নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবা-পাগলা

ভবা-পাগলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরাও বাঁচতে চাই, সমতার রাজীতি চাই।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

আমরাও বাঁচতে চাই, সমতার রাজীতি চাই।

দেশ আজ ঘন গোট অন্ধকারে আচ্ছন্ন। বাংলার আকাশে আজ দুর্জয়ের ঘন-ঘটা। ক্ষমতার দ্বন্দে পাগল প্রায় -দেশের দুইটি বৃহৎ দল। যে কোন মূল্যে ক্ষমতাই তাদের কাঙ্খিত। জীবনের জন্য, জাতীর জন্য, রাষ্ট্রের জন্য তাদের বিন্দু মাত্র অনুকম্পা নাই। অথচ জাতির আশা-আকাংঙ্খা, স্বনির্ভর-ভরসা, ভবিষ্যৎ-সফলতার অঙ্গীকার নিয়ে- জাতির পদ র্স্পশের ছোয়া তারা ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় বসেই তারা জাতিকে দেওয়া অঙ্গীকার ভুলে গিয়ে জাতির সঙ্গে বেঈমানীতে মেতে উঠে। সংঘাতের মুখে ঠেলে দেয় গোটা দেশকে। তাদের মুখে থাকে গণতন্ত্রের ফুল-সুরত।

বাংলাদেশের গণতন্ত্র আদৌ কোন গঠন মূলক গণতন্ত্র কি? জনগনকে ক্ষমতার উৎসের অজুরে, জাতিকে বিভ্রন্ত করা নয় কি? জনগনের কাঁদে হাত রেখে গণতন্ত্র নামক সুতীক্ষè ছোড়া দিয়ে গলা কাঁটা নয় কি? জনগনের ‘ম্যানডেট, নিয়ে দলবাজরা নিদিষ্ট সময়ের জন্য ক্ষমতায় গিয়েই ষড়যন্ত্র শুরু করে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়ু করার। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলমন্ত্র সংবিধানকে পোষ্ট-মর্ট্রেম করে লাশ ঘরে ছোড়ে ফেলে দেয়। প্রতিবাদী কন্ঠকে স্তদ্ধ করতে সুকৌশলে গলাটিপে হত্যা কিম্বা গুম করে ফেলে। ক্ষমতাকে পাকাঁ-পোক্ত করে বংশানুক্রমিক ভাবে ‘বেস্তের মেওয়া, উপহার দিয়ে যায়; যা চলতে থাকে যুগ যুগ ধরে। অর্থবল, পেশিবলের বদৌলতে জ্ঞানশক্তিকে ব্যবহার শেষে পদানত ও নিষ্পেষিত করে ফেলে দেয় ডার্সবিনে।

রাজনীতিবিদের উন্নয়নের জোয়ারে আজও বাংলার মানুষ না খেয়ে মারা যায়। শত ছিন্ন বস্ত্রে ইজ্জত ঢাকতে না পেরে মা-বোনেরা আত্ম-হত্যা করে প্রমান করে ‘প্রাণের চেয়ে মান বড়,। পরাধীনতার বুঁক চিরা-মুক্তির বীর সেনানী অর্থাভাবে রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে জীবিকা অন্বেষন করে। মহাজনের কাছ থেকে মজুরের রক্ত ঝড়ানো টাকা আদায় করতে গিয়ে তার অন্ত:সত্বা স্ত্রীকে ইজ্জত বিকিয়ে দিতে হয়। অভাবী মায়ের মুষ্ঠু চাউল ও কৃষক বাবার লাঙ্গল চালানো উর্পাজনের টাকায় একমাত্র শিক্ষিত সন্তানকে চাকুরীর জন্য সহায়- সম্বল বিক্রি করে টাকা দিতে হয় এম,পি মন্ত্রীর হাতে; সর্বশান্ত হতে। তা‘হলে আমাদের স্বাধীনতা কোথায় ?

স্বাধীনতার লাভ শুধু ধণতান্ত্রিক বুর্জোয়াদের। যারা ধোকাবাজী, দালাল-চামচার দূতালিতে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। বাংলার প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামে আজ চেয়ারম্যানের ছেলে চেয়ারম্যান, এমপির ছেলে এমপি, মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ছেলে রাষ্ট্রপতি হবার স্বপ্ন দেখে। যদিও হঠাৎ দরিদ্র ঘরের মেধাবী কোন সন্তান বড় হবার স্বপ্ন দেখে; তা‘হলে তাকে জীবনের মাঝ পথেই এনকাউন্টারে চির নিদ্রায় ঘুমিয়ে যেতে হয় অথবা মানসিক বিকার গ্রস্থ্য হয়ে তাকে আশ্রয় নিতে হয় হেমায়েতপুরের মত নিঝর্ন কোন মানসিক হাসপাতালে যেখানে দিনের আলোর কোন ছোয়া পড়ে না। ঠিক যেন প্রাচীন আমলের ‘মাৎস্যের ন্যায় অবস্থা,। ছোট মাছ যেমন বড় মাছকে গিলে ফেলে; এটাই নিয়ম। এদেশে এমপি-মন্ত্রীর ছেলেরা অপরাধ করলে বিচার শেষে তাদের আশ্রয় হয় ভি,আই.পি সেলে, আর গরীবের ছেলে অপরাধ না করেও আজীবন জেলের ঘানী টেনে অকালে জীবন দেয়। এ কেমন বিচার? এ কেমন রাজনীতি? এ কেমন গনতন্ত্র? আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে-আমরাও বাঁতে চাই; জীবন নিয়ে বাঁতে চাই; এই প্রহসন মূলক গণতন্ত্র থেকে মুক্তি চাই; সুশাসন আর সমতার রাজনীতি চাই।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.