![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সততি লিখলেই মাইনাছ আর বেশী সততি লিখলে মডু স্ট্যাটাস নাবায়া দেয়!
আজকে "ক্ষ" ব্যান্ডের গাওয়া আমার সোনার বাংলা গানটির উপরে একটি লেখায় মন্তব্য করতে গিয়ে এই ব্লগের সূত্রপাত। সেই লেখার সাথে আরো কিছু যোগ করেছি আমি ব্লগটি লেখার সময়ে। আমি গায়ক না, তবে আর সবার মত আমিও গান শুনতে ভালোবাসি, ভালোবাসি গানের সুরগুলোকে নিয়ে যারা খেলেন তাদের সেই যুগান্তকারি কাজগুলোকে।
শুরুতেই বলে নেই, আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের সাথে রবীন্দ্রনাথের গানকে গুলিয়ে ফেলা উচিৎ হবে না। আমি অন্তত সেই ভাবে দেখি। জাতীয় সংগীত আমাদের গর্ব, আমাদের চোখের জল। বিদেশের মাটিতে এই গান গেয়ে কতবার যে আমি নয়ন জলে ভাসি, তার কোন ইয়ত্তা নেই।
যদি স্মৃতি আমাদের পীড়া না দেয়, স্মরণ করে দেখি কিশোর কুমারের গাওয়া রবীন্দ্রনাথের গানগুলোকে। উনি যে ঢং-এ সেই গানগুলি গেয়েছিলেন, সেই ঢং সেই সময়ে কেউ মেনে নেয় নি, উল্টো রবীন্দ্রনাথের গানকে কিশোর কুমার কলংকিত করেছেন বলে রব উঠেছিল। সেই রব হারিয়ে গেছে, রয়ে গেছে কিশোর কুমারের রেখে যাওয়া সেই গায়কি। একটুকু ছোঁয়া লাগে কিংবা মায়াবন-বিহারিনী-হরিনী কিশোর কুমার যেভাবে "লুকোচুরি" সিনেমাতে গেয়েছিলেন, তার থেকে বর্তমানের কোন শিল্পী কি সরে আসতে পেরেছেন? পারেন নাই। কেন পারেন নাই? কেননা হয়ত মূল সুরের চেয়ে এই গায়কীটাই সবার মনে ধরেছে। তাই রবীন্দ্রনাথের গানের পরিবর্তন হতে যে পারে না, সেইটা ভুল ধারনা।
সত্যজিৎ রায়কে চিনেন না এমন বাঙালি ব্লগার পাওয়াটা দুস্কর। উনার "চারুলতা" [ ব্লগার শার্লককে ধন্যবাদ, আগে ভুল লেখা হয়েছিল "ঘরে বাইরে" ] সিনেমাতে আমি চিনি গো চিনি তোমারে / ওগো বিদেশিনী গানটি যেভাবে ব্যবহার হয়েছে, তাতে কি রবীন্দ্রনাথের গান পচে গিয়েছে? আর সত্যজিৎ রায় রবীন্দ্রনাথের কাজকে বিকৃত করবেন, এইটাও কেউ আশা করে না। কিন্তু এই গানের শেষে একটু টুইস্ট দেওয়া আছে, না শুনলে বুঝতে পারবেন না কেন সৌমিত্র গেয়ে ওঠে আমি চিনি গো চিনি তোমারে / ওগো বউ-ঠাকুরাণী।
তাই আমার মনে হয়, জাতীয় সংগীত হিসাবে রবীন্দ্রনাথের যে গানের অংশটা আমরা গ্রহন করেছি, সেইটা নির্দিষ্ট। সেইটা নিয়ে কোন আলোচনা করার কোনই প্রয়োজন নেই। কেননা জাতীয় সঙ্গীত অন্য কোন ঢং বা গায়কীতে গাইলে তা সংবিধানের ব্যতয় হবে। সুতরাং সেই ব্যাপারে আলোচনার কিছুই নাই।
কিন্তু যারা "ক্ষ" কর্তৃক গাওয়া আমার সোনার বাংলা গান নিয়ে আলোচনা করছেন বা জাতীয় সঙ্গীতের অমর্যাদা হয়েছে বলে সমালোচনা করছেন, তাঁদের বলছি, "ক্ষ" একটা রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ছে শুধু। তাই আলোচনার ব্যাপারটা হতে পারে রবীন্দ্রনাথের গানের পরিবর্তন নিয়ে। আলোচনা জাতীয় সংগীতের দিকে ঘুরে যাওয়াটাই দুঃখজনক।
জনগনমন-অধিনায়ক হে ভারত-ভাগ্যবিধাতা যে ঢং গাওয়া হয়, তা কি রবীন্দ্রনাথের সূরের সাথে মেলে? সেইটা তাদের সংবিধানে সংরক্ষিত। এর বাইরে অন্য কোন সূরে গাইলে কেউ ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয়েছে বলে কথা বলে না তো? স্মরন করে দেখুন, "কাভি খুশি কাভি গাম"-এ ব্যবহৃত সেই সুরটি, স্কুলে ফাংশানের দৃশ্যটি।
