![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাসায় ফিরে আসে । ইন্টারভিউ অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে যা জানালো তাতে মধ্যযুগীয় দাসত্বের কথা মনে পড়ে গেল । মাসে আট হাজার টাকা বেতন দিবে । সেখান থেকে প্রতি মাসে নিরাপওা জামানত হিসেবে দু’হাজার টাকা কেটে রাখবে । বাকি থাকল মাসিক হাজার ছয় টাকা । চাকুরীর প্রথম ছয়মাসের টিএ-ডিএ’র টাকা নিজ পকেট হতে খরচ করতে হবে । ছয় মাসের প্রবেশন পিরিয়ড শেষ হলে নানান ক্রিয়া প্রক্রিয়া শেষে ভাগ্যদেবতা যদি ঐ টাকা নসীবে রাখে তবেই পকেটের টাকা পকেটে ফিরিবে । অবশ্য বন্ধুক হতে বের হয়ে যাওয়া গুলি আবার বন্ধুকে ফিরে আসবে সে বিশ্বাস কার কতখানি আছে সে মনুষ্য বিবেচনা । আমি বরং এই মহান চাকুরীর জন্য কি কি জামানত রাখতে হবে তার বর্ননায় যাই । প্রথমেই দুই দুইখানা সার্টিফিকেট তাদের কাছে আদর যত্নের সহিত রেখে দিতে হবে । তারপর একশত পঞ্চাশ টাকা করে দু’খানা মোট তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে একধরনের মুচলেকা দিতে হবে । এবং তাকে পেস্টিং মাগুড়া অথবা চুয়াডাঙ্গায় (কাজিনের বাড়ি চাঁদপুর) নিতে হবে ।
জীবন পেট জীবিকা কঠিন বটে । তাই বলে এত কঠিন আগে ভাবিনি । মানুষকে দাস বানানোর কর্পোরেটীয় কায়দা কানুন ওরা ভালো জানে বলেই হয়তো আমরা এত বলদ । নতুবা আমাদের পেট আর বিবেকের দায়দেনা অনেক । তাই আমরা বারবার যাই ।
............নিঃশব্দ নাগরিক ।
©somewhere in net ltd.