নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দুনিয়া

দেব-এর জীবেনেও এমন ধোয়াই চারপাশে ঘিরে ছিলো। এই মাসে আর ব্লগে আসতে পারছিনা।

আমার দুনিয়া

আমি একজন অতি সাধারণ একজন মানুষ। যার কোন চাওয়া পাওয়া নেই এ পৃথিবী থেকে। আসলেই কি নেই। যে মনে করে এই পৃথিবী তার জন্য না। সমগ্র জগত নিয়ে তার বিশাল ভাবনা। সে সবসময় সুখি- ভালো থাকে থাকার চেষ্টা করে। I am d Best

আমার দুনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি রাতের গল্প

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:২৬

মধ্যবৃত্ত পরিবারের ছেলে নিলয়। নিলয় ভালো ছাত্র ছিল। ইউনিভার্সিটিতে উঠে তৃপ্তি তাকে আবেদন জানায় ভালোবাসার। তখন থেকে তাদের ভালোবাসা চলছে। তৃপ্তি বড়লোকের মেয়ে। দুই পরিবার তাদের সম্পর্ক সম্বন্ধে জানে, কিছুদিন পরে তাদের বিয়ে হয়ে যাবে।



নিলয় একটা ছোটখাট কম্পানিতে চাকরি করছে বর্তমানে । প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে ছয়টা পর্যন্ত অফিস করতে হয়। নিলয় তার কাজের প্রতি সিরিয়াস থাকে। চাকরির ব্যস্ততার কারণে তৃপ্তির সাথে তেমন কথাও হয়না নিলয়ের । নিলয় যেমনটি চেয়েছিল- তৃপ্তি তেমনই। তৃপ্তি নিলয়ের কোন কাজে বাধা দেয়না। তৃপ্তি শুধু চায়, নিলয় যেন কখনো তাকে ছেড়ে না যায়, ভুলে না যায়। তবে তৃপ্তির একটা শর্ত, মাসে কমপক্ষে চারদিন নিলয়কে তৃপ্তির জন্য সময় বের করতে হবে।



আজ নিলয় অফিস থেকে অর্ধ ছুটি নিয়েছে তৃপ্তির সাথে ঘুরবে বলে। বিকেল চারটায় তৃপ্তি নিজে গাড়ি চালিয়ে আসল নিলয়ের অফিসে। নিলয়কে অফিস থেকে পিকআপ করল। নিলয়ের রাগ হয় তারপরও কিছু বলতে পারে না। তৃপ্তির যুক্তি হল আজকের দিনটা শুধু নিলয় আর তৃপ্তির। তাই ড্রাইভারকে নিয়ে আসেনি।



প্রথমে নিলয় আর তৃপ্তি সংসদ ভবন গেল। সেখানে অনেকক্ষন থাকল। সন্ধায় kfc তে গেল। জম্পেস খাওয়া দাওয়া হল, রোমান্স হল। নিলয়ের এই দিনটি খুব ভালোই যায়, খুবই মজা পায়। আজ ফিরতে দেরি হল অনেক। তৃপ্তি নিলয়কে, নিলয়ের অনুরোধেই ফার্মগেটে নামিয়ে দিল। নিলয়ের বাসা ফার্মগেটেই।



এখন সময় রাত এগারোটা, শিতের দিন। নিলয় ভাবছে আজ অনেকদিন পর আবার অনেক মজা করল। কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যে সব মজা ধুলোর সাথে মিশে গেল। সে এখন ভাবছে কত না ভালো খাওয়া দাওয়া করা হল কিছুক্ষন আগে, হাজার টাকা বিল দেয়া হল। কত আনন্দ, এ আনন্দ দিয়ে কি হবে। কত মানুষ না খেয়ে আছে। নিলয় ভাবছে সে অনেক ভালো আছে। আজ নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছা করছে। আমরা একটু চেষ্টা করলেই কোন মানুষ এমন থাকত না। আমরা আসলে পশুর চেয়েও অধম। পশু না বুঝে কিছু করে কিন্তু আমরা বুঝেও না বুঝার ভান করি।



নিলয় দেখছিল একটা ছোট্ট ছেলে কাপছিল, তার মায়ের গায়ে ছিল ছেড়া চাদর। সেই চাদর মা নিজের গা থেকে নিয়ে তার ছেলের গায়ে ভালোভাবে জড়িয়ে দিচ্ছে। ছেলে তার মাকে বলছে, 'আমার লাগবনা। কারন মা তখন শিতে কাপছে।



নিলয় পকেট থেকে মানিবাগ বের করে দেখল মাত্র পাচটাকা আছে। মনে আসল আফিসে যাওয়ার সময় আটশত নিয়েছিল। এখন মাত্র পাচটাকা। একবার ভাবল পরনের জ্যাকেটটা খুলে দিবে অত:পরেই ভাবল জ্যাকেটটার দাম ২০০০টাকা...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২০

...অসমাপ্ত বলেছেন: হুমম... পড়লাম। ...কিছু জায়গায় খুব দ্রুত পার করে গেছেন...।

...আরো লিখুন।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:০৬

প্রলয় হাসান বলেছেন: আর্দশ এবং শিক্ষনীয় গল্প!++:)

আমার ছোট ভাইর নাম নিলয় হাসান। গল্পটা পড়ার সময় ওকে মাথায় রেখেই পড়তে ইচ্ছে করছিলো।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:১৪

আমার দুনিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ। লেখার অভ্যাস নেই কিন্তু ইচ্ছা আছে। সেই ইচ্ছা থেকে শুরুতে দোয়া করেন পরবর্তিতে আরো ভালো লেখার চেষ্টা করব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.