নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুর্বল পকেটের প্রেমিক

নিরবপীর জসীম উদ্দিন

নিরবপীর জসীম উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোর লেখা কেউ পড়বে না রে পাগল

২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:১১

সেফ হতে সময় নেয় সাত দিন। ব্লগে এলাম ১০ দিন।অথচ এখনো সেফ হলাম না। অবাক কান্ড। আমার জীবনে সব কিছুই কি দেরি করে আসবে? দেরি দেরি...জীবনে সব কিছুই দেরি হয়ে গেল। অথচ আল্লামা ইকবাল নামের এক কবি কি নির্দিধায় বলে দিলেন..সৌভাগ্য নাকি দেরি করেই আসে।



প্রতিদিনই ব্লগে আসি। প্রথমে দেখে নিই সেফ হলাম কিনা। মন্তব্য করতে পারবো কিনা। প্রথম পাতায় আমার লেখা আসবে কিনা। কিছুই হয়না। আমারও কিছু করা হয়না। অথচ একটা পুঁচকে বিড়ালও যদি প্রতিদিন গৃহস্থের বাড়ির হাড়িটা দুধ বা মাছ শুন্য দেখে সে নির্ঘাত ওই বাড়ি ছেড়ে নতুন বাড়ির খোজ করবে। আর আমি কিনা অপেক্ষা করে চলছি। অসীম ধৈর্য্য ধরে।



বাবা মা'র পাঁচ সন্তানের মধ্যেও আমি দেরি করে এলাম। পড়ালেখায় আলু ছিলাম বলে স্কুলে গেলাম দেরি করে। খেলার মাঠে দেরি করে যেতাম বলে আমি প্রায় দ্বাদশ প্লেয়ার হতাম। ফলে একজন আদর্শ দর্শক হতে পারলেও খেলার মাঠে আমি কখনো দ্বাদশ প্লেয়ারের তকমাটা মুছতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাসে দেরি করে আসায় স্যার খুব কোমল সুরে জানাল পরের দিন আসতে। আর প্রেম!! আহারে সেও আসল বুড়ো বয়সে। বিয়েটাও আসছে আসছে করেও দেরি করছে।



আর ব্লগে সেফ সে কত দেরি করে কে জানে। তবু ধৈর্য্য ধরে এত লিখছি এই আশায় কেউ যদি পড়ে! যারা আমাকে প্রতিদিন ধৈর্য্য ধরে ব্লগ লিখতে দেখে তারা ঠাট্টা করে বলে, তোর লেখা কেউ পড়বেনা রে পাগল!! তুই আনসেফ!!!



ধৈর্য্য মহত্বের লক্ষণ-গুনিজনেরা বলেন। আমার হাইস্কুলের এক স্যার বললেন ধৈর্য্য মওতের লক্ষণ। বেশি ধৈর্য্য ধরলে ছাত্রদের পেটানোর কথা তিনি ভুলে যেতেন। তাই কেউ পড়া না পারলে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বলতেন....বেত আন. আগে পিটায়ে নিই। তখন আমরা বলতাম...স্যার ক্লাস শেষে পেটালে হয়না? তিনি বলতেন, ধৈর্য্য নাই। আগে পিটায়ে নিই।



তিনি জাফর স্যার। অসাধারণ একজন গনিত শিক্ষক। আমার জীবনে এত ভাল অংক শেখাতে কাউকে দেখিনি। স্যারের ব্যাক্তিজীবন খুব স্বচ্ছল ছিলনা। তবু ক্লাসের কমপক্ষে অর্ধেক ছাত্রকে তিনি বিনা পয়সায় অংক শেখাতেন।



আমি ছিলাম অংকে মহা কাঁচা। কিছুই পারতাম না। তিনি বলতেন, অংকে তুইতো মারা যাবি। ম্যাট্টিকে ফেল করবি। কাল থেকে পড়তে আসবি। তিনি তিন মাসের এক বিশেষ টেকনিকে আমার পাশের ব্যবস্থা করলেন।



যা বলছিলাম...আমার ধৈর্য্যের পাহাড় ধ্বসে পড়ছে। আমার এক ব্লগার বন্ধুকে বললাম এ অবস্থার কথা। তাকে বললাম শিগগির সেফ না হলে আমি ছাত্রলীগে যোগ দেব। তারাই আমার হয়ে ব্যবস্থা নেবে। ছাতদল বা ছাত্রশিবিরেও যোগ দিতাম কিন্তু তারা এখন ক্ষমতার বাইরে। কার্যকর কিছু করতে যদি না পারে এই আশংকায় ছাত্রলীগকে বেচে নিলাম।



সে ধৈর্য্য ধরতে পরামর্শ দিল। হায়রে ধৈর্য্য!!



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২৩

আনু মোল্লাহ বলেছেন: আমি পড়েছি হে পাগল

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৩৭

নিরবপীর জসীম উদ্দিন বলেছেন: হা হা হা, পাগলে পাগলের ব্লগ পড়ে!!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.