মনে রাখা আবশ্যক যে, আমাদের জাতীয় সঙ্গীত মূলত রবীন্দ্রনাথের লেখা একটি গান, সেখান থেকে দশটি চরণ আমাদের জন্য আমরা বেছে নিয়েছি। এর বাইরে কে কি ভাবে গাইল সেইটা আমদের মাথা ব্যাথা না। তাই এই গান গেয়ে "ক্ষ" যা করেছে, সেটা নিয়ে এতো হট্টগোলের কিছুই নাই।
আবারে আসি কিছু আধুনিক কালের উদাহরনে। "দি বং কালেকশান" সিনেমাতে গাওয়া পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে অথবা "রঞ্জনা আমি আর আসব না" সিনেমাতে জাগরনে যায় বিভাবরি অথবা "ডাকঘর" সিনেমাতে মায়াবন-বিহারিনী-হরিণী। আমার কাছে মনে হয়েছে "ক্ষ" ব্যান্ড "দি বং কালেকশান" সিনেমাতে গাওয়া পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে গানটিকে অনুকরন করেই গেয়েছে। আমার সোনার বাংলা আমাদের দেশের একটি সিনেমাতেও গাওয়া হয়েছিল। খুব সম্ভবত সেই সিনেমার নাম "'জীবন থেকে নেওয়া" [ব্লগার শার্লককে ধন্যবাদ ত্রুটি দেখিয়ে দেবার জন্য, আগে ভুল করে লেখা হয়েছিল "আবার তোরা মানুষ হ" ]। সেখানে তা স্রেফ রবীন্দ্রনাথের গান হিসাবেই গাওয়া হয়েছিল। তবে উল্লেখ থাকে যে সে সময়ে গানটি জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা পায় নি [ সূত্র ব্লগার শার্লক ]।
মোদ্দা কথা হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথের গানকে নিয়ে অনেক কিছুই করা হচ্ছে, যাকে অনেকেই "ফিউশন" বা "এক্সপেরিমেন্ট" বলছেন। আমাদের দেশের "শিরোনামহীন" ব্যান্ডও রবীন্দ্রনাথের গান গেয়েছে। যারা মূল রবীন্দ্র সঙ্গীতের কদর করেন, তারা একটু গোঁড়া ধরনের বলে এই ব্যাপারগুলোকে সহজে মেনে নিতে পারেন না। তাই জাতীয় সংগীতের বিকৃতির ধূয়া তুলেছেন।
নতুন গায়কীতে ও ঢং-এ গাওয়া এই গানগুলো শ্রোতাদের ভাল লাগছে। এরফলে যাঁরা রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ে টাকা আয় করেন, তাদের বাজার দর পড়ে যাবার আশংকা থাকে। এই জাতীয় মানুষেরাই কিছু প্রতিবাদ করবেন। সে কারনে হু লাল্লা হু লাল্লা করে "দি বং কালেকশান" সিনেমাতে গাওয়া পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে আমাদের রবীন্দ্র-বোদ্ধাদের কাছে বিষের মতই লেগেছিল। ঠিক যেমন লেগেছিল "শিরোনামহীন" ব্যান্ডের করা রবীন্দ্র-সঙ্গীতগুলোকে।
কিন্তু রবীন্দ্রনাথ যে ধরনের মানুষ ছিলেন বলে বিভিন্ন লেখায় পড়েছি, বা শুনেছি, তাতে মনে হয় না যে উনি জীবিত থাকলে এই সব নতুন "ফিউশন" বা "এক্সপেরিমেন্ট"-কে বর্জন করতেন। আমার মনে হয় উনি বরঞ্চ এইগুলিকে প্রশয়ই দিতেন।
সবশেষে আবারো বলি, জাতীয় সংগীতের সাথে রবীন্দ্রসঙ্গীতকে গুলিয়ে না ফেলি।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
নিষ্কর্মা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের আত্মস্বীকৃত এই গোঁড়া বামুনগুলারে নিয়াই তো সব সমস্যা। পাবলিক তাদের মনের মত গান শুনতে চায়, আর এরা "শুদ্ধ স্বর" কিংবা "শুদ্ধ সূরে"র উছিলায় সব আটকায়া রাখে!
