নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিরিবিলি

নিরবখান

তথ্য ভান্ডার

নিরবখান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বঙ্গভবনে

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বঙ্গভবনে

জেল হত্যা মামলার আপিল শুনানি শুরু

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ও ক্ষমতা দখল-পাল্টা দখলের ধারাবাহিকতায় রাতের অন্ধকারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গভবন থেকেই হয়েছিল এই হত্যার ষড়যন্ত্র। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদসহ সংশ্লিষ্টদের ষড়যন্ত্রে রিসালদার (ক্যাপ্টেন) মোসলেহ উদ্দিনসহ চারজনের একটি দল জাতীয় নেতাদের হত্যা করে। পরে অপর একটি দল এসে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে। অথচ হাইকোর্ট একজনকে (মোসলেহ) ছাড়া বাকি সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন। আমরা ন্যায়বিচার চাই। গতকাল মঙ্গলবার বহুল আলোচিত জেল হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কেঁৗসুলি আনিসুল হক এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে গতকাল সকাল ১০টায় এ শুনানি শুরু হয়। পরে দুপুর ১টায় আপিল বিভাগ আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। শুনানির প্রথম দিনে বিচারিক আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের

৬৪ সাক্ষীর মধ্যে তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আমিনুর রহমান, আইজি প্রিজন এটিএম নুরুজ্জামান, মামলার বাদী ও ডিআইজি কাজী আবদুল আউয়াল, ডেপুটি জেলার আবদুর রউফ, কারারক্ষী মহব্বত আলী, আলাউদ্দিন সিকদার ও ইসমাইল হোসেনের জবানবন্দি উপস্থাপন করা হয়।

সাক্ষীদের জবানবন্দি তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, পচাত্তরের ৩ নভেম্বর মোসলেহ উদ্দিনসহ চার সেনা কর্মকর্তা সশস্ত্র অবস্থায় জেলখানায় যান। তখন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ বঙ্গভবন থেকে তৎকালীন আইজি প্রিজন এটিএম নুরুজ্জামানের কাছে ফোন করেন। আইজি প্রিজনকে মোশতাক বলেন, মোসলেহসহ চারজন যে কাজে যাচ্ছেন, তাদের সেকাজ যাতে করতে দেওয়া হয়। অপর তিনজন হলেন_ দফাদার মারফত আলী শাহ, দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধা ও ক্যাপ্টেন মাজেদ।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কেঁৗসুলি আরও বলেন, সশস্ত্র সেনা কর্মকর্তারা কারাগারে এসে চার নেতাকে গুলি করে হত্যা করে। পরে অপর একটি দল এসে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে। বঙ্গভবনে ষড়যন্ত্রের বৈঠকে এই দুই দল সেনা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়। কারা সেখানে যাবে, সেটা চূড়ান্ত হয় বঙ্গভবনের বৈঠকে।

এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এমেকে রহমান, মুরাদ রেজা, মমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, অমিত তালুকদার এবং আসামি পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

পরে আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, অনেক অপেক্ষার পর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের রায় ছিল বিকৃত। কারণ, হাইকোর্ট একজনকে ছাড়া বাকি সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন। আপিলে আমরা ন্যায়বিচার চেয়েছি। সাত সাক্ষীর বক্তব্য আদালতের কাছে পেশ করেছি। ২২ জানুয়ারি শুনানিতে অন্য সাক্ষীদের জবানবন্দি ও জেরা তুলে ধরা হবে।

তিনি জানান, '৭৫-পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান নানাভাবে জেল হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত করেছেন। বিষয়টি আদালতে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে তুলে ধরা হবে।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয়। পরদিন তৎকালীন উপ-কারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সমকাল:১৬।০১।২০১৩

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.