নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুব সাধারন একটি ছেলে

nirjoyণ

nirjoyণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরীর ভালোবাসা

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭

ছেলেটি একটি মেয়েকে খুব ভালবাসে। কিন্তু
সেই মেয়েটিকে ছেলেটিকে পাত্তাই দিত
না। কষ্টগুলো কিছুক্ষণ দূর করতে ছেলেটি
প্রতিদিন মনমরা হয়ে এই নদীর পাড়ে এসে
বসে থাকত। কারণ মেয়েটির সাথে ছেলেটির
প্রথম দেখা হয়েছিল এই নদীর পাড়েই।
.
সেই নদীর পাড়ের এক গাছে বাস করত এক
ডানাওয়ালা পরী। তার খুব মায়া হত ছেলেটির জন্য।
প্রতিদিনই কেন ছেলেটি এখানে এসে এভাবে
মনমরা হয়ে বসে থাকে?
.
একদিন পরীটি মেয়ের ছদ্মবেশে
ছেলেটির কাছে এল।
> হ্যালো
ছেলেটি মেয়েটিকে দেখেও আবার
অন্যদিকে ফিরে যায়। পরীটি অবাক হয়ে যায়।
কারণ পরী এত সুন্দর ছিল যে কোনো
ছেলে একবার তাকালে চোখ ফেরাতে
পারবে না।
.
> তুমি প্রতিদিন এখানে এমন মনমরা হয়ে থাক
কেন?
- তাতে তোমার কি?
> আমারও কেন জানি খারাপ লাগে।
কথাটি শুনে ছেলেটি একবার
পরীটির দিকে তাকাল। এত সুন্দর মেয়ে
কিভাবে হয়! ছেলেটি আবার চোখ নামিয়ে
অন্যদিকে তাকাল।
.
> আচ্ছা আমি কি তোমার বন্ধু হতে পারি?
- তুমি! আমার বন্ধু হবে?
> এতে এতো অবাক হবার কি আছে? ও আচ্ছা
আমি বুঝি দেখতে খুব খারাপ। তাই বন্ধুত্ব করা
যাবে না!
- আরে তা নয়। তোমার মত অপ্সরী আমার
মত ছেলের বন্ধু হবে তা ভেবেই অবাক
হচ্ছিলাম।
> ও আচ্ছা তাই বুঝি।
- হ্যা তাই।
> আজ থেকে আমরা বন্ধু কেমন?
কথাটি বলেই হাত বাড়িয়ে দিল পরীটি। ছেলেটিও
হাত মিলাল।
.
> এখন তো আমি তোমার বন্ধু তাই না?
- হ্যা
> একটা প্রশ্ন করি? উত্তর দিবা?
- হ্যা কর।
> তোমার বুকের মধ্যে কিসের এতো কষ্ট
যে তুমি প্রতিদিন মনমরা হয়ে এখানে বসে থাক।
কথাটি শুনে ছেলেটির বুক ধুকরে উঠল।
চোখের কোণে অশ্রু এসে গেল।
.
> দেখ শেয়ার করলে কষ্ট কমে।
ছেলেটি পরী মেয়েটিকে সব খুলে বলল।
পরীটি অবাক। এমন ছেলের ভালবাসা গ্রহণ
করেনি কোন অভাগিনী? পরীটির মনের
মধ্যে কেমন যেন করছে। পরীটি
ছেলেটির কষ্ট সইতে পারছে না। নিজের
মনে নিজেই প্রশ্ন করছে এ কেমন জ্বালাতন
হচ্ছে আমার মনের মধ্যে? আমি কি
ছেলেটিকে………?
.
.
হঠাৎ ছেলেটি নরম হাতে স্পর্শ পেয়ে
চমকে উঠল। ছেলেটির হাত থরথর করে
কাপতে লাগল। ছেলেটি ধীরে ধীরে হাত
সরিয়ে ফেলতে চাইছে কিন্তু মেয়েটি খুব
শক্ত করেই ধরেছে।
.
> আচ্ছা আমি কি তোমার মনের কষ্টটা দূর
করতে পারি না?
কথাটি শুনে ছেলে স্তম্ভিত। কি বলবে বুঝে
উঠতে পারছে না।
> বল না। আমাকে কি একবার সুযোগ দেয়া
যাবে?
ছেলেটি কথা বলা ভাষাই খুজে পাচ্ছে না।
> দেখ তুমি তো নদীর পাড়ে এসে বসে
থাক আমি কিন্তু কষ্ট সইতে পারি না। তাই সোজা
আকাশেই চলে যাব।
.
ছেলেটি এখনো নীরব। এবার পরীটি
ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগল,
আমাকে একবার সুযোগ দাও। আমি তোমার সব
কষ্ট ভুলিয়ে দিব। মন প্রাণ উজাড় করে ভালবাসব।
ভালবাসার ফুল দিয়ে তোমার বাগান ভরিয়ে দিব।
ছেলেটি মনে মনে ভাবল, আমি জানি ভালবাসা না
পাওয়ার দুঃখটা কেমন। আমি তো পেলাম না
নিজের ভালবাসা। এখন যদি ওকে ফিরিয়ে দেই। ও
মনে আঘাত পাবে। না না ভালবাসার আঘাত খুব
যন্ত্রণাদায়ক। আমি এই আঘাত ওকে দিতে পারব না।
আমি না পেলে কি হয়েছে! ও পাবে ওর
ভালবাসা।
.
ছেলেটি মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরল।
মেয়েটি ছেলেটির ভালবাসার স্পর্শ পেয়ে
তীব্র বেগে কেদে উঠল।
- আমাকে ছেড়ে কখনোই যাবে না তো?
মেয়েটি মাথা নেড়ে না সূচক ইশারা দেয়।
- আমার কষ্টগুলো মুছে দিবে তো?
মাথা নেড়ে হ্যা সূচক ইশারা দেয়।
.
বেশ কিছুক্ষণ মেয়েটি ছেলেটির বুকের
মধ্যে পড়ে রইল। কিছুক্ষণ পর পরীটি উঠে
বলল, আমি এখন যাই। কাল আবার দেখা হবে।
- আচ্ছা ঠিক আছে। তবে যাওয়ার আগে তোমার
নামটা তো বলে যাও।
> আমার নাম পরী।
- দেখতেও পরীর মতই।
একটা হাসি দিয়ে চলে গেল।
.
মেয়েটি হেটে চলে গেল। ছেলেটিও
হেটে চলে গেল। মেয়েটি ভাবছে সে কি
পারবে তার এই ভালবাসাকে সত্যি করতে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.