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
আমিনুর রহমান বলেছেন: পোষ্টে +++
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
নিষ্কর্মা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
এ্যাপেলটন বলেছেন: "ক্ষ" ব্যান্ডেটি যেন এইভাবেই তথাকথিত রবীন্দ্র প্রমিদের মাজর্িত গান গাওয়া শেখায় ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০
নিষ্কর্মা বলেছেন: "ক্ষ" যা করেছে, তা অনেক আগে থেকেই এই বাংলায় অনেকেই করেছে, যার কিছু উদাহরন আমি মূল লেখায় দিয়েছি। সেগুলো থেকে বরীন্দ্রপ্রেমিরা কিছুই শেখেন নি, আর তাই উনারা পাবলিকের মন পড়তে ভুল করছেন বার বার। আর সে কারনেই হয়তো, উনারা আমাদের ইচ্ছে পূরন করতে পারছেন না, ঊলতো শুদ্ধ স্বর রক্ষা করতে যেয়ে ক্রমাগত ভাবেই পিছেয়েই পড়ছেন!
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
সি এস আহমেদ বলেছেন: আমি কিছু জানতে চাই বলে প্রশ্ন করছিঃ
১। "কি শোভা কি ছায়া গো" এটা কি জাতীয় সংগীতের সংরক্ষিত লাইনের বাইরে পড়ে কিনা? জানা থাকলে আমাকে দয়া করে লিঙ্ক দিলে ভাল হয়।
২। যদি না পড়ে - তাহলে একজন বাংলাদেশী উদ্ভুত মানে যার বাপ মা বাংলাদেশী কিন্তু সে অন্য জাতীয়তার - এরকম লোক এর জন্য "আমার সোনার বাংলা" জাতীয় সংগীত হিসেবে বিবেচ্য কিনা?
উত্তর গুলো দিলে অনেক উপকার হয়।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
নিষ্কর্মা বলেছেন: প্রথম প্রশ্নের উত্তরঃ এই গানের যে দশটি লাইন আমাদের জাতীয় সংগীত হিসাবে গৃহীত, এই চরণটি তার ভেতরে অন্তর্ভুক্ত বলেই জানি।
দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরঃ কোন বাংলাদেশি যদি এখন অন্য কোন দেশের নাগরিক হন এবং বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করে থাকেন, তা হলে এই গান তাঁর জাতীয় সংগীত হিসাবে গণ্য হবার কথা না।
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
শূন্য পথিক বলেছেন: ++
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
নিষ্কর্মা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
শার্লক বলেছেন: আমি চিনি গো চিনি তোমারে, ওগো বিদেশিনী গানটি ব্যবহার করা হয়েছিল 'চারুলতা' সিনেমাতে। 'ঘরে-বাইরে' অনকে পরের মুভি।
আমার সোনার বাংলা আমাদের দেশের একটি সিনেমাতেও গাওয়া হয়েছিল। খুব সম্ভবত সেই সিনেমার নাম "আবার তোরা মানুষ হ"। সিনেমার নাম ছিল 'জীবন থেকে নেওয়া' মুক্তি পায় স্বাধীনতার আগে। তখনও গানটি জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি পায় নি।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
নিষ্কর্মা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। লেখাতে ত্রুটি শুদ্ধ করার সাথে সাথে আপনাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছি।
৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
সি এস আহমেদ বলেছেন: আমি একটা জবাব দিলাম; এটার বিষয়ে সহমত না হলে প্রশ্ন করবেন দয়া করে, তবে পুরোটা পড়ে নেবেন। দেখা গেল আপনি আমি একমত কিন্তু এত ডিফারেন্ট এঙ্গেলে যুক্তি দেখাতে গিয়ে অযথা তর্ক করছি। লিঙ্ক এখানে।
Click This Link
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
নিষ্কর্মা বলেছেন:
কথা তো মনেহচ্ছে আমাদের একই। তবে আপনি সুন্দর করে লিখেছেন। আপনার মূল বক্তব্য গায়িকার পরিচয় নিয়ে, আর আমার মূল কথা রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে। একটু নীচেই শ্রদ্ধেয় ব্লগার মামুন ভাইয়ের একটা মন্তব্য আছে, সেটা পড়ে দেখতে পারেন।
