাল গুহ -- দেবু ফরিদী।
২| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: গোলাম মাওলা রনির ভিডিও দেখা বাদ দেন
৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:১৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: মহাভারতের উপমা টানা কিছুটা বোকামি মনে হয়েছে। অশ্বত্থামা-কে বা কি তার পরিচয় তা দেশের ৯০ ভাগের বেশী মানুষের জানার কথা নয় কারন এটা বাংলাদেশ, ভারত নয়। বাংলাদেশে সবাই মহাভারত পড়ে না।
সেনা প্রধান বলতে গেলে আওয়ামী লোক, তার শ্বশুর ছিলেন হাসিনার আঙ্কেল। হাসিনার সময়েই তাকে সেনা প্রধান বানানো হয়েছে। তদুপরি তিনি বুঝতে পেরেছেন যে তিনি একজন সেনা প্রধান, আওয়ামী এম.পি. নন। আগেস্ট তিনি জুনিয়র অফিসারদের নিয়ে দরবার করেছিলেন এবং তাদের মনোভাব বুঝতেও পেরেছিলেন। হাসিনার কথায় তিনি সেনাবাহিনীকে জনতার উপর গুলি চালাতে বললে, জুনিয়র অফিসাররা বেঁকে বসতো আর মিলিটারী ক্যু এর পুরোনো হিসেব আপনার জানার কথা। সে অনুযায়ী তিনি সবার আগে বিদায় হতেন। যাইহোক, তিনি বিজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তি বলেই আমি মনে করি।
আর আপনি বলেছেন, "মোদির কথাই তুলসির কথা"। বোঝা যাচ্ছে আপনি বিষয়টাতে বেশ রং মাখাচ্ছেন, বাস্তবতা আদৌও সেটা নয়। ক'দিন আগেই শত শত অবৈধ ভারতীয়দের হাতকড়া পড়িয়ে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মোদীর আমেরিকা সফর করেও এগুলোতে সমাধান মেলেনি। ট্রাম্পের আমেরিকায় তাদের নীতিরও পরিবর্তন এসেছে, বিষয়গুলো এতটা সহজ নয় যতটা ভেবে আপনি তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন। কুয়ো থেকে আপনাকে নদীতে যেতে হবে। ধন্যবাদ।
৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৬:৪২
রবিন_২০২০ বলেছেন: আপনি তো আসলেই দেশদ্রোহী। বাংলাদেশে খেয়ে পরেও সারাক্ষন কামনা করছেন কিভাবে, কখন মোদী এই দেশটার উপর চড়াও হবে।
৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৬:৪৯
রবিন_২০২০ বলেছেন: আপনি আপনার প্রভু মোদি কে যতটা বিরাট নেতা ভাবছেন সে তার কাছাকাছি ও কেউনা। পশ্চিমা দুনিয়ায় তার কোনো সম্মান নেই। আপনি কি TV তে দেখেন নি আপনার দাদাদের কিভাবে হাতে পায়ে শিকল পরিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এই অপমান ট্রাম্প শুধু আপনার প্রভু মোদি ছাড়া আর কাউকে করেনি।
৬| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:২০
রাসেল বলেছেন: যিনি বলেছেন, বিডিআর বিদ্রোহের বিচারকার্য সঠিকভাবে চলেছে, তিনি সৎ হতে পারেন না। অন্তরালের বিষয় উচ্চপর্যায়ের লোকেরা বলতে পারবেন। আমাদের ভারত তোষণ নীতি পরিবর্তন করা উচিত।
৭| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:৫১
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: দেখা যাক, আপনাদের প্রেস্ক্রিপশন অনুযায়ী মহাভারতের যুধিষ্ঠির সেনাপ্রধান , বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে জনগনের বিরুদ্ধে দাড় করায় কিনা!
