![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজা, রাজ্যসভা গেছে । কিন্তু ভাঁড় মহাশয় যুগে যুগে ঠিকই আছে । যুগের পরিবর্তনে লেজ আর কোমরের কিছুমাত্র বিবর্তন হয়েছে এই যা ।আগের যুগের ভাঁড়রা রাজদরবারে কৌতুক করে বেড়াইত । সময় পরিক্রমায় ইহাদের দায়িত্ব আর ব্যপ্তি আগের জায়গায় পড়ে থাকেনি । সমস্ত দেশ কাঁধে চেপেছে, সাথে সাথে ভাঁড় শব্দখানা উঠে গিয়ে বড় মন্ত্রী ছোট মন্ত্রী আশ্রয় নিয়েছে সেই জায়গায় ।
কাঁচা বাজারে যখন আগুন, পেঁয়াজের ঝাঁঝে আর কাঁচামরিচের ঝালে যখন মানুষের স্বাদ আস্বাদ বমির পর্যায়ে নেমে এসেছে তখন আর আজকালকার ভাঁড়রা কিছুতেই দায়িত্বহীন হয়ে বসে থাকতে পারলেন না । তাই নানান কৌতুক নিয়ে নেমে পড়লেন । সাইকোলজিক্যাললি এর একটা উপকারিতা আছে বটে । আমরাও বাধ্য জনগন সাইকোলজিক্যাল থেরাপির মধ্যে দিয়ে অতি প্রাকৃত অতি আদরের জীবনকে টেনে নিয়ে চলছি । ভাব বা বিকার কবেই লোপ পেয়েছে ।
দেশ এখন ভ্যাট থেরাপির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে । রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদেরকে পন্য বানিয়েছে অনেক আগেই । প্রচারের জন্য নানান সংগঠনও আমাদের অজানা নয় । শিক্ষাক্ষেত্রের চিপাচাপায়ও ভ্যাটের আনাগোনা ছিল । কিন্তু ভেজালটা লাগল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭.৫% ভ্যাটে । কত হরিলুট কান্ড । মালের কি কামাল ব্যাখ্যা । সকালের ব্যাখ্যায় খুক খুক হাসি পায়’তো, বিকেলের ব্যাখ্যায় অট্টহাসি আর চাপা রাখা যায় না । মাঝখান দিয়ে লাঠি-সোঠায় ভর করে জয়বাংলা তেড়ে আসে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর । এদিকে জয়বাংলা সাসলাসামলিতে আমুদে বেকুব বিদ্যার্থিদের নানান অসঙ্গতিপূর্ন প্ল্যাকার্ড ন্যায়সঙ্গত দাবিকে করে প্রশ্নবিদ্ধ । এইরকম স্টুপিড মার্কা প্ল্যাকার্ডের উচ্চ মার্গীয় ব্যাখ্যা প্রদান না করে ক্ষমা চাওয়াটাই ছিল সমীচিন । কিন্তু তা করলে যে জাত যায় । তাই জাত টেকাতে জেদটাকে ধরে রাখা চাই । মানুষকে বোকা ভাবা ভাল, বলদ ভাবা বুদ্ধিমানের কাজ নয় ।
শিক্ষা বা চিকিৎসা কোনটাই পন্য নয় , অধিকার । কিন্তু আজব দেশ আপনাকে ভ্যাট হতে মুক্তি দিবে না । একি মূর্খ আর বিনা চিকিৎসায় মারার চিন্তা চেতনা কিনা তা রাজ্য হর্তাকর্তারাই বলতে পারবেন । আমাদের নিরীহ জনগনের একমাত্র কাজ উওম দাতা সাজা । নইলে শেয়ারবাজার, হলমার্ক, বিসমিল্লাহ, পদ্মাসেতুর মতো মহাযজ্ঞে উনাদের অবদানের জায়গা কই?
দেশের চিপাচাপায় যতসকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আর হাসপাতাল (সর্বোপরি সকল কিন্ডারগার্ডেন, হম্বিতম্বি স্কুল, কলেজ) গজিয়ে উঠেছে তার কোনটাই যে আমাদের কোনপ্রকার সেবা দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে গড়ে উঠেনি তা শতভাগ নিশ্চিত । নামে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হলেও এরা পূর্নউদ্যেমে কর্মাশিয়াল । তাই অন্যসব কর্পোরেট কর্মাশিয়াল প্রতিষ্ঠানের মতো এদেরও কর্পোরেট ট্যাক্স ৪২.৫০% করা উচিত (কত পার্সেন্ট ট্যাক্স দিতে হয় তার তথ্য আমার জানা নেই, যদি ৪২.৫০%ই ট্যাক্স দেয় তাহলে আর কোন ট্যাক্স বসানো ঠিক হবে না) । তা না করে কেন শিক্ষার্থীদের উপর ভ্যাটের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলো তা আমাদের অতি জ্ঞানী অর্থমন্ত্রী সাহেবই বলতে পারবেন । অবশ্য আদ্যেপান্ত ঘাটলে হযতো দেখা যাবে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকের অধিকাংশই উনাদের দলীয় হোমড়াচোমড়ারা । এদেরকে ঘাটানোর চেয়ে শিক্ষার্থীরাই বরং অনেক নিরাপদ । সুতরাং বসাও ভ্যাট । ভবিষৎতের পথ কর প্রশস্ত । এক হলমার্কে আমরা হবো না ক্ষান্ত । আমাদের আরো চাই । আরো চাই ।
...............নিঃশব্দ নাগরিক ।
©somewhere in net ltd.