তবে শেষ অবধি বিতর্ক কতদূর যায়, তা দেখার বিষয়। এখন বরীন্দ্রসঙ্গীতের কর্ণধাররা মওকা পেয়েছেন "রবীন্দ্রসঙ্গীত বিকৃতকারীদের" বিরুদ্ধে কথা বলার। সেই ইনারাই কেন "শিরোনামহীন" ব্যান্ডের গাওয়া গানের বিরুদ্ধে এমন কড়া কথা বলেন নাই? কেন তারা সাম্প্রতিক কিছু সিনেমাতে ভিন্ন গায়কীতে গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীতের বিরেদ্ধে মালকোঁচা মেরে নামেন নাই? কেননা সেইগুলা করলে উনাদের কথা কেউ শুনত না। মানুষ সেই গানগুলোকে গ্রহন করেছে। তাই উনাদের প্রতিবাদ মাঠেই মারা যেত।
কিন্তু এই "ক্ষ" ব্যান্ড গাইবার জন্য এমন একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতকে বেছে নিয়েছে যেটা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এই গানটা গেল ডিসেম্বর মাসের আগে থেকেই ছিল, আমাদের বোদ্ধারা ইউটিউব বন্ধ থাকায় দেখেন নাই এতো দিন। না-হলে স্বাধীনতার মাসে জাতীয় সঙ্গীতের বিকৃতি বলে ঝাঁপিয়ে পড়তেন মনে হয়।
৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
তামজীদ বলেছেন: Click This Link.
ভারতীয় সিনেমায় যখন বাংলার জাতীয় সংগীত নিয়ে তামাশা করা হয় তখন অই সব চুশীল হলুদ চামবাদিকরা কোন খবর লিখে না, আর এখন রং দেখাতে আসছে, ভন্ডের দল....
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
নিষ্কর্মা বলেছেন:
ইনারা কেন "শিরোনামহীন" ব্যান্ডের গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীতের বিরুদ্ধে এমন কড়া কথা বলেন নাই? কেন তারা সাম্প্রতিক কিছু সিনেমাতে ভিন্ন গায়কীতে গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীতের বিরেদ্ধে মালকোঁচা মেরে নামেন নাই? কেননা সেইগুলা করলে উনাদের কথা কেউ শুনত না। মানুষ সেই গানগুলোকে গ্রহন করেছে। তাই উনাদের প্রতিবাদ মাঠেই মারা যেত।
কিন্তু এই "ক্ষ" ব্যান্ড গাইবার জন্য এমন একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতকে বেছে নিয়েছে যেটা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এই গানটা গেল ডিসেম্বর মাসের আগে থেকেই ছিল, আমাদের বোদ্ধারা ইউটিউব বন্ধ থাকায় দেখেন নাই এতো দিন। না-হলে স্বাধীনতার মাসে জাতীয় সঙ্গীতের বিকৃতি বলে ঝাঁপিয়ে পড়তেন মনে হয়।
৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
মামুন রশিদ বলেছেন: রববিন্দ্রনাথ নিজেই একজন ফিউশনের উস্তাদ ছিলেন । তার গানের মূল উৎস হলো গীতার প্রার্থনা সংগীত । প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য সংগীত থেকে তিনি অনেক উপকরন নিয়ে নিজের মত করে ফিউশন করেছেন, এতে তার গানের মৌলিকত্ব চলে যায়নি । আরো শ্রুতি মধুর হয়ে সংগীত পিপাষুদের মন কেড়েছে । "দেখেছি রুপ সাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা" যখন "ভেংগে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে" হয়ে যায়, তাতেও রবীন্দ্র সংগীতের স্বকীয়তা বা আবেদন কমে যায়নি । বরং তা শ্রতাদের সংগীতের নতুন স্বাদ এনে দিয়েছে ।
পরিহাস আর মজার ব্যাপার হলো রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার জীবনে এবং তার সাহিত্যে গোঁড়াদের সমালোচনায় আক্রান্ত হয়েছেন । এখন এই গোঁড়ারাই তার রক্ষক হয়ে উঠেছেন ।
চমৎকার এই পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং ভালো লাগা ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৯
নিষ্কর্মা বলেছেন:
মামুন ভাই, আফনে যে এইরাম ভাবগাম্ভীর্যের কতা লিখপেন, সেইডা জান্তাম। আফনেরে অনেক ধৈন্নবাদ!