৮| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার লেখাটিতে স্পষ্টতই ভারত বন্দনা, মার্কিন প্রভাবের স্বীকৃতি এবং সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে একপাক্ষিক বিশ্লেষণ রয়েছে। এটি বাংলাদেশি সার্বভৌমত্ব, আত্মমর্যাদা ও স্বাধীন কূটনৈতিক নীতির পরিপন্থী।
প্রথমত, ভারত বা আমেরিকার আশীর্বাদ ছাড়া বাংলাদেশ চলতে পারে না—এমন ধারণা সরাসরি আমাদের স্বাধীনতা ও জাতীয় গৌরবকে খাটো করে। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে নিজের শক্তিতেই স্বাধীন হয়েছে, কারো করুণার ওপর নির্ভর করে নয়। কূটনীতি একটি বাস্তবতা, কিন্তু সেটিকে এতটা পরাধীনতার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা অত্যন্ত অপমানজনক।
দ্বিতীয়ত, সেনাবাহিনীর কাজ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, দেশের জনগণের পক্ষে দাঁড়ানো—বাইরের কোনো শক্তির ইচ্ছা বাস্তবায়ন করা নয়। তুলসি গ্যাবার্ড বা ট্রাম্প কী চান, সেটার ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করবে, এমন চিন্তা বাংলাদেশি জনগণের প্রতি অবমাননাকর। আমাদের সামরিক বাহিনী কারো হাতের পুতুল নয়।
তৃতীয়ত, লেখাটিতে বারবার শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের গুণগান গেয়ে এবং সেনাপ্রধানকে রাজনৈতিক রঙে রাঙিয়ে বাস্তব পরিস্থিতি আড়াল করা হয়েছে। রাষ্ট্রের সংবিধান, জনগণের অধিকার, এবং সত্যিকার স্বাধীনতা—এসবকে পাশ কাটিয়ে শুধু কিছু গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করার প্রচেষ্টা স্পষ্ট।
বাংলাদেশের জনগণ কারো পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলে না। আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ, আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, এবং আমাদের সার্বভৌমত্ব—বহির্বিশ্বের কোনো দেশের চাপ বা নির্দেশনা নয়।
বাংলাদেশি সার্বভৌমত্ব, আত্মমর্যাদা ও স্বাধীন কূটনৈতিক নীতির পরিপন্থী ভারত বন্দনামূলক আপনার একপাক্ষিক লেখাটির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ।
৯| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নির্বাচন ব্যতীত জনগণের রায় বুঝার কোন উপায় নেই। ৫ই আগস্ট সকল জনগণ রাজপথে গন্ডগোল করেনি। অল্পকয়েকজন লোভী ২৯ মিলিয়ন খেয়ে যে ধ্বংসযজ্ঞ সাধন করেছিল সেটাকে আন্দোলন কিংবা বিপ্লব কোনটাই বলা যাবে না। আগে নির্বাচন দিন। সবগুলো দলের জনপ্রিয়তা যাচাই করে নিন।
১০| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: তুলসীর বক্তব্যকে মিথ্যা বলে বিরাট ভুল করেছে।এর মাশুল দিতে হবে।
১১| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমানে আমাদের দেশে আসল ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে। উপদেষ্টাদের হাতে নয়।
১২| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৩২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কামাল১৮@তুলসীর বক্তব্য মিথ্যাই !
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৩৪
কামাল১৮ বলেছেন: @ কুতুব,ঈদের পর বুঝবেন কার বক্তব্য সত্যি।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ওয়াকার উজ জামান কোনো অদম্য সাহসী জেনারেল নন। তবে শেখ হাসিনা কে খেদানোতে তিনি অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আমার ব্যক্তিগত মতামত, মোহাম্মদ ইউনুসের সাথে ২/৩ দিন আগে বৈঠক করেছিলেন ওয়াকার৷ সেখানে টাফ কিছু বলা হয়েছে সম্ভবত। হাসনাত যে স্টাটাস দিয়েছে সেটা পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। যারা সেনাবাহিনীর প্রটোকলে চলে তারা কি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যাবে ?
বাংলাদেশ যে কোনো minnow দেশ অথবা অন্যের তাবেদারি করে না সেটা প্রমাণের সুযোগ এসেছিলো ওয়াকারের সামনে। ভারতের সেনাপ্রধানের পাকিস্তানের আইএসআই এর লোকজনের বাংলাদেশ সংলগ্ন চিকেন নেকে কথিত সফর নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু গত ২৫শে ফেব্রুয়ারী রাওয়া ক্লাবে ওয়াকার উজ জামান চাইলে প্রতিবাদ করে ভাষণ দিতে পারতেন। তিনি সরাসরি বলতে পারতেন বাংলাদেশের মাটি পাকিস্তান বা সন্ত্রাসবাদের মিডিয়াম হিসাবে ব্যবহার করতে দিবেন না। ভারতের সেনাপ্রধানের দাবী করা তথ্য নিয়ে ওয়াকার এর নীরব ভূমিকায় অনেক অবাক হয়েছি। তাহলে কি ভারতীয় সেনাপ্রধানের দাবী সঠিক?