![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ কুত্তা পালে। কেউ বিড়াল কোলে নেয়। অনেকেরা বান্দররে কাঁধে বসায়। খরগোশকে পকেটে রাখে। একেক জনের আগ্রহ একেক জিনিসের প্রতি । একেকজনের একেক রকম আদর। আমার আগ্রহ মুরগীর প্রতি। বিশেষ করে বাচ্চা মুরগী।। ছোট বেলায় মুরগীর পায়ে রশি বেশে গরু টানার মত পুরো পুরাতন ঢাকায় টো টো করে ঘুরে বেড়াতাম।
বাড়ীতে মুরগী জবাই হলে আমাকে সামনে রাখা হতোনা। আমার অজান্তে মুরগী জবাই করে রান্নাবান্নার কাজ সেরে ফেলা হতো। কারন মুরগী জবাইর দৃশ্যটা আমি সহ্য করতে পারতামনা। জবাই করার পর মুরগী যতটা না ছটফট করতো, তার চেয়ে বেশী ছটফট করতাম আমি। কোরবানি ঈদের দিনেও বাসা থেকে বের হতামনা। রাস্তায় মরা গরু বা রক্ত দেখে মূর্ছা যেতাম।
কখনো মার দেওয়া লাগতোনা আমাকে। চক্ষু রাঙ্গানী দেখলেই ভেউ করে কেঁদে দিতাম।
এখন বড় হয়ে গেছি। বড্ড সাহসী হয়েছি। বড় হওয়ার সাথে আমার কলিজাটাও অনেক বড় হয়ে গেছে। কাউকে ভয় পাইনা। কোন কিছু পরোয়া করিনা। কেউ চোখ রাঙ্গাইলে পরদিন সে কালো সানগ্লাস পড়োতে বাধ্য। প্রতি বৎসর কোরবানির ঈদে আমাদের এবং পাড়ার কিছু প্রতিবেশীদের গরু আমি নিজ হাতে জবাই করি। এখন মরা মানুষ দেখলে কোন অনুভুতি জাগেনা। রক্তাক্ত আহত মানুষদের দেখলে করুনা হয়না। আর গলা কাটা লাশ? এগুলো দেখলে হাসি পায়। মনে মনে বলি, খুনী ব্যাটা ভয়ের চোটে ভাল করে জবাই করতে পারে নাই। যাক তবুও মরছে ব্যাটায়। এভাবে জবাই না বরং করে এভাবে করতো!
২০০৮ সালে আমি তখন পল্টনে। আশে পাশে অনেক লাঠি। ছেড়া জুতো। আমার পায়ে তখনো এক পাটি জুতো নেই। দুই পায়ে দুই রকম জুতা। হাতে গজারী লাঠি। আমার মন্তব্য শুনে দাড়িয়ালা এক বয়স্ক পুলিশ বিস্ফোরিত চক্ষু নিয়ে অনেক্ষন তাকিয়ে ছিল আমার দিকে। সে সময় মন্তব্য করছিলাম, ধুর এইটা কনু মাইর হইলো? আর মার দেওয়া উচিৎ ছিল। কোরবানীর গরুর মত একটা হাত আর আরেকটা পা বায়তুল মোকাররমের সামনে ঝুলানো ইচিত ছিলো।
এরপর যতগুলো খুন। যতগুলো বীভৎস লাশ। সর্বশেষ শীতলক্ষার সাতটা লাশ আর ফেনীর পুড়িয়ে যাওয়া এনামুলের লাশ। এগুলো মনের মধ্যে কোন ক্রিয়া সৃষ্টি করেনি। আফসোসও লাগেনি একটুও। কেন যেন একটু ভাল লাগছে। এসকল মরা মানুষের বীভৎস লাশ দেখলে এখন বরং একটু আনন্দ লাগে। খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে মজা লাগে।
কে জানে অদুর ভবিয্যতে হয়তো এসব লাশ নিজ হাতে তৈরি করতে আমি বরং অনেক মজা পাবো। না করতে পারলে ভাল লাগবেনা। ভ্যাম্পায়ারদের মত ছটফট করতে থাকবো। যেভাবে দিনের পর দিন একেক পর একটা অনুভুতি তৈরি হচ্ছে। অভ্যাস গড়ে উঠছে।
কিন্তু কেন? আমরা কি এমন জীবন চেয়েছিলাম। আগেতো কখনো এরকম ছিলামনা।
২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:২৮
নিশি মানব বলেছেন: আমিতো নির্দয় হতে চাইনি, হতে বাধ্য হয়েছি।
২| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
লেখার প্রথম অংশটুকু ভাল লিখছেন।
২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৩১
নিশি মানব বলেছেন: পরের অংশ কি খারাপ? একজন বলেছিল খারাপনা, তবে লোমহর্যকর।
চেষ্টা করবো সামনে থেকে পুরো অংশটা ভাল করতে।
৩| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১:২০
জাফরুল মবীন বলেছেন: দু’সময়ের দুই বিপরীতধর্মী অনুভূতি চিত্রায়ণের মাধ্যমে আপনার হতাশা ও বর্তমানের অধঃপতিত সামাজিক পরিস্থিতি চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।লেখককে ধন্যবাদ।
২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৩৫
নিশি মানব বলেছেন: আমিতো ধন্যবাদ চাইনি। লেখার সৌন্দর্যও চাইনি। আমি চেয়েছিলাম একটা আলোচনা। সে আলোচনায় থাকবে অধঃপতনের কারন, উত্তরনের উপায়।
তবুও ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৩
এম আর তালুকদার বলেছেন: সেই ভীতু শিশুটাকে যারা এতটা দুধস৽ করে তুলেছে ওদের আতনাদ শুনলে খুব খারাপ লাগেনা আজ...
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: লেখাটা এত সুন্দর হইছে না!!!!!
কিন্তু এত নির্দয় হওয়ার দরকার নাই!