১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
তামজীদ বলেছেন: মামুন৬৫৩ বলেছেন: রববিন্দ্রনাথ নিজেই একজন ফিউশনের উস্তাদ ছিলেন । তার গানের মূল উৎস হলো গীতার প্রার্থনা সংগীত । প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য সংগীত থেকে তিনি অনেক উপকরন নিয়ে নিজের মত করে ফিউশন করেছেন, এতে তার গানের মৌলিকত্ব চলে যায়নি । আরো শ্রুতি মধুর হয়ে সংগীত পিপাষুদের মন কেড়েছে । "দেখেছি রুপ সাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা" যখন "ভেংগে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে" হয়ে যায়, তাতেও রবীন্দ্র সংগীতের স্বকীয়তা বা আবেদন কমে যায়নি । বরং তা শ্রতাদের সংগীতের নতুন স্বাদ এনে দিয়েছে ।
পরিহাস আর মজার ব্যাপার হলো রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার জীবনে এবং তার সাহিত্যে গোঁড়াদের সমালোচনায় আক্রান্ত হয়েছেন । এখন এই গোঁড়ারাই তার রক্ষক হয়ে উঠেছেন ।
চমৎকার এই পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং ভালো লাগা ।
চরম সত্যি কথা। প্রসংগত উল্লেখ করা যায় রবীন্দ্রনাথের "ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে" গানটির সুর স্কটিশ ফোক সং থেকে নেয়া। এটাও কি ফিউশনের আরেক রূপ নয়?
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩০
নিষ্কর্মা বলেছেন: তামজীদ বলেছেন: প্রসংগত উল্লেখ করা যায় রবীন্দ্রনাথের "ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে" গানটির সুর স্কটিশ ফোক সং থেকে নেয়া। এটাও কি ফিউশনের আরেক রূপ নয়?
>> অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: খুব সুন্দর বিশ্লেষণ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
নিষ্কর্মা বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।
১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
রামিজের ডিপফ্রিজ বলেছেন: @তামজিদ আরো কয়েকটা উদাহরণ দেওয়া যায়। সবচেয়ে বিখ্যাত উদাহরণ অবশ্যই "পুরানো সেই দিনের কথা" যেটা বার্নসের "auld lang syne" র বাংলা রূপ। এছাড়া আছে "তুই আয় রে কাছে আয় কত ফুল তুলেছি" যেটার টিউন ব্রিটিশ মার্চ "british grenadiers" র থেকে নেওয়া।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
নিষ্কর্মা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য @রামিজের ডিপফ্রিজ।
আমি শুধু "ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে"-র কথা আর "গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙ্গামাটীর পথ" দুটি গানের উতস সমন্ধে পড়েছিলাম। আরো কিছু গানের ইদাহরন ছিল সেই সাথে, কিন্তু মনে নাই। তাই লেখায় ব্যবহার করি নাই।
১৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭
ব্যানার বলেছেন: সত্যি চমৎকার লিখেছেন। ++++++
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
নিষ্কর্মা বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
তামজীদ বলেছেন: শাদী মুবারকের উচিত এত রবীন্দ্র রবীন্দ্র না করে বিদেশের সংগীত চর্চা কোথায় চলে গেছে সেইটা একটু দেখে আসতে, নিজের বাজার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে দেখে বেচারার মাথা খারাপ হবার জোগাড়!!! পুরো সময় এই মেয়ে গানটা দাঁড়িয়ে গেয়েছে, বাংলাদেশে কতজন জানে যে জাতীয় সংগীত দাঁড়িয়ে গাওয়ার নিয়ম? তারাই গলা ফাটায় জাতীয় সংগীত বিকৃতি